ঊর্বস্থি
ঊর্বস্থি (ঊরুর অস্থি) বা ফিমার (ইংরেজি: Femur)(/ˈfiːmər/) হলো চতুষ্পদ মেরুদণ্ডী প্রাণীদের পায়ের সবচেয়ে কাছের হাড় যা হাটতে ও দৌড়াতে সাহায্য করে। যেমনটি স্থলচর স্তন্যপায়ী,পাখি,সরীসৃপ যেমনঃ লিজার্ড এবং উভচর যেমন: ব্যাঙ এদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।ফিমারের মাথা শ্রোণী অস্থির অ্যাসিটাবুলামে যুক্ত হয়ে নিতম্ব সন্ধি এবং ফিমারের দূরবর্তী অংশ টিবিয়া এবং প্যাটেলার সাথে যুক্ত হয়ে হাঁটু গঠন করে।ফিমার শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী হাড়। এটি শরীরে সবচেয়ে লম্বা হাড়ও বটে।
ঊর্বস্থি | |
---|---|
লাতিন | Os femoris, os longissimum |
Gray's | পৃষ্ঠা.242 |
উৎপত্তি | গ্যাস্ট্রোকনেমিয়াস, ভাসটাস ল্যাটেরালিস, ভাসটাস মিডিয়ালিস, ভাসটাস ইন্টারমিডিয়াস |
সন্নিবেশ | টেনসর ফাসা লাটা, গ্লুটিয়াস মিডিয়াস, গ্লুটিয়াস মিনিমাস, গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস, ইলিয়োসোয়াস |
সন্ধি | hip: acetabulum of pelvis superiorly knee: with the tibia and patella inferiorly |
MeSH | Femur |
টিএ | A02.5.04.001 |
শাভিম | FMA:9611 |
হাড়ের শারীরবৃত্তীয় পরিভাষা |
গঠন
সম্পাদনাফিমার ঊরুর একমাত্র হাড়।দুটি হাড় হাঁটুর দিকে মিডিয়ালি অগ্রসর হয় যেখানে তারা টিবিয়া এর সাথে প্রক্সিমালি যুক্ত হয়।ফিমারো-টিবিয়াল কোণ নির্ধারণে কত কোণে ফিমার অগ্রসর হচ্ছে,তা গুরুত্বপূর্ণ।জেনু ভালগাম হলে হাঁটু দুটো পরস্পর লেগে যায়।এর বিপরীত অবস্থা জেনু ভেরাম।স্বাভাবিকভাবে ফিমারো-টিবিয়াল কোণ প্রায় ১৭৫ ডিগ্রী। .[১]
মানবদেহে ফিমার সবচেয়ে লম্বা,ভারী এবং শক্ত হাড়।এটি মানবদেহের উচ্চতার প্রায় ২৬% যা দ্বারা কোন অপূর্ণাঙ্গ কঙ্কালের উচ্চতা নির্ধারণ করা যায়।
ফিমার একটি দেহ এবং দুটি প্রান্ত সহযোগে গঠিত যারা নিতম্ব ও হাঁটুর সংশ্লিষ্ট অস্থির সাথে যুক্ত হয়।[১]
ঊর্দ্ধ প্রান্ত
সম্পাদনাফিমারের ঊর্দ্ধ প্রান্ত মস্তক (Head),গ্রীবা (Neck) এবং ক্ষুদ্রতর ট্রক্যান্টার ও বৃহত্তর ট্রক্যান্টার নিয়ে গঠিত।[১]
ফিমারের মস্তক শ্রোণী অস্থির অ্যাসিটাবুলামের সাথে যুক্ত হয়।এর চূড়ায় একটি ক্ষুদ্র গর্ত আছে,যাতে ফিমারের লিগামেন্ট যুক্ত থাকে।ফিমারের মাথা গ্রীবা দ্বারা মূল দেহর সাথে সংযুক্ত থাকে।এটি দেহের সাথে ১৩০ ডিগ্রী কোণে থাকে,যা পরিবর্তনশীল।বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি ১৫০ ডিগ্রী এবং বৃদ্ধাবস্থায় এটি কমে ১২০ ডিগ্রী হয়।এই কোণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে কক্সা ভালগা ও হ্রাসকে কক্সা ভ্যারা বলে।[১]
কাজ
সম্পাদনাপেশি সংযোগ
সম্পাদনাঅতিরিক্ত ছবি
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ Bojsen-Møller, Finn; Simonsen, Erik B.; Tranum-Jensen, Jørgen (২০০১)। Bevægeapparatets anatomi [Anatomy of the Locomotive Apparatus] (Danish ভাষায়) (12th সংস্করণ)। পৃষ্ঠা 239–241। আইএসবিএন 978-87-628-0307-7।
- ↑ Bojsen-Møller, Finn; Simonsen, Erik B.; Tranum-Jensen, Jørgen (২০০১)। Bevægeapparatets anatomi [Anatomy of the Locomotive Apparatus] (Danish ভাষায়) (12th সংস্করণ)। পৃষ্ঠা 364–367। আইএসবিএন 978-87-628-0307-7।