অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগ, কলকাতা মাদ্রাসা
অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগ, কলকাতা মাদ্রাসা (ইংরেজি: Anglo Persian Department Calcutta Madrasah, সংক্ষেপে A. P Department, Calcutta Madrasah) কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার একটি স্বতন্ত্র ভাষা ইনস্টিটিউট, এটি ইনস্টিটিউট ইঙ্গ-ফারসি বিভাগ নামেও পরিচিত ছিলো।[১] এই ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য ছিলো কলকাতার শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষ করে তোলা, যাতে করে শিক্ষার্থীরা সরকারি অফিস-আদালতে চাকরি করতে পারে।[২] ১৮৫৩ সালে কলকাতা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে অধ্যক্ষ এলায়স স্প্রেংগারের তত্ত্বাবধায়নে এই বিভাগটি চালু করা হয়। এই বিভাগটি এতোটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো যে, ভারতের ও বাংলাদেশের সকল আলিয়া মাদ্রাসায় এই বিভাগের সিলেবাস অনুসরণ করে নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো।[৩]
ধরন | কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার ইনস্টিটিউট |
---|---|
স্থাপিত | ১৮৫৩ |
মূল প্রতিষ্ঠান | মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, কলকাতা |
ঠিকানা | মাদ্রাসা ক্যাম্পাস , |
ওয়েবসাইট | ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮৫৩ সালে এই মাদ্রাসার কার্যক্রম, গতিবিধি ও শিক্ষাব্যবস্থা তদন্ত করার জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী নবাব আবদুল লতীফকে প্রধান করে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়।[৪] এই কমিটির কাজ ছিলো মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন চলছে, কীভাবে শিক্ষা সংস্কার করলে মাদ্রাসার ইংরেজি ও ইসলামি আইন শিক্ষা ত্বরান্বিত হবে। নবাব লতিফ তদন্ত শেষে সরকারকে একটি ইংরেজি শিক্ষার উচ্চতর বিভাগ খোলার অনুরোধ করেন, যাতে করে এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের সমপর্যায়ের দক্ষতা অর্জন করতে পারে।[৫] এবং এই ইংরেজি শেখার বিশেষ বিভাগ খোলা হলে মাদ্রাসাটি কলকাতার উচ্চ বংশের মুসলিমদের দৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইনস্টিটিউট ইঙ্গ-ফারসি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ইনস্টিটিউটে উচ্চ ইংরেজি স্কুলের মানের সাথে মিল রেখে ইংরেজি ও ফার্সি ভাষার উপর বিশেষভাবে শিক্ষা প্রদান করা হতো, যাতে করে উচ্চ অভিজাত মুসলিমরা ইংরেজিতে অতি দক্ষ হতে পারে।[৬]
অন্তর্ভুক্তি
সম্পাদনা১৮৫৩ সালে বিভাগটি স্থাপিত হওয়ার পরে ভারত ও বাংলাদেশের বহু মাদ্রাসায় এই বিভাগ চালু করা হয়েছিলো, এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু:
- অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগ, হুগলী মোহসিনীয়া মাদ্রাসা
- অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগ, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা
- অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগ, ঢাকা মোহসিনীয়া মাদ্রাসা (১৯১৬)
- অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগ, রাজশাহী মোহসিনীয়া মাদ্রাসা
- অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগ, চট্টগ্রাম মোহসিনীয়া মাদ্রাসা
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনা- নবাব আবদুল লতীফ, অধ্যাপক।[৪]
- কামরুল হাসান, প্রাক্তন শিক্ষার্থী।[৭]
- জহির রায়হান, প্রাক্তন শিক্ষার্থী।[৮]
- শহীদুল্লা কায়সার, প্রাক্তন শিক্ষার্থী।[৯]
- কলিম শরাফী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী।[১০]
- শামসুল হক ফরিদপুরী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
আরো দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "A.P.DEPT. CALCUTTA MADRASAH - Ward-62, District Kolkata (West Bengal)"। schools.org.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২০।
- ↑ "Education First"। school.banglarshiksha.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২০।
- ↑ "BSI NEWSLETTER" (পিডিএফ)। www.bsi.gov.in/। পৃষ্ঠা 6। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২২।
- ↑ ক খ শাহনাওয়াজ, ড. এ কে এম। "সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য - সম্পাদকীয়"। দৈনিক যুগান্তর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "দক্ষিণ এশিয়ায় মাদ্রাসাশিক্ষা: প্রাক-ঔপনিবেশিক এবং ঔপনিবেশিক আমল"। Protichinta। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "BANGLAPEDIA: Calcutta Madrasa, The"। web.archive.org। ২০০৮-১০-০৭। Archived from the original on ২০০৮-১০-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২০।
- ↑ "একজন কামরুল হাসান এবং একটি দেশের পতাকা"। Dainik Gaibandha (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৫-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২০।
- ↑ "এই দিনে জহির রায়হান"। দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২০।
- ↑ "শহিদুল্লা কায়সার"। Bengal Society (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১২-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২০।
- ↑ "কলিম শরাফী - জাতীয়"। Premier News Syndicate Limited (PNS)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২০।