ইনায়েত হোসেন খান
উস্তাদ ইনায়েত হুসেন খান (১৮৪৯-১৯১৯) ছিলেন একজন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এবং রামপুর-সহসওয়ান ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা। এই ঘরানা পরবর্তিতে তার কন্যা ও জামাতাদের মাধ্যমে বিকাশ লাভ করে।
উস্তাদ ইনায়েত হুসেন খান | |
---|---|
জন্ম | ১৮৪৯ সহসওয়ান, বদায়ূঁ জেলা, আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশ |
মৃত্যু | ১৯১৯ (বয়স ৭০) |
পেশা | হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত কণ্ঠশিল্পী |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
উদ্ভব | সহসওয়ান, মুঘল সাম্রাজ্য |
ধরন | হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত, রামপুর-সহসওয়ান ঘরানা |
প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা
ইনায়েত হুসেন খানের পিতা মেহবুব খান রামপুর রাজ দরবারের একজন সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। সঙ্গীতের প্রতি পুত্রের আগ্রহ দেখে তিনি নিজে প্রথমে প্রাথমিক সঙ্গীতের শিক্ষা দেন এবং পরে রাজ দরবারের সুরশৃঙ্গার বাদক, তানসেনের বংশধর হিসাবে কথিত উস্তাদ বাহাদুর হুসেনের তত্ত্বাবধানে রাখেন। তিনি ইনায়েতকে তার সৃষ্ট বিরল রাগে ঐতিহ্যবাহী খেয়াল ও উৎকৃষ্ট তারানা শিক্ষা দেন এবং তিনি নিজের প্রতিভায় ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সেরা হিসাবে গণ্য হন। তিনি নিজে সৃষ্টি করেন- 'ইনায়েত পিয়া' ও 'ইনায়েত মিয়া' ,যেমন- ছায়ানট রাগে 'ঝানানা ঝানানা' বা গৌড় মোল্লার রাগে 'পাপি দাদুরবা বুলাইয়ে' বা মারু বিহাগ রাগে 'তরপত রৈনা দেনা' ।[১]
কর্মজীবন সম্পাদনা
পরে ইনায়েত হুসেন খান রামপুর হতে গোয়ালিয় যান। সেখানে গোয়ালিয়র ঘরানার হাদ্দু খানের কন্যার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার নিজস্ব গায়কি শৈলীর সঙ্গে গোয়ালিয়র ঘরানার প্রভাবের সমন্বয়ে রামপুর-সহসওয়ান ঘরানা প্রতিষ্ঠিত হয়। সেকারণে এটিকে কখনও কখনও গোয়ালিয়র ঘরানার একটি শাখা হিসাবে গণ্য করা হয় [২]
আরও দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "The Great Musician:Inayat Hussain Khan"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৫।
- ↑ Rampur-Sahaswan Gharana