আলাপ:তরুণ গোগোই

সাম্প্রতিক মন্তব্য: Shovon76 কর্তৃক ১৫ বছর পূর্বে "আসাম। অসম নয়।" অনুচ্ছেদে

কিবলেন

আসাম। অসম নয়। সম্পাদনা

অসম বলে কোন রাজ্য ভারতের সংবিধানভুক্ত নয়। এই রাজ্যের নাম আসাম এবং কিছু অসমীয়া জাতীয়তাবাদি ছাড়া এই রাজ্যের নাম অসম বলে কেউ উল্লেখ করেন না।এই প্রসঙ্গে আসাম এর ওপর নিবন্ধের আলাপ দেখতে পারেন। ধন্যবাদ। শোভন ১৮:৪৬, ২ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আসাম-এর আলোচনাতে কোন তথ্যসূত্র দেখলাম না। অসম লেখার পক্ষে একটা যুক্তি হল অসমীয়া ভাষাতে অসমীয়া তথা বাংলা লিপিতে অসম-ই লেখা হয়। যে--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৫:০১, ৩ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)মন অসমীয়া উইকিপিডিয়াতে ওরা অসম লিখছে। তথ্যসূত্র থাকলে ব্যাপারটা সহজেই সমাধান হয়ে যাবে। আর ভারতের সংবিধানের কথা তুলছেন কেন? ভারতের সংবিধানের কোন বাংলা সংস্করণে আসাম বানান দেখেছেন নাকি? অনলাইনে ভারতের সংবিধানের বাংলা সংস্করণ পাচ্ছি না, তবে হিন্দি সংস্করণ আছে দেখছি। সেখানে সংবিধানের প্রথম শিডিউলে হিন্দিতে অঙ্গরাজ্যটার নাম লেখা আছে असम, যা বর্ণ-থেকে-বর্ণ প্রতিবর্ণীকরণ করলে বাংলায় দাঁড়ায় অসম। এখন এটা দিয়ে যে অসম উচ্চারণই নির্দেশ করা হয়েছে, তা নিশ্চিত, কেননা ঠিক পরের প্যারাতেই বিহারের বানান লেখা হয়েছে बिहार, অর্থাৎ বিহার, হ-এর পরে সুস্পষ্ট আ-কার দিয়ে। অর্থাৎ ভারতীয় সংবিধানেও অসম উচ্চারণকেই পছন্দ করা হয়েছে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৯:৩৫, ২ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
Definitive তথ্যসূত্র দিচ্ছি। ভারতের আনন্দ পাবলিশার্স থেকে ১৯৯৭-এ প্রকাশিত বাংলা লেখক ও সম্পাদকের অভিধান-এ ৩৪ পৃষ্ঠায় এ সম্পর্কে বলা হয়েছে:

"অসম বি. ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যবিশেষ। পূর্ব-প্রচলিত 'আসাম'-এর চেয়ে অসম সংগততর এবং ক্রমশ অধিকতর প্রচলিত হচ্ছে।"

