ইপ্সউইচ টাউন ফুটবল ক্লাব

ইপ্সউইচ টাউন ফুটবল ক্লাব (ইংরেজি: Ipswich Town F.C.; সাধারণত ইপ্সউইচ টাউন এফসি এবং সংক্ষেপে ইপ্সউইচ টাউন নামে পরিচিত) হচ্ছে ইপ্সউইচ ভিত্তিক একটি ইংরেজ পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় স্তরের ফুটবল লিগ ইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটি ১৮৭৮ সালের ১৬ই অক্টোবর তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২৯,৬৭৩ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট পোর্টম্যান রোডে দ্য ট্র্যাক্টর বয়েজ নামে পরিচিত ক্লাবটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে।[২] বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন উত্তর আয়ারল্যান্ডীয় সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় কিয়েরান ম্যাককেনা এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মাইক ও'লিয়ারি[৩] বর্তমানে মিশরীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় স্যাম মুরসি এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।[৪][৫]

ইপ্সউইচ টাউন
পূর্ণ নামইপ্সউইচ টাউন ফুটবল ক্লাব
ডাকনামদ্য ট্র্যাক্টর বয়েজ
প্রতিষ্ঠিত১৬ অক্টোবর ১৮৭৮; ১৪৫ বছর আগে (1878-10-16)
মাঠপোর্টম্যান রোড
ধারণক্ষমতা২৯,৬৭৩[১]
সভাপতিইংল্যান্ড মাইক ও'লিয়ারি
ম্যানেজারউত্তর আয়ারল্যান্ড কিয়েরান ম্যাককেনা
লিগইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপ
২০২২–২৩২য়
ওয়েবসাইটক্লাব ওয়েবসাইট
বর্তমান মৌসুম

ঘরোয়া ফুটবলে, ইপ্সউইচ টাউন এপর্যন্ত ১০টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে একটি প্রিমিয়ার লিগ, তিনটি ইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপ এবং একটি এফএ কাপ শিরোপা রয়েছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, এপর্যন্ত ১টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যা হচ্ছে ১৯৮০–৮১ উয়েফা কাপলুক চেম্বার্স, রিচার্ড নেইলর, ফাবিয়ান উইলনিস, ড্যারিল মারফি এবং পাবলো কুয়ানিয়াগোর মতো খেলোয়াড়গণ ইপ্সউইচ টাউনের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

ইতিহাস সম্পাদনা

ক্লাব প্রতিষ্ঠার প্রায় ৮৪ বছর পর, ১৯৬২–৬৩ মৌসুমে ইপ্সউইচ টাউন প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবলের শীর্ষ স্তর ফুটবল লিগ প্রথম বিভাগে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৬২ সালের সালের ২৮শে এপ্রিল তারিখে, ফুটবল লিগ প্রথম বিভাগে ক্লাব ইতিহাসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আলফ রামসির অধীনে ইপ্সউইচ টাউন অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে ২–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[৬] ১৯৬২–৬৩ ফুটবল লিগ প্রথম বিভাগে ইপ্সউইচ টাউন ২৪টি জয় এবং ৮টি ড্রয়ে সর্বমোট ৫৬ পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকায় ১ম স্থান অর্জন করেছিল,[৭] যেখানে রে ক্রোফোর্ড ৩৩টি গোল করে লিগে ইপ্সউইচ টাউনের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা