ইদ্রিস আহমদ

ইদ্রিস আহমদ (জন্ম: সেপ্টেম্বর ১৩, ১৮৯৪ - মৃত্যু: অক্টোবর ৯, ১৯৬৬) উপমহাদেশের একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ। যুক্তফ্রন্ট এর প্রার্থী হিসেবে ১৯৫৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো প্রাদেশিক আইন পরিষদ সদস্য (এম.এল.এ) নির্বাচিত হন।

প্রাথমিক জীবন

ইদ্রিস আহমদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাদনচক গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে ১৮৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুর্শিদাবাদের নিমতিতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রাস পাশ করেন ১৯১৩ সালে, রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯১৫ সালে এফ.এ এবং একই কলেজ থেকে ১৯১৭ সালে ডিস্টিংশনসহ প্রথম শ্রেণীতে বি.এ. পাশ করেন।

রাজনীতি

শেরে বাংলা এ. কে. ফজুলুল হক এর ঘনিষ্ঠ একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। তিনি তৎকালীন কৃষক প্রজা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। ১৯২৮ সালে তঃকালীন দুর্লভপুর ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। এর পরে মালদহ জেলা বোর্ড এর ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালে আইনসভার নির্বাচনে দক্ষিণ মালদহ আসনে মুসলিম লীগের প্রভাবশালী প্রার্থীকে বিপুল ভোটের পরাজিত করে আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন।

ঐতিহাসিক দেশ বিভাগের পরে ১৯৪৮ সালে তিনি রাজশাহী জেলা বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট এর প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো প্রাদেশিক আইন পরিষদ সদস্য (এম.এল.এ) নির্বাচিত হন।

সমাজসেবা

ইদ্রিস আহমেদ অষ্টম শ্রেনীতে পড়াকালীন সময়ে নিজ উদ্যগে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তিতে তিনি তার জীবনে মোট আট টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সরকারের পক্ষে জমি একুয়ার করাসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’বার জ্যেষ্ঠতম সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন।

সমাজসেবা এবং রাজনীতির পাশাপাশি তিনি তার জীবনে বেশ কিছু গবেষণাধর্মী বই লিখেছেন যার কিছু প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে পতিত ইসলাম, মোসলেম অভাব, বংগ দেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, কৃষকের মর্মবাণী, লাক্ষা আবাদ, মানুষ না মেথর, জবা (উপন্যাস), লাল গোলাপ (উপন্যাস), তিন তালাকে বিপত্তি (উপন্যাস) প্রভৃতি।

মৃত্যু

সমাজসেবী, রাজনীতিবিদ ইদ্রিস আহমদ ৯ অক্টোবর ১৯৬৬ সালে মৃত্যবরণ করেন