আশরাফ আলি খান (কবি)
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (জুলাই ২০১৮) |
আশরাফ আলি খান (১৯০১-১৯৩৯) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন বাঙালি কবি ও সাংবাদিক।[১]
আশরাফ আলি খান | |
---|---|
জন্ম | ১৯০১ পানাইল গ্রাম, আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৯ নভেম্বর ১৯৩৯ কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
পেশা | কবি, সাংবাদিক |
ভাষা | বাংলা |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | প্রেসিডেন্সি কলেজ |
ধরন | কবিতা |
প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা
আশরাফ আলি খান ১৯০১ সালে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার পানাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি এন্ট্রান্স পাস করেন। এরপর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে আইএ পাস করেন।[১]
কর্মজীবন সম্পাদনা
প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষা গ্রহণের পর তিনি কলকাতার আয়কর দপ্তরে চাকরি শুরু করেন। ১৯২৭ সালে সাপ্তাহিক বেদুঈন পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯২৮ সালে তিনি সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন এবং দৈনিক সোলতান পত্রিকার সম্পাদক হন। এছাড়াও তিনি রক্তকেতু পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
১৯২৯ সালে তিনি ঢাকায় বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিয়োজিত হন। তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক দর্জি সংঘ গড়ে তুলে দর্জি শ্রেণীর পক্ষে আন্দোলন করেছেন। এরপর তিনি কলকাতা ফিরে যান এবং নতুনভাবে বেদুঈন ও সাপ্তাহিক নও জওয়ান (১৯৩৮) প্রকাশ করেন।[১]
সাহিত্য সম্পাদনা
আশরাফ আলি খান বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রগতিশীল কবি। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ভোরের কুহু (১৯২৯), ইকবালের কাব্যগ্রন্থ শেকোয়া এর অনুবাদ (১৯৩৩), কঙ্কাল (১৯৩৫), গজল গান, হাতের মোয়া ইত্যাদি।[১]
মৃত্যু সম্পাদনা
আশরাফ আলি খান ১৯৩৯ সালের ১৯ নভেম্বর কলকাতায় আত্মহত্যা করেন।[১]