ঊর্মিলা
ঊর্মিলা হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের একটি চরিত্র। ঊর্মিলা ছিলো মিথিলার জনকপুরের রাজা জনক ও এবং তার স্ত্রী সুনয়নার একমাত্র কন্যা, এবং সীতার কনিষ্ঠ বোন। তিনি রামের কনিষ্ঠ ভাই লক্ষ্মণের স্ত্রী ছিলেন। তাদের দুই পুত্র ছিল- অঙ্গদ ও ধর্মকেতু।[১] লক্ষ্মণ যখন রাম ও সীতার সঙ্গে নির্বাসনে যায়, ঊর্মিলা লক্ষ্মণের সঙ্গে যেতে প্রস্তুত ছিল, কিন্তু লক্ষ্মণ দ্বিধান্বিত মনে তাকে তার পিতা-মাতার যত্ন নেওয়ার জন্য অযোধ্যায় ফিরে যেতে বলে। ঊর্মিলা তার উর্মিলা নিদ্রা নামে অনন্য ত্যাগের জন্য উল্লেখযোগ্য।[২]
ঊর্মিলা | |
---|---|
![]() দশরথের চার পুত্র তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানকালে বেদীর প্রদক্ষিণ করে। | |
স্রষ্টা | বাল্মীকি |
লিঙ্গ | স্ত্রী |
পরিবার | |
দাম্পত্য সঙ্গী | লক্ষ্মণ |
সন্তান | অঙ্গদ ধর্মকেতু |
আত্মীয় | সীতা (জ্যেষ্ঠ-বোন) |
রাজস্থানের ভরতপুর জেলায় লক্ষ্মণ ও উর্মিলাকে নিবেদিত একটি মন্দির রয়েছে। ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে ভরতপুরের তৎকালীন শাসক বলবন্ত সিংহ কর্তৃক মন্দিরটি নির্মিত হয় এবং ভরতপুর রাজ্যের রাজকীয় পরিবার কর্তৃক রাজপ্রাসাদ হিসেবে গণ্য করা হয়।[৩]
ব্রহ্মচর্যসম্পাদনা
শ্রী রাম যখন লক্ষ্মণ ও দেবী সীতাকে নিয়ে বনগমন করেন তখন লক্ষ্মণের ব্রহ্মচর্যের কারণে ঊর্মিলাকে রেখে যান অযোধ্যার রাজভবনে। স্বামী বনে বাস করছেন বলে দেবী ঊর্মিলা ব্রহ্মচারিণী হয়ে ১৪ বছর খড়ের শয্যায় শুতেন আর ফলাহার করতেন। ঊর্মিলার তপস্যার ফলে লক্ষ্মণ পরবর্তীকালে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিতকে বধ করতে সক্ষম হন।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Roshen Dalal (২০১৪)। Hinduism: An Alphabetical Guide। UK: Penguin UK। আইএসবিএন 9788184752779।
- ↑ Reeja Radhakrishnan (২৮ মার্চ ২০১৪)। "Urmila, The Sleeping Princess"। Indian Express। Chennai। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৬।
- ↑ "Temple Profile: Mandir Shri Laxman Ji"। Government of Rajasthan। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৬।
আরো পড়ুনসম্পাদনা
- Valmiki Ramayana, English verse translation ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে by Desiraju Hanumanta Rao, K. M. K. Murthy et. al.
- Ramayana, English verse translation by Ralph T. H. Griffith at the Project Gutenberg