উইকিপিডিয়া আলোচনা:বাংলা ভাষায় আরবি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ

সাম্প্রতিক মন্তব্য: Zaheen কর্তৃক ৪ মাস আগে "কিছু কথা" অনুচ্ছেদে

কিছু কথা সম্পাদনা

বাংলা ভাষায় ইসলাম বিষয়ক গ্রন্থ ও রচনাবলীতে বহুকাল ধরেই আরবী ভাষার শব্দের বাংলা প্রতিবর্ণীকরণ হয়ে আসছে এবং এগুলির সিংহভাগই কিছু বিশেষ রীতিনীতি মেনে চলে। ঐসব রীতিতে অন্তঃস্থ য, দীর্ঘ ঈ, ইত্যাদি বাংলা বর্ণ ব্যবহার করে আরবী ভাষার শব্দের উচ্চারণের সূক্ষ্ম পার্থক্য (হ্রস্ব বা দীর্ঘ স্বরবর্ণ) ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ইদানিং বিদেশী শব্দের বানানে দীর্ঘ ঈ, দীর্ঘ ঊ পরিহার করার যে সুপারিশ করা হয়েছে, সেই সুপারিশে আজ পর্যন্ত বহু দশক, হয়ত শত বছরেরও বেশী সময় ধরে গড়ে ওঠা আরবি-ফার্সি শব্দের বাংলা প্রতিবর্ণকরণে ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস, ইসলামের শিক্ষা, কিংবা আরব ইতিহাস, ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাভাষী মুসলমান পণ্ডিতদের যে লেখ্য ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে, সেই ঐতিহ্যকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন আরবী শব্দের যে প্রতিবর্ণীকরণ নীতি অনুসরণ করে প্রায় ৩০ খণ্ড বিশ্বকোষ প্রণয়ন করেছে, এই নতুন সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হলে তার প্রতিটি পাতায় শত শত বানান পরিবর্তন করতে হবে। আমার মতে আরবি শব্দের বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে দীর্ঘ ঈ, ইত্যাদি বর্জনের সুপারিশ অত্যন্ত অদূরদর্শী, সুপ্রতিষ্ঠিত লেখ্য ঐতিহ্যের পরিপন্থী এবং এর ফলে ভবিষ্যতে এর কারণে বাংলা ভাষায় প্রচলিত হাজার হাজার আরবি ব্যক্তি ও স্থাননামের প্রতিবর্ণীকরণে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আমি তাই মনে করি যে এই সুপারিশকে বাংলা উইকিপিডিয়ায় অগ্রাহ্য করা উচিত। - অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৭:৫১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন

"বাংলা ভাষায় আরবি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ" প্রকল্প পাতায় ফিরুন।