অ্যাস্তর (উর্দু: ضلع استور‎‎) পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তান প্রদেশের দশটি জেলার মধ্যে অন্যতম একটি জেলা। জেলাটিতে অ্যাস্তর উপত্যকা রয়েছে (অ্যাস্তর শহরে অবস্থিত)। ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী জেলাটির পশ্চিমে ডায়মার জেলা (যেটি ২০০৪ সালে আলাদা করা হয়েছিল), পূর্ব দিকে গিলগিত জেলা, পূর্বে স্কার্দু জেলা ও দক্ষিণে খাইবার-পাখতুনখুয়া এবং আজাদ কাশ্মিরের নীলাম জেলার সীমানা ঘিরে রেখেছে। ১৯৯৮ সালের আদমশুমারীর হিসাব অনুসারে অ্যাস্তর জেলার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭১,৬৬৬ জন।

অ্যাস্তর জেলা
Astore District

ضلع استور
জেলা
অ্যাস্তার এর কাছাকাছি রমা উপত্যকা অবস্থিত
অ্যাস্তার এর কাছাকাছি রমা উপত্যকা অবস্থিত
গিলগিট-বালতিস্তান মানচিত্র (হলুদ রঙের) এবং অ্যাস্তর জেলার অবস্থান কমলা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।
গিলগিট-বালতিস্তান মানচিত্র (হলুদ রঙের) এবং অ্যাস্তর জেলার অবস্থান কমলা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।
দেশপাকিস্তান
অঞ্চলগিলগিট-বালতিস্তান
আয়তন
 • মোট৫,০৯২ বর্গকিমি (১,৯৬৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (1998)
 • মোট৭১,৬৬৬ [১]
সময় অঞ্চলপিএসটি (ইউটিসি+৫)
তহসিলের সংখ্যা
ওয়েবসাইট[২]

উপত্যকা সম্পাদনা

অ্যাস্তর উপত্যকাটি ৫,০৯২ বর্গ কিমি এবং ২৬০০ মিটার উচ্চতা অবস্থান করে গঠিত হয়েছে।

জলবায়ু সম্পাদনা

অ্যাস্তর উপত্যকায় গ্রীষ্মকালে মাঝারি জলবায়ু বিরাজমান। শীতকালে এটি প্রধান উপত্যকায় ৬ ইঞ্চি (১৫ সেমি) এবং পাহাড়ী অঞ্চলে ২-৩ ফুট (৬০-৯০ সেমি) পর্যন্ত বরফ পড়ে জমা হতে পারে। মিরমালিক উপত্যকায় এটি ফেব্রুয়ারিতে ৬ ফুট (১.৮ মিটার) পর্যন্ত তুষারপাত হয়ে থাকে।

ভাষা সম্পাদনা

উপত্যকায় কথিত প্রধান ভাষা বা মাতৃভাষা হচ্ছে শিনা। পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা উর্দু এখানে দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা হিসেবে পরিচিত। এই অঞ্চলটিতে ব্যবহৃত শিনের বিভিন্ন উপভাষা প্রচলিত রয়েছে। যেহেতু গ্রীষ্মকালীন মাসগুলিতে অ্যাস্তরে বেশকিছু পর্যটন এলাকা রয়েছে, যেমান: তারাশিং বা অস্টোরের স্থানীয় অঞ্চল। পর্যটন এলাকা হিসেবে এখানকার পুলিশ ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Individual district profile link, 2015"। Alif Ailaan। ২০১৬-০৩-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-০৭ 
  2. Gilgit - Imperial Gazetteer of India, v. 12, p. 239 According to the Imperial Gazetteer, which was compiled in the first decade of the twentieth century, the marriage took place over three hundred years ago