ভারতের আনন্দবাজারের মত বড় ও জনপ্রিয় একটা পত্রিকাগোষ্ঠী যখন তাদের স্টাইল গাইডে অসম-এর পক্ষে মত দিয়েছে, এর পর আর কোনও দ্বিধা থাকার কথা না। আমি এখন মোটামুটি নিশ্চিত, তাই নিবন্ধের আসাম-গুলিকে অসম করে দিচ্ছি। তবে আরও আলোচনা করতে চাইলে করতে পারেন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৯:৫০, ২ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, আজকের ২রা আগস্ট, ২০০৮-এর লাইভ আনন্দবাজার ওয়েবসাইটেও "অসম" লেখা। প্রথম পাতায় একটা রিপোর্টের হেডিং দেখছি "চিন অলিম্পিকে 'অংশ' নিতে রওনা দিল দার্জিলিং-অসম চা"। http://www.anandabazar.com/2bus2.htm দেখুন। আর্কাইভ হয়ে যাবার পর লিংকটা কাজ করবে না। পারলে আজই দেখুন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৯:৫৮, ২ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
Please refer to this. Why I spoke of Indian constitution is because it is neither written in Hindi nor in Bengali. And if you follow the convention as drawn by the ABP Ltd, then the names of many other articles will have to be changed. (BTW, I know this to be Assam and not Asom, as I am from the state itself, although that does not count here.)Thanks. শোভন ২০:০৪, ২ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
Like I said, I looked at the discussion, and I didn't see any reference from you. And there is a Hindi version of the Indian Constitution and I provided the link in my previous comment. Are you an Assamese person? In that case, don't you write the name of your state as অসম? I am looking at Assamese newspaper websites like http://www.assamiyakhabor.com/, http://www.asomiyapratidin.co.in/epaper/default.aspx, http://www.dainikagradoot.com/ and they all are using the spelling অসম। And you are saying that you are from the state of Assam and you do not write অসম? I don't think this is helping your position. --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২০:২০, ২ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
You are again missing the link. Ok, see this one, http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AA:%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE. Regarding, the Assamese bit, I am from Assam and I am a Bengali and I don't call my state Asom. Is that ok with you? শোভন ২০:২৮, ২ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
I did not miss the link. I read the discussion. I am afraid your claim is not enough for me. I gave you examples from four different newspapers, three popular ones in Assam, and the biggest newspaper in West Bengal, and they all use the spelling অসম। How you personally pronounce and spell the name of the state is not the issue here. May be you are in a minority? I don't know. The question is how we write it here. According to Anandabazar, আসাম was its preferred Bengali spelling in the past, but nowadays the spelling অসম is prevalent। And plenty of references in favor of it can be collected from the Internet. I gave several above. --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২০:৪০, ২ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
Also, the links you gave in that discussion is about the English spelling of the state (that is, Asom or Assam?), not the Bengali spelling. I am afraid this is not the place to discuss that. The prevalent spelling using Bengali letters seems to be অসম। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২০:৪৩, ২ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

অসমীয়া ভাষাতে এলাকাটির নাম কী লেখা হয় তা এখানে আদৌ গুরুত্বপূর্ণ না। আসাম এলাকাটি বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে মোটেও অপরিচিত না, কাজেই *বাংলা ভাষা*তে এই এলাকার নাম কী লেখা হয়, এখানে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আনন্দবাজার ছাড়া অন্যান্য বাংলা ভাষার পত্রপত্রিকা, পাঠ্যপুস্তক, ভূগোল বই ইত্যাদিতে কী বানান ব্যবহার করা হয়? আমি এটা অন্তত বলতে পারি যে, বাংলাদেশের যাবতীয় মিডিয়া, পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদিতে "আসাম" বানান ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গে কী বানান ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেটা সেখানকার অধিবাসীদের কাছে জানতে পারবো, জয়ন্ত বা পিয়াল এই ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানাতে পারবেন। সেটুকু জানলেই বাকি বাংলাভাষীদের ব্যবহার করা বানানের ব্যাপারে জানা যাবে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২২:৫০, ২ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আর আনন্দবাজার নিশ্চয়ই বাংলা বানানের নীতিনির্ধারক না (পত্রপত্রিকার বানান ব্যবহারের উপরে নির্ভর করা চলে না, এই বিষয়ে অর্ণব অনেকবার আমাদের জানিয়েছেন)। তাই সরকারী প্রকাশনা, বই পত্র, ইত্যাদিতে কী লেখা হয় তা পশ্চিমবঙ্গের কারো কাছে জানতে চাই। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২২:৫২, ২ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আরও কিছু ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। অসম/আসাম বিতর্কটা আরও বেশ কিছু দিন চলবে বলে মনে হচ্ছে। এটা ঠিক যে সংবাদপত্রে প্রকাশিত বানান যাচাই না করে হঠাৎ ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে সব বা সংখ্যাগুরিষ্ঠ পত্রিকা যদি একই বানান বহুদিন ধরে ব্যবহার করে, তবে সেই বানানের গুরুত্ব বেড়ে যায়। তার পরেও কথা থাকে। আনন্দবাজারের ক্ষেত্রে শুধু দৈনিক পত্রিকা নয়, গোটা আনন্দ পাবলিশার্সের সমস্ত পত্রিকা এবং বইয়ের জন্য প্রযোজ্য স্টাইল গাইডে অসম বানান ব্যবহার করা হচ্ছে। এর অর্থ, আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত সমস্ত বইতেই এখন অসম বানান-ই ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য পত্রিকাতে কী বানান ব্যবহার করে? এই লিংক অনুসারে দৈনিক আজকাল পত্রিকা ব্যবহার করে "আসাম" বানান। আবার এই লিংকে দেখতে পাচ্ছি দৈনিক বর্তমান পত্রিকা ব্যবহার করছে "অসম" বানান (রিপোর্টের শিরোনাম "অসমের ৫০০ একর জমি দখল করেছে বাংলাদেশ")। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে পত্রিকাভেদে অসম, আসাম দুই বানানই ব্যবহার করা হচ্ছে।

