ইন্দোনেশিয়া-কলম্বিয়া সম্পর্ক

ইন্দোনেশিয়া-কলম্বিয়া সম্পর্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং কলম্বিয়া এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯৮০ সালে, এই দুই দেশের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতায়, ইন্দোনেশিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় কলম্বিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[১] উভয় রাষ্ট্রই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং বহুমাত্রিক সংগঠন, যেমন: প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন কাউন্সিল, কেয়ারন্স গ্রুপ এবং সিভেটস ব্লক এর সদস্য।

ইন্দোনেশিয়া-কলম্বিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Colombia এবং Indonesia অবস্থান নির্দেশ করছে

কলম্বিয়া

ইন্দোনেশিয়া

ইতিহাস সম্পাদনা

 
বোগোতায় অবস্থিত ইন্দোনেশীয় দূতাবাস

১৯৮০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, এই দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[২][৩] তবে সেই সময়েই দুই দেশের কোনটিই, একে অপরের ভূমিতে দূতাবাস স্থাপন করে নি। ব্রাজিল এর রাজধানী ব্রাসিলিয়াতে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের নিকট, কলম্বিয়া সংক্রান্ত কূটনৈতিক এবং অন্যান্য দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল এবং এই দূতাবাসের মাধ্যমেই ইন্দোনেশিয়া, কলম্বিয়া সম্পর্কিত কার্যাবলী সম্পন্ন করত। আবার একইভাবে, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে অবস্থিত কলম্বিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে, কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কিত কূটনৈতিক এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করত। তবে সেসময়, জাকার্তায়, কলম্বিয়ার একটি কনস্যুলেট ছিল

এরপর ১৯৮৩ সালে, কলম্বিয়া, জাকার্তায় অবস্থিত কলম্বিয়ার কনস্যুলেটকে, দূতাবাসে উন্নীত করে। কিন্তু ২০০২ সালের ২৯ নভেম্বর কলম্বিয়া এই দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। দূতাবাস বন্ধের পেছনে কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে। অপরদিকে ১৯৮৯ সালের মে মাসে, কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতায়, ইন্দোনেশিয়া নিজেদের দূতাবাস স্থাপন করে। কলম্বিয়ায় নিযুক্ত, ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রদূত ছিলেন ডঃ ত্রেংগোনো। তিনি, ১৯৮৯ সালের ১৬ জুন কর্মস্থলে যোগদান করেন এবং সেই দিনই কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি, ভার্জিলো বারকো ভারগাস এর নিকট নিজের পরিচয় সনদ জমা দেন। এরপর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত, সর্বদাই, কলম্বিয়াতে, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি ছিল।[৪]

২০১১ সালের ৭ মার্চ কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস ক্যালদেরন, জাকার্তায়, কলম্বিয়ার দূতাবাস পুনরায় চালু করার ঘোষণা দেন। উদীয়মান বাজার হিসেবে, কলম্বিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া উভয়েই সিভেট ব্লকের সদস্য। এছাড়াও, এই ব্লকের সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা, পটভূমি, সক্ষমতা প্রায় সমমানের। এছাড়াও, কলম্বিয়া এশিয়াতে নিজেদের বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চায়। এর জন্য দেশটি, ইন্দোনেশিয়াকে এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচনা করে। এর পাশাপাশি কলম্বিয়া ইন্দোনেশিয়ার সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায়। আর এসব কারণ উল্লেখ করেই কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় নিজেদের দূতাবাস পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. কলম্বিয়া দূতাবাস, জাকার্তা
  2. "Relaciones Internacionales: Indonesia" (স্পেনীয় ভাষায়)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলম্বিয়া। ২০১১-০৭-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-০১ 
  3. "Kerjasama Bilateral: Kolombia" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইন্দোনেশিয়া। ২০১১-০৭-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-০১ 
  4. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলম্বিয়া (১৯৮৯)। Memoria de Relaciones Exteriores [Memoirs of Foreign Affairs] (স্পেনীয় ভাষায়)। ন্যাশনাল প্রিন্টিং অফিস অব কলম্বিয়া। পৃষ্ঠা ৩৫৭। 
  5. "Presidente Santos designó al empresario Carlos Urrea como nuevo Embajador en China" [President Santos designated the businessman Carlos Urrea as new Ambassador in China] (স্পেনীয় ভাষায়)। বোগোতা: কলম্বিয়া প্রশাসন। ২০১১-০৩-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-০১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা