ইন্ট্রাপ্যারেনকাইমাল রক্তক্ষরণ

ইন্ট্রাপ্যারেকাইমাল রক্তক্ষরণ (ইংরেজি: Intraparenchymal hemorrhage) হচ্ছে ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণের একটি ধরন যেখানে মস্তিষ্কের প্যারেনকাইমার অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণের ঘটনা ঘটে। ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণের অপর ধরনটি হচ্ছে ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার রক্তক্ষরণ

ইন্ট্রাপ্যারেনকাইমাল রক্তক্ষরণ

সকল ধরনের স্ট্রোকের ৮-১৩% ইন্ট্রাপ্যারেকাইমাল রক্তক্ষরণের সাথে সংশ্লিষ্ট। বিভিন্ন কারণে এ ধরনের রক্তক্ষরণ সংঘটিত হতে পারে এবং অনেক প্রকার ব্যাধির সাথে এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এ ধরনের রক্তক্ষরণের ফলে আক্রান্ত রোগী অনেক ক্ষেত্রেই মৃত্যু বা মারাত্মক ধরনের পঙ্গুত্বের স্বীকার হন যার ঝুঁকি সাবঅ্যারাকনয়েড রক্তক্ষরণ বা ইস্কিমিক স্ট্রোকের চেয়ে বেশি। এজন্য এই রোগের ক্ষেত্রে অতি দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। রক্তক্ষরণ ও এর কারণে সৃষ্ট ইডিমার (যা প্রচলিত অর্থে পানি জমা হিসেবে পরিচিত) ফলে মস্তিষ্কের অন্তঃকরোটি চাপ বৃদ্ধি পায় যার ফলে মস্তিষ্কের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে স্নায়বিক ত্রুটি দেখা দিতে পারে। চাপের কারণে যদি মস্তিষ্কের প্যারেনকাইমা খুব বেশি স্থানচুত্য হয় তবে তা চাপ পর্যায়ক্রমে আরও বৃদ্ধি করতে পারে এবং প্রাণঘাতী ব্রেইন হার্নিিয়েশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

চিকিৎসা সম্পাদনা

ইন্ট্রাপ্যারেনকাইমাল রক্তক্ষরণসহ সকল প্রকার ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণ-ই অত্যন্ত মারাত্মক একটি জটিলতা এবং এসকল ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে জীবনরক্ষাকারী শল্যচিকিৎসা, সহায়ক ব্যবস্থা, এবং সৃষ্ট লক্ষণসমূহ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। চিকিৎসা মূলত রক্তক্ষরণের স্থান, তীব্রতা, এবং কারণের ওপর নির্ভর করে। সুচিকিৎসা প্রায় ক্ষেত্রেই রোগীকে সৃষ্ট ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।

জমাট বাধা রক্ত, ত্রুটিপূর্ণ রক্তবাহিকা, বা টিউমার অপসারণের জন্য ক্রেনিওটমি করার প্রয়োজন পড়তে পারে। মস্তিষ্ক ফুলে ওঠা, খিঁচুনি রোধকল্পে, ব্যথা ও নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

শ্রেণীবিন্যাস