আনন্দ পাবলিশার্স পশ্চিমবঙ্গের একটা বড় প্রকাশনা সংস্থা এবং তারা তাদের সব বইতে অসম বানান ব্যবহার করছে। আনন্দের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কম নয়। অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থাও কি তা-ই করছে? বাংলা ভাষায় ছাপা ভূগোল বইয়ে কী লেখা হয়, সে কথা রাগিব জানতে চেয়েছে। আরেক বড় প্রকাশনা সংস্থা দে'জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত যোগনাথ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ভূগোল অভিধান (১৯৯৯) বইতেও দেখতে পাচ্ছি "অসম" ব্যবহার করা হয়েছে।

আমার মনে হয় অসমের বানানের ব্যাপারে বিগত দুই-এক দশকে এই পরিবর্তন এসেছে। এর আগে বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে পশ্চিমবঙ্গেও আসাম বানানই সম্ভবত লেখা হত (যেমন বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে প্রকাশিত সুবলচন্দ্র মিত্রের সরল বাঙ্গালা অভিধান-এ দেখতে পাচ্ছি আসাম লেখা)। কিন্তু ইদানিং খোদ অসম রাজ্যে প্রচলিত বানানটাকেই বাংলাতেও স্বীকৃতি দেবার জন্য অসম বানান ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে হয়। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৫:০১, ৩ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

