ইংলিশ চ্যানেল
ইংলিশ চ্যানেল ([English Channel ইংগ্লিশ্ চ্যান্ল্, ফরাসি ভাষায়: La Manche লা মঁশ্] ত্রুটি: {{Lang-xx}}: text has italic markup (সাহায্য)) পশ্চিম ইউরোপের একটি সংকীর্ণ সাগর যা দক্ষিণে ইউরোপ মহাদেশের মূল ভূখণ্ডস্থিত রাষ্ট্র ফ্রান্স এবং উত্তরে গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপকে পৃথক করেছে এবং উত্তর সাগরকে আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ফরাসি ভাষায় এটি "লা মঁশ" (La Manche অর্থাৎ "কোটের হাতা") নামে পরিচিত। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার এবং এর প্রস্থ অবস্থানভেদে সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩৪ কিলোমিটার (ডোভারের প্রণালীতে) হতে পারে।[১] এটি ইউরোপীয় মহীসোপানের কাছাকাছি অবস্থিত অগভীর সাগরগুলির মধ্যে ক্ষুদ্রতম; এর আয়তন প্রায় ৭৫ হাজার বর্গকিলোমিটার।[২] পূর্বদিকে এর বিস্তার কমে মাত্র ৩৪ কিলোমিটার হয়ে যায় এবং সেখানে এটি ডোভার প্রণালীর মাধ্যমে উত্তর সাগরের সাথে সংযুক্ত। ইংলিশ চ্যানেলের প্রধান দ্বীপগুলির মধ্যে আছে আইল অভ ওয়াইট এবং চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জ। প্রধান বন্দরগুলির মধ্যে আছে ফ্রান্সের শেরবুর্গ ও ল্য আভ্র্, এবং গ্রেট ব্রিটেনের সাদাম্পটন। ছোট বন্দরগুলির মধ্যে আছে গ্রেট ব্রিটেনের ডোভার, প্লিমাথ ও পোর্ট্স্মাথ এবং ফ্রান্সের কালে, দাঁকের্ক, বুলোঞ-সুর-মের ও দিয়েপ। এই সব বন্দরগুলির মধ্যেই নিয়মিত ফেরি সংযোগ আছে। রেল ফেরিগুলি কোন বিরতি ছাড়াই লন্ডন ও প্যারিসের মধ্যে যাত্রী পরিবহন করে। ডোভার ও কালে শহরের মধ্যে ইংলিশ চ্যানেলের উপর দিয়ে আধা ঘণ্টার হোভারক্রাফট পরিবহনের ব্যবস্থা আছে। ১৮০২ সালে ইংলিশ চ্যানেলের তল দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের কথা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝিতে এসে এটির খননকাজ শুরু হয়। ১৯৯৪ সালে কাজটি সমাপ্ত হয় এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এই সুড়ঙ্গ দিয়ে যাত্রী, গাড়ি ও ট্রাক পরিবহন সম্ভব। ইংলিশ চ্যানেলে মাছ ধরা কমে গেছে; কেবল উত্তর-পশ্চিম ফ্রান্সের ব্র্যতাইন এলাকার কাছাকাছি মাছ ধরা প্রচলিত। এছাড়াও সেখানে রঁস নদীর মোহনায় চ্যানেলের শক্তিশালী জোয়ার কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। ইংলিশ চ্যানেলের তীরে, ফ্রান্স ও ব্রিটেন উভয় দেশেই অনেক সমুদ্রতীরবর্তী অবকাশ কেন্দ্র আছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |