আলাপ:শেখ তৈয়বুর রহমান

সাম্প্রতিক মন্তব্য: Alomgir jcd কর্তৃক ৯ মাস আগে "শেখ তৈয়েবুর রহমান" অনুচ্ছেদে

জুলাই ২০২১ সম্পাদনা

@এস এম আলমগীর হোসেন: উপযুক্ত তথ্যসূত্র যোগ করে নিবন্ধটি উন্নত করুন। অন্যথায় অপসারিত হতে পারে। -ধর্মমন্ত্রী ওয়াইস আলাপ ১৭:১১, ১৬ জুলাই ২০২১ (ইউটিসি)উত্তর দিন

তথ্যসূত্র যোগ করা হয়েছে। — য়াহিয়া (আলাপঅবদান) - ১৩:২১, ১৭ জুলাই ২০২১ (ইউটিসি)উত্তর দিন

শেখ তৈয়েবুর রহমান সম্পাদনা

শেখ তৈয়েবুর রহমান ১৯৩৬ সালের ২১ অক্টোবর তিনি বাগেরহাট সদরের কররী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম শেখ মতিউর রহমান। মাতা মরহুমা সাহিদা খাতুন।

বাগেরহাট জেলা সদরের মধুদিয়া ইচ্ছাময়ী হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ, বাগেরহাট পি.সি. কলেজ থেকে বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে এল.এল.বি. ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৫৮ সাল থেকে তিনি নিজ গ্রামের মধুদিয়া ইচ্ছাময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতা করেন এবং স্কুলটিকে উন্নতির পথে নিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।

১৯৬৪ সাল থেকে ঐ স্কুলের কখনও সম্পাদক, সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে সভাপতি হন এবং আমৃত্যু পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

১৯৬৩ সালে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ন্যাপের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং খুলনা জেলার সভাপতি ছিলেন।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১৯৭৮ সালে তিনি খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন।

১৯৭৮ সালে গ্রামীণ কৃষকের উন্নতির জন্য কররী কৃষি ও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি গঠন করেন এবং এই সমিতির তিনি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।

১৯৭৯ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন।

তিনি বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি হিসেবে ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩৪তম অধিবেশনে যোগদান করেন।

১৯৮৮ সালে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৮০ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সেনেগাল ও তৎসহ মালি, মৌরতানিয়া, আইভরিকোষ্ট, সিয়েরালিয়ন, গিনি কোনাক্রী এবং গাম্বিয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন।

রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন তিন বছর কৃতিত্বের সাথে কূটনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সেনেগালের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বীকৃতি স্বরূপ স্বর্ণপদকে ভূষিত হন।

তিনি বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত ও মেয়র হিসেবে যোগদান করেন।

শেখ তৈয়েবুর রহমান টানা তিনবার খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নির্বাচিত মেয়র হিসেবে (১৭ বছর ১০ মাস) দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের ২২শে মে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ২ বছর ৭ মাস দায়িত্ব পালন করেন।

পুনরায় তিনি সরাসরি ভোটে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন এবং ১০ মার্চ ১৯৯৪ ইং তারিখে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

পরবর্তীতে ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। ৫ মে ২০০২ তারিখে তিনি তৃতীয়বারের মত খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি খুলনা জেলা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি ছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পূর্বে তিনি সংগঠিত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ছিলেন।

বঞ্চিত খুলনাবাসীর উন্নয়নের জন্য গঠিত খুলনা জেলা নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি। বহু সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। Alomgir jcd (আলাপ) ২০:১১, ২৫ জুন ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন

"শেখ তৈয়বুর রহমান" পাতায় ফেরত যান।