দেখুন ভাই অর্ণব, আমি এখানে কোনও বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাইনা, সেটা আমার অভিপ্রায়ও নয়। কিন্তু ব্যাপারটা আসামের যেকোন বাঙ্গালীর জন্যে যথেষ্ট অনুভুতিশীল ব্যাপার। অসম নামটা এবং অসমিয়া ভাষা, আসাম সরকার অনেকবারই চালু করতে চেয়েছে। ষাটের দশকে শিলচরে ১১ জন এবং আশির দশকে করিমগঞ্জে ২ জন ভাষা শহীদ বাংলা ভাষার সরকারী স্বীকৃতির জন্য প্রাণ দিয়েছেন। আনন্দবাজার পত্রিকাগোষ্ঠী ১৯৮৬ সালের আগে আসাম-ই লিখত। কিন্তু অসমিয়া জাতীয়তাবাদী নেতা তথা আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্তের সঙ্গে এক মিটিং এর পর থেকে এই পত্রিকা অসম লেখা শুরু করে। দুর্ভাগ্যবশত, আমি আপনাকে এই মুহূর্তে কোন প্রমাণ দিতে পারছিনা। কিন্তু একটা কথা বলতে পারি যে আমি সংখ্যালঘু নই, সব বাঙ্গালীরাই (আনন্দবাজারকে বাদ দিয়ে) আসাম বলেন। ধন্যবাদ। শোভন ১৪:৪৩, ৩ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আর আনন্দবাজার-ই যদি বাংলা বানানের ধারক ও বাহক হয়, তবে এখানে রাজীব গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী ইত্যাদি প্রবন্ধ কি করছে? এগুলোকে এখনই রাজীব গাঁধী, ইন্দিরা গাঁধী তে বদলানো দরকার। শোভন ১৪:৫২, ৩ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
শোভন, আপনি নির্দ্বিধায় যুক্তিসহ তর্ক করতে পারেন। আলোচনা পাতাগুলি রাখাই হয়েছে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য। উইকির কোন কিছুই একেবারে চরম চূড়ান্ত নয়। আপনি এ ব্যাপারে বেশ সংবেদনশীল বুঝতে পারছি। কিন্তু আপনি কি নিশ্চিত যে কেবল আনন্দবাজারই অসম লেখে? আমি তো দেখছি দে'জ পাবলিশিং-এর বই, দৈনিক বর্তমান, এগুলিতেও অসম বানানটা ব্যবহৃত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে অসম/আসাম নিয়ে এরকম যে একটা বানান বিতর্ক আছে, তা আমার জানা ছিল না। আর কিছুটা ঘাঁটাঘাঁটি করার পর আমি নিজেও বেশ দোটানায় আছি। এই অসম বানানের প্রচলনের বিরুদ্ধে কি প্রতিবাদ হয়েছে? আনন্দবাজার ১৯৮৬ সাল থেকে করে আসলে তো সেটা দুই দশকেরও বেশি হয়ে গেল। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৮:৪৮, ৩ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৮:৪৮, ৩ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আনন্দবাজারের বেশ কিছু বানান অপ্রচলিত ঠেকেছে। যেমন, গাঁধী [১], কন্দহর [২], "তাইল্যান্ড" [৩], "জন ম্যাকেন"। এহেন বানানধারী পত্রিকার বানানরীতিকে প্রচলিত বানানরীতি হিসাবে ধরে নেয়াটা আদৌ ঠিক হবে না। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২১:০৮, ৩ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
এটা ঠিক যে একটামাত্র পত্রিকায় ব্যবহৃত বানান, সেটা যদি সবচেয়ে বেশি সার্কুলেশনের পত্রিকাও হয়, যাচাই করে তারপরেই নেওয়া উচিত। তবে অসম বানানটা যদি আনন্দবাজার ছাড়াও অন্য প্রকাশনাতেও প্রচলিত হয়, তবে অন্য কথা। এক্ষেত্রে আনন্দবাজার ছাড়াও অন্য প্রকাশনাতেও অসম ব্যবহার করা হচ্ছে দেখছি। সে জন্যই সমস্যা। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৮:১৪, ৪ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
পিয়ালের বক্তব্য এখানে পিয়ালদা বলবেন, আমি শুধু বলব, আমি ছোট বেলা থেকেই, আসাম জেনে এসেছি এবং বিভিন্ন বইতে আসামই পড়েছি। আর বর্তমানে আনন্দবাজার পত্রিকাগোষ্ঠী দৌলতে আসাম কে অসম দেখছি, গান্ধী কে গাধীঁ দেখছি। আমি রাগিব ও শোভনের সঙ্গে একমত।আনন্দবাজার পত্রিকার বানানরীতিকে প্রচলিত বানানরীতি হিসাবে ধরে নেয়াটা আদৌ ঠিক হবে না। আসামের বাঙ্গালীরা কিবলেন জানি না , ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের সব বাঙ্গালীরাই (আনন্দবাজারকে বাদ দিয়ে) আসাম বলেন। আমি অন্তত এখানে কাউকে আসাম কে অসম বলতে শুনিনি। অসমিয়া ভাষী লোকেরা আসাম কে অহম বলেন, আমি কোনো প্রমান দিতে পারবো না, বোধহয় ঐ অহম টাকেই অসম বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আর আনন্দবাজার পত্রিকাগোষ্ঠী এর প্রচারক, যা অধিক প্রচলিত তাই সর্ব স্থানে এর প্রভাব পরছে। আজও আসামকে অসম দেখলে চোখ আটকে যায়।ধন্যবাদ। জয়ন্ত নাথ ১৩:০০, ৪ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আলোচনাটা অনেকদিন থেকেই হচ্ছে দেখছি । আসলে আমার মনে হয় আসাম আর অসম দুটোই ঠিক । কারন দুটোই বহুল প্রচলিত । যেকোন একটাকে ঠিক ধরে নেওয়া অসঙ্গত হবে । আসলে ভারতীয় উপমহাদেশে ভাষার বৈচিত্র বিশাল । মাত্র দশ পনেরো কিলোমিটারের ব্যবধানেই মানুষের উচ্চারণ পালটে যায় । ইংরেজিতে লেখা হয় Assam । এর উচ্চারন অসম বা আসাম দুই হতে পারে । অসমিয়া উইকিতে অসম লেখা আছে । আর হিন্দি উইকিতে অসম বা আসাম লেখা আছে । কিন্তু বাংলা ভাষাভাষিদের ভিতরে আসাম বেশি প্রচলিত । তাই বানানের ক্ষেত্রে যা বেশি প্রচলিত তাই নেওয়া হবে যদি তা ভুল হয় তাও এই নীতি অনুসরণ করলে আসাম হওয়াই বাঞ্ছনীয় । অসম লিখে তাকে আসামে রিডাইরেক্ট করা হোক । আসাম নিবন্ধের শুরুতে পরিষ্কার ভাবে আসাম বা অসম বলে উল্লেখ করা হোক হিন্দি উইকির মতো । আবার আসামবাসীরা যে অসম কে অহম উচ্চারন করেন এবং অসমীয়াকে বলেন অহমিয়া এরকম আমিও শুনেছি । তথ্যসূত্র পেলে এটাও যোগ করতে হবে আসাম নিবন্ধে । এখানে একটা মজার বিষয় হল আমরা বেশি আসাম বললেও আসামের অধিবাসীকে অসমিয়া বলি আসামিয়া নয় ।

আর আনন্দবাজারের বানাননীতি সম্পর্কে একটা কথা বলতে চাই যে ঠিক হোক ভুল হোক তবু তাদের একটা বানাননীতি আছে এবং প্রত্যেক বিতর্কিত বানানের জন্য তাদের নিজস্ব যুক্তি আছে । কিন্তু কলকাতা থেকে প্রকাশিত অন্য সংবাদপত্রগুলির যে কোন বানাননীতি আছে তা বোঝা যায় না । পিয়াল ১৬:০৯, ৪ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

পিয়াল আর জয়ন্তের কথা পড়ে মনে হচ্ছে নিবন্ধের ভেতরে আসাম লেখাটাই বেশি সমীচীন হবে। আর অসম থেকে রিডিরেক্ট করাই আছে। প্রসঙ্গক্রমে গাঁধী বানানটা নিয়ে একটু বলতে ইচ্ছে করছে। এটা আবার কবে থেকে চালু হল? হিন্দির অনুস্বর (অর্থাৎ বর্ণের উপরের ফুটকি) আর বাংলার চন্দ্রবিন্দুতে বিস্তর ফারাক আছে। পরবর্তী ব্যঞ্জন কী, তার উপর নির্ভর করে হিন্দি অনুস্বরের উচ্চারণ পালটে যায়। যেমন পরবর্তী ব্যঞ্জন যদি ত-বর্গের হয়, যেমন हिंदी, गांधी এই সব শব্দে যেমন অনুস্বরের পরে ত, ধ আছে তবে ঐ অনুস্বর বিন্দুটার উচ্চারণ ত-বর্গের অনুনাসিক ধ্বনি অর্থাৎ ন-এর মত হয়। অর্থাৎ উচ্চারণ হয় হিন্‌দি, গান্‌ধি, এরকম। তার মানে বাংলায় যেভাবে হিন্দি, গান্ধী লেখা হয় তার মতই। গান্ধীকে গাঁধী লিখলে তো হিন্দিকেও হিঁদী লিখতে হবে। যারাই এটা করছেন, বোকামি করছেন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৮:১৯, ৪ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

ছাত্রাবস্থায়, আসামের পাঠ্যপুস্তকে পড়েছি যে, "আমাদের রাজ্যের নাম আসাম। এই নামকরণ হয়েছিল আহোম শব্দ আ-চাম মানে অপরাজেয় থেকে।" এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে বার্মার সৈন্যদলের আক্রমণের আগে পর্যন্ত আসাম অপরাজিত ছিল। এমনকি মোগল বা মুঘল সম্রাটেরাও আসাম জয় করতে পারেননি। তার সঙ্গে অবশ্য আরও বলা ছিল যে, "আসাম নামটির উৎপত্তি আহোম রাজাদের রাজ্য থেকেও হতে পারে। আর একটা কারণ হতে পারে যে এই রাজ্যের ভূমি অসমতল। এই অসম থেকেও আসাম শব্দের সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।" সম্ভবতঃ, আমার বাড়ীতে এখনও বইটা আছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশতঃ অক্টোবরের আগে আমি বাড়ী যাচ্ছিনা। শোভন ১৯:০৭, ৪ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
"তরুণ গোগোই" পাতায় ফেরত যান।