উলাইস যুদ্ধ
উলাইস যুদ্ধ (আরবি: معركة أليس) ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইরাকে রাশিদুন খিলাফত এবং সাসানীয় পারস্য সাম্রাজ্যের বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এটিকে লোহিত সাগর যুদ্ধ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, কারণ এই যুদ্ধ বহু পারস্য সাসানীয় এবং আরব খ্রিস্টান হতাহত হয়েছিল।
উল্লাইস যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: মুসলিমদের পারস্য বিজয় | |||||||
ফোরাত নদী এবং এর উপনদী খাসিফ (ইরাক)-এ দেখানো অঞ্চলের সংক্ষিপ্ত বিবরণ যেখানে উল্লাইসের যুদ্ধ হয়েছিল | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
খিলাফতে রাশিদা |
সাসানীয় সাম্রাজ্য আরব মিত্র | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
খালিদ বিন ওয়ালিদ |
জাবান আব্দুল আসওয়াদ † আবজার † | ||||||
শক্তি | |||||||
১৮,০০০[১] | ৭০,০০০ | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
~২,০০০ | ৭০,০০০ নিহত[২][৩][৪] | ||||||
এটি এই যুদ্ধটি মুসলমান এবং পারস্য সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘটিত চারটি ধারাবাহিক যুদ্ধের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ ছিল। যেখানে প্রতিটি লড়াইয়ে পারস্য ও তাদের মিত্রদল পুনরায় একত্রিত হতো এবং পুনরায় যুদ্ধ করতো। এই যুদ্ধের ফলে ইরাক থেকে সাসানীয় পারস্য সেনাবাহিনী পশ্চাদপসরণ করে এবং রাশিদুন খিলাফতের অধীনে মুসলমানরা বিজয়ী হয়।
পটভূমিসম্পাদনা
এই যুদ্ধটি ছিল পারস্য সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সংগঠটিত মুসলমানদের পরপর চারটি লড়াইয়ের একটি।
১২ হিজরিতে রাশিদুন খলিফা আবু বকর সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদকে ইরাক বিজয়ের জন্য প্রেরণ করেন। ইরাকের সম্রাটের নিকট সমঝোতামূলক চিঠি প্রেরণ করলে সে কাযিমা নামক স্থানে সৈন্য প্রেরণ করে এবং খালিদ তাদেরকে পরাজিত করে। তারপর পারস্য সম্রাট আর্দোশের সেনাপতি কারিনের অধীনে বাহিনী প্রেরণ করে, এবং ছানীর যুদ্ধে তারাও পরাজিত হয়। অতপর আর্দোশের দুজন সেনাপতির অধীনে ওয়ালাজায় সৈন্য প্রেরণ করে তবে তারাও জয়ী হতে পারেনা। এই যুদ্ধে আরব খ্রিস্টানদের একটি বড় দল পারস্যদের সাথে যোগ দেয় এবং তারা পরাজিত হয় এবং অসংখ্য লোক হতাহত হয়। আরব খ্রিস্টানরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইরানের সম্রাটের নিকট বাহিনীর আবেদন করে এবং সম্রাট ওলাজা যুদ্ধের সেনাপতিদ্বয়ের একজন বাহমান জাবিয়াকে প্রেরণ করে। তবে সে নিজের স্থানে অন্য একজনকে সেনাপতি বানিয়ে প্রেরণ করে এবং নিজে রাজধানীতে ফিরে আসে। ফেরার পথেই সম্রাটের অসুস্থতার খবর পায় এবং সেখানেই থেমে যায়।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Ikram1
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Ibn Kathir, Al-Bidaya Wal Nihaya: Vol. 6, p. 381 http://islamport.com/w/tkh/Web/927/2443.htm
- ↑ Tabari: Vol. 2, p. 561-562
- ↑ The Sword of Allah”: Chapter no: Chapter 22, by Lieutenant-General Agha Ibrahim Akram, Nat. Publishing. House, Rawalpindi (1970) আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭১০১-০১০৪-৪.