ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম
ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (উলফা) (অসমীয়া: সংযুক্ত মুক্তি বাহিনী, অসম) হল উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য সংগঠনের মত আসামের একটি বিদ্রোহী সংগঠন[১][২][৩] যারা ভারতীয় প্রজাতন্ত্র থেকে আসামের সার্বভৌমত্ব দাবি করে সশস্ত্র লড়াই করছে। ভারত সরকার ১৯৯০ সালে সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।[৪] মার্কিন সরকারের স্টেটস ডিপার্টমেন্ট সংগঠনটিকে "দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন এমন সংগঠনের" তালিকাভুক্ত করেছে।[৫]
ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম | |
---|---|
চেয়ারম্যান | অভিজিত অসম |
কমান্ডার-ইন-চিফ | পরেশ বড়ুয়া |
প্রতিষ্ঠাতা | পরেশ বড়ুয়া |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৭৯ |
সদস্যপদ | ১০,০০০ |
ভাবাদর্শ | আসামী জাতীয়তাবাদ সার্বভৌমত্ব |
দলীয় পতাকা | |
ওয়েবসাইট | |
archived version |
উলফা রাঙ গড়ে ৭ই এপ্রিল ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১][৬] সুনীল নাথের তথ্যানুসারে ১৯৮৩ সালে নাগাল্যান্ডের জাতীয়তাবাদী সমাজতান্ত্রিক কাউন্সিলের সাথে উলফা সম্পর্কিত। এছাড়াও ১৯৮৭ সালে বার্মার কেআই এর সাথেও উলফা সম্পর্কিত।[৭] ১৯৯০ সালের দিকে সংগঠনটি সশস্ত্রভাবে সক্রিয় হওয়া শুরু করে যা এখনো চলছে। ভারতের সেনাবাহিনী ১৯৯০ সাল থেকেই উলফার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এখন পর্যন্ত উলফা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে চলা সংঘর্ষে ১৮,০০০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।[৮] ২০০৯ সালের ৫ই ডিসেম্বর সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও ডেপুটি-কমান্ডার-ইন-চিফকে ভারতীয় তদন্তের সম্মখীন করা হয়।[৯]
উলফা নেতাদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশে আত্মগোপনে চলে আসে এবং কেউ কেউ বাংলাদেশ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। এরপর বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকার তাদের হস্তান্তরের জন্য উলফা বিষয়ে বিভিন্ন সময় বৈঠকের আয়োজন করে। ২০১০ সালের জানুয়ারি উলফার একটি অংশ তাদের নমনীয় অবস্থান ভারত সরকারের কাছে তুলে ধরে স্বাধীনতার দাবি থেকে ফিরে এসে সরকারের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নেন।[১০] অপরদিকে পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন একটি অংশ পূর্বের দাবিতেই অটল থাকে। ৩০শে জানুয়ারি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার অস্ত্র চোরাচালানের একটি মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন।
২০১১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উলফার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা না করার জন্য ভারত সরকার, আসাম সরকার ও উলফার মধ্যে একটি ত্রিমুখী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।[১১]
পদটীকা
সম্পাদনা- ↑ ক খ "United Liberation Front of Assam (ULFA) - Terrorist Group of Assam"। Satp.org। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "India's Treacherous Northeast"। YaleGlobal Online। ২০২১-০৫-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "Banned Organizations"। Ministry of Home Affairs of India। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "Banned Terrorist Organisations"। nia.gov.in। ২০১৪-০১-১৯। Archived from the original on ২০১৪-০১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ Department Of State. The Office of Electronic Information, Bureau of Public Affairs (৩০ এপ্রিল ২০০৭)। "Chapter 6 -- Terrorist Organizations"। 2001-2009.state.gov। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Why the militant group ULFA matters ahead of Assam Assembly Polls"। The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ (Nath)
- ↑ "Five killed in Assam bomb blasts"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০১-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "Ulfa leaders held, admit China link"। Hindustan Times। ৫ ডিসেম্বর ২০০৯। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "ULFA softens demand on Assam independence"। Reuters। ৩ জানুয়ারি ২০১১। ৬ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১১।
- ↑ "Tripartite agreement signed with ULFA"। The Hindu। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- Nath, Sunil। "Assam: The Secessionist Insurgency and the Freedom of Minds"। Faultlines। South Asia Terrorism Portal। 13। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ULFA Archived home page
- Bloody Tea - Program on Aljazeera telecast beginning 30 May 2007. On YouTube: Part 1, Part 2. Retrieved 2007-12-29.
- ULFA - Terrorist Group from Assam from South Asia Terrorism Portal
- Assam at GlobalSecurity.org
- Report on the most recent ULFA attack on poor migrant workers, January 2007[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- "ULFA cadres went to Pak via Bangla for training in explosives, say Assam cops"[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - article in Yahoo! India News dated 15 June 2006
- "Media gag must go, journalists tell ULFA"[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - article in Yahoo! India News dated 15 June 2006
- "'Respect right to freedom of expression':Media to ULFA"[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - article in Yahoo! India News dated 15 June 2006
- "Assam on Red Alert following fresh ULFA strike"[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - article in Yahoo! India News dated 12 June 2006
- "Market blast kills at least 4 in Indian northeast"[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - article in Yahoo! India News dated 12 June 2006
- "Bomb kills 10 at India Independence Parade" - article in New York Times dated 15 August 2004
- Assam: How Ulfa terrorism altered demographic pattern ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ আগস্ট ২০১২ তারিখে dated 15 Aug 2012
- [১]
- [২]