ইলি তুর্কি মূলত চীনে ব্যবহৃত একটি তুর্কীয় ভাষা। ১৯৮০ সালে এই ভাষার প্রায় ১২০ জন ভাষিক ছিল। বর্তমানে এটি গুরুতরভাবে বিপন্ন ভাষা, এবং তরুণ প্রজন্ম এই ভাষার পরিবর্তে কাজাখ বা উইঘুর ভাষা ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে।[৩]

ইলি তুর্কি
İlı turkeşi (ইলি তুর্কেশি)
দেশোদ্ভবচীন, কাজাখস্তান
অঞ্চলশিনচিয়াং
মাতৃভাষী
(১৯৮০ অনুযায়ী চীনে ১২০ জন)[১]
চীনে ৩০টি পরিবার (২০০৭); কাজাখস্তানে বিলুপ্তপ্রায়
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-৩ili
গ্লোটোলগilit1241[২]
এই নিবন্ধটিতে আধ্বব ধ্বনিমূলক চিহ্ন রয়েছে। সঠিক পরিবেশনার সমর্থন ছাড়া, আপনি ইউনিকোড অক্ষরের পরিবর্তে প্রশ্নবোধক চিহ্ন, বক্স, অথবা অন্যান্য চিহ্ন দেখতে পারেন।

শ্রেণিবিন্যাস সম্পাদনা

ইলি তুর্কি তুর্কীয় ভাষাগুলির কার্লুক গোষ্ঠীর অন্তর্গত বলে মনে হয়, যদিও এটি এমন বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে যার ফলে এটিকে কিপচাক ভাষগুলির নিম্নস্থ স্তরের ভাষা হিসাবেও মনে হয়।[৪][৫]

ইলি তুর্কির চাগাতাই এবং কিপচাক বৈশিষ্ট্যগুলির তুলনা নিচে দেখানো হয়েছে:

ইলি তুর্কিতে কিপচাক ও চাগাতাইয়ের বৈশিষ্ট্য
কাজাখ (কিপচাক) ইলি তুর্কি উজবেক (চাগাতাই) ইংরেজি
নিম্ন স্বরবর্ণের পর *G > w taw taw tɒɣ পর্বত
সন্বন্ধবাচক সমীভবন tyje+niŋ/et+tiŋ tʉjæ+nin/et+tin tʉjæ+niŋ/et+niŋ উটের/মাংসের
উচ্চ স্বরবর্ণের পরে *G> w> Ø sarɨ sarɨq sarɨq হলুদ (রং)
দ্বিত্বব্যঞ্জন লোপ seɡiz sekkiz sækkiz আট

ভৌগোলিক বন্টন সম্পাদনা

ইলি তুর্কি চীনের ইলি কাজাখ স্বায়ত্বশাসিত প্রিফেকচারে ইলি নদী এবং তার উপনদী বরাবর এবং ইনিং শহরাঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। কাজাখস্তানে এই ভাষার কিছু ব্যবহারকারী থাকতে পারে। ইলি তুর্কি কোন দেশের সরকারী ভাষা হিসাবে গণ্য হয়নি।

ধ্বনিবিন্যাস সম্পাদনা

ব্যঞ্জনধ্বনি সম্পাদনা

উভয়ৌষ্ঠ্য দন্তমূলীয় তালব্য পশ্চাত্তালব্য অলিজিহ্ব্য কণ্ঠনালীয়
নাসিক্য m n ŋ  
স্পর্শ p b t d k ɡ q    
উষ্ম s z ʃ χ ʁ h
তাড়নজাত ɾ
নৈকট্য l j w

স্বরধ্বনি সম্পাদনা

সম্মুখ কেন্দ্রিক/পশ্চাৎ
কুঞ্চিত অকুঞ্চিত
সংবৃত i ʉ ɨ
মধ্য e ɵ
বিবৃত æ ɑ

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. এথ্‌নোলগে ইলি তুর্কি (২২তম সংস্করণ, ২০১৯)
  2. হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Ili Turki"গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট। 
  3. "ইলি তুর্কি : এন্ডেঞ্জার্ড ল্যাঙ্গুয়েজেস প্রজেক্ট" 
  4. চাও শিয়াং রু, রেইনহার্ড এফ হান (১৯৮৯)। "দি ইলি তুর্ক পিপ্যল অ্যান্ড দেয়ার ল্যাঙ্গুয়েজ"সেন্ট্রাল এশিয়াটিক জার্নাল। হারাসউইটজ ভেরলাগ। ৩৩ (৩/৪): ২৬০–২৮৯। (সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  5. রেইনহার্ড এফ হান (১৯৯১)। "অ্যান্ অ্যানোটেটেড স্যাম্পেল অফ ইলি তুর্কি"আক্টা ওরিয়েন্টালিয়া সাইন্টিয়ারুম হাংগেরিক্যা। আকাদেমিয়াই কিয়াদো। ৪৫ (১): ৩১–৩৫। (সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা