আশালতা বৈদ্য
আশালতা বৈদ্য (জন্ম: ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং একমাত্র নারী কমান্ডার। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২ লাভ করেন।[১]
আশালতা বৈদ্য | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পরিচিতির কারণ | মুক্তি যুদ্ধকালীন একমাত্র নারী কমান্ডার |
পুরস্কার | বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২ |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাআশালতা গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের লাটেঙ্গা গ্রামে ১৯৫৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা হরিপদ বৈদ্য এবং মা সরলাময়ী বৈদ্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ (সম্মান) ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি রোকেয়া হল ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২][৩]
কর্মজীবন
সম্পাদনাআশালতা বৈদ্য মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধের ৮ ও ৯নং সেক্টরে কোটালীপাড়া সীমানা সাব-সেক্টরের কমান্ডার হেমায়েত উদ্দিনের বাহিনীতে যোগ দেন। তিনি হেমায়েত বাহিনীর মহিলা কমান্ডের প্রধান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ৪৫ জন সশস্ত্র নারী মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় ৩৫০ জন নারী সৈনিকের সমন্বয়ে গঠিত এ মুক্তিযোদ্ধা দলের একমাত্র কমান্ডার ছিলেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০২২ সালে তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদকে ভূষিত হন।[২][৩][৪]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বঙ্গমাতা পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৮ আগস্ট ২০২২। ২৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ ক খ "মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র নারী কমান্ডার আশালতা বৈদ্য"। অনন্যা। ১৫ জানুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ ক খ "যোগ্য ছেলে না থাকায় মেয়েকেই যুদ্ধে পাঠান মা"। জাগোনিউজ২৪.কম। ৩১ মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "পাঁচ বিশিষ্ট নারীকে বঙ্গমাতা পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী"। সমকাল। ৮ আগস্ট ২০২২। ২৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২।