উমা সেন

বিপ্লবী নারী।

উমা সেন ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী। কিশোরী বয়স থেকে পরিবারের মাঝে থেকেই রাজনৈতিক বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

উমা সেন
জন্ম১৮ অক্টোবর ১৯১৬
মৃত্যু২১ মার্চ ১৯৪৮
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)

 ভারত
শিক্ষাএম.এ.
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, ফরওয়ার্ড ব্লক, নোয়াখালী দাঙ্গা কাজ করেন
দাম্পত্য সঙ্গীবিনয়েন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত
পিতা-মাতা
  • সত্যেন্দ্রনাথ সেন (পিতা)
  • বিনয়লতা সেন (মাতা)
আত্মীয়অমরেন্দ্রনাথ সেন (বড় ভাই)

জন্ম ও পরিবার সম্পাদনা

উমা সেন ১৯১৬ সালে মেদিনীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সত্যেন্দ্রনাথ সেন ও মাতার নাম বিনয়লতা সেন। তার দাদা ছিলেন বিপ্লবী অমরেন্দ্রনাথ সেন। ১৯৪৪ সালে উমা সেন এম.এ. পাস করেন। বিনয়েন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের সঙ্গে তার বিবাহ হয়।[১]

রাজনৈতিক কাজে অনুপ্রেরণা সম্পাদনা

তার উপর দাদার বিপ্লবী কাজগুলো প্রভাব ফেলেছিলো। ১৯২৭-২৮ সালে মেদিনীপুরে এসেছিলেন তরুণ বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত। তিনি ‘বেণু’ পত্রিকার মাধ্যমে আনলেন একটা নতুন তরঙ্গ। উমা সেনের কিশোর মনের উপর কাগজখানির লেখাগুলি গভীর রেখাপাত করে। এছাড়াও বিপ্লবী সত্যভূষণ গুপ্ত, হেমেন গুপ্ত, শান্তিগোপাল সেন, জ্যোতিষ গুহ প্রভৃতি তাঁকে বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত করেন।[১]

রাজনৈতিক কাজ সম্পাদনা

উমা সেনের উপর ছিল পার্টির খবরের আদান-প্রদান, অর্থ সংগ্রহ করা ইত্যাদি কিছু কিছু কাজের দায়িত্ব। ১৯৪৬ সালে বন্ধু ও নেতৃবর্গ জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর তাদের সঙ্গে তিনি ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’-এ যোগদান করেন। নোয়াখালির দাঙ্গার পর, দাঙ্গাবিধ্বস্তদের মধ্যে গিয়ে তিনি লীলা রায়ের নেতৃত্বে সেখানে কিছুদিন কাজ করেন। [১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ২৩০-৩১। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0