ঈসা বে মসজিদ
ঈসা বে মসজিদ (তুর্কি: İsa Bey Camii), ১৩৭৪-৭৫ সালে নির্মিত,[১] আনাতোলীয় বেয়লিক-দের থেকে অবশিষ্ট স্থাপত্য শিল্পের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক কাজগুলির মধ্যে একটি। মসজিদ-টি সেলচুক, ইজমির-এ আয়াসলুগ পাহাড়ের উপকণ্ঠে অবস্থিত।
ঈসা বে মসজিদ | |
---|---|
![]() | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | সেলচুক |
প্রদেশ | ইজমির |
অঞ্চল | এজিয়ান অঞ্চল |
অবস্থান | |
অবস্থান | সেলচুক, তুর্কি |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | শামলি দিমিসক্লিওগ্লু আলী |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামিক, সেলজুক স্থাপত্য |
সম্পূর্ণ হয় | ১৩৭৪–৭৫ |
নির্দিষ্টকরণ | |
দৈর্ঘ্য | ৫৬ মিটার (১৮৪ ফু) |
প্রস্থ | ৪৮ মিটার (১৫৭ ফু) |
গম্বুজসমূহ | ২ |
গম্বুজের ব্যাস (বাহিরে) | ৯.৪ মিটার (৩১ ফু) and ৮.৪ মিটার (২৮ ফু) |
মিনার | ১ |
উপাদানসমূহ | কাটা পাথর, মার্বেল, ইট |
ইতিহাসসম্পাদনা
এটি স্থপতি 'আলি বি মুশাইমিশ দিমিসক্লিওগ্লু, আয়দিনিদ ইসা বে'র সম্মানে তৈরি করেছিলেন।[২] মসজিদের পরিকল্পনা দামেস্কের মহান মসজিদের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।[৩]
মসজিদটির পূর্ব ও পশ্চিমে দুটি প্রধান প্রবেশপথ রয়েছে এবং এতে একটি ফোয়ারা কোর্ট রয়েছে।[৩] পশ্চিম দেয়ালে শিলালিপি এবং জ্যামিতিক আকার খোদাই করা আছে। এই দেয়ালগুলো মার্বেল দিয়ে আবৃত, যেখানে বাকি পাশের সম্মুখভাগগুলো কাটা পাথর দিয়ে তৈরি। এটি একটি ৪৮-বাই-৫৬-মিটার (১৫৭ বাই ১৮৪ ফু) ভিত্তির উপর অপ্রতিসমভাবে নির্মিত। ৯.৪ মিটার (৩১ ফু) এবং ৮.১ মিটার (২৭ ফু) ব্যাস বিশিষ্ট এর গম্বুজের রিমগুলি ইজনিক (নিসিয়া) টাইলস দ্বারা সজ্জিত। বারোটি গোলাকার স্তম্ভ বারান্দা দিয়ে ঘেরা এর উঠানের ভিতরে দাঁড়িয়ে আছে। এর ইটের মিনারটি একটি অষ্টভুজাকার ভিত্তির উপর নির্মিত এবং ব্যালকনি থেকে উপরের অংশটি ধ্বংসপ্রাপ্ত। মসজিদটির পশ্চিমে আরেকটি মিনার ছিল, যা এখন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে একটি দরজা খোলার কারণে মিহরাব (কুলুঙ্গি বা বেদি) অন্য মসজিদে স্থানান্তরিত হয়েছিল। মসজিদের ঠিক পাশেই পিরামিড আকৃতির ছাদ সহ পাথর ও ইট দিয়ে তৈরি একটি অষ্টভুজাকৃতি সেলজুক সমাধি রয়েছে।
১৮২৯ সাল নাগাদ মসজিদটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ১৮৪২ সালের মধ্যে মিনারটি পড়ে যায়।.[৪] ঊনবিংশ শতাব্দীতে, এটি একটি ক্যারাভানসেরাই হিসাবেও ব্যবহৃত হত।
চিত্রশালাসম্পাদনা
আরও দেখুনসম্পাদনা
টীকাসম্পাদনা
- ↑ The Evolution of Architectural Form in Turkish Mosques (1300-1700), Suut Kemal Yetkin, Studia Islamica, No. 11 (1959), 76-77.
- ↑ Bloom, Jonathan M. (১৯৯৩)। "On the Transmission of Designs in Early Islamic Architecture"। Muqarnas। 10: 21–28। জেস্টোর 1523168। ডিওআই:10.2307/1523168।
- ↑ ক খ Bloom, Jonathan; Blair, Sheila S.; Blair, Sheila (১৪ মে ২০০৯)। Grove Encyclopedia of Islamic Art & Architecture: Three-Volume Set। OUP USA। পৃষ্ঠা 142–143। আইএসবিএন 978-0-19-530991-1।
- ↑ Michael Greenhalgh, From the Romans to the Railways: The Fate of Antiquities in Asia Minor, (Brill, 2013), 90.
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- Bayrak, Orhan M. (1994). p. 407, Türkiye Tarihi Yerler Rehberi (expanded 3rd edition). İnkılâp Kitabevi. আইএসবিএন ৯৭৫-১০-০৭০৫-৪.
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- অনেক ছবি সহ ইসাবে মসজিদের ইতিহাস ও স্থাপত্য ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে
- ইসাবে মসজিদের ছবি
- ইসাবের মসজিদের ৩০টির বেশি ছবি