কোন প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট হিসাবকাল শেষে যে সমস্ত বিবরণী প্রস্তুত করা হয় তাকে আর্থিক প্রতিবেদন বলা হয়। আর্থিক প্রতিবেদন একটি প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন আর্থিক কার্যকলাপের প্রথাগত নতিভুক্তির একটি সারসংক্ষেপ যা থেকে এর ব্যাবহারকারীরা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে পারে। যৌথ মূলধনি ব্যবসায় লাভলোকসান আবণ্টন হিসাব, উদ্বৃত্তপত্র ও তহবিল প্রবাহ বিবরণ প্রস্তুত করা হয় যা আর্থিক প্রতিবেদনের অংশ।

আর্থিক বিবরণীর মূলত তিনটি অংশ রয়েছে যেগুলো হলঃ

যৌথ মূলধনি ব্যবসা বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন একটি জটিল হয়ে থাকে যেখানে আরও দুই ধরনের প্রতিবেদনের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। সেগুলো হলঃ

আর্থিক প্রতিবেদনের ব্যবহার সম্পাদনা

ব্যবসায়ে আর্থিক প্রতিবেদনগুলি বিভিন্ন প্রকার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বার্থযুক্ত থাকে। এই স্বার্থযুক্ত ব্যক্তিগণ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী এই প্রতিবেদনগুলি ব্যবহার করেন। এছাড়াও আর্থিক প্রতিবেদন আরও অনেক কাজে ব্যবহৃত হয় যেমন-

  • আর্থিক প্রতিবেদনের সাহায্যে পরিচালকগন আয়-ব্যয়ের অগ্রিম হিসাব নিকাশ ও পরিকল্পনা করে থাকেন।
  • ব্যবসায়ের মালিক লাভের পরিমাণ জানার জন্য এবং ভবিষ্যতে শেয়ারগুলো রাখবেন কি না এই সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে থাকেন।
  • আর্থিক প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে পরিচালকগণ লভ্যাংশ ঘোষণা করেন।
  • বিনিয়োগকারী ও পাওনাদাররা আর্থিক প্রতিবেদন থেকে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ স্থায়িত্ব ও ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা জানতে পারেন। কারণ আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ করলে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অবস্থা, ক্রেডিট রেটিং এবং নগদ প্রবাহ সম্পর্কে ধারণ পাওয়া যায়।
  • সরকার আর্থিক প্রতিবেদন হতে আয়কর, বিক্রয়কর, উৎপাদন কর, এবং অন্যান্য কর নির্ধারণ করে।

সরকারী আর্থিক বিবরণী সম্পাদনা

সাধারণত সরকারি আর্থিক প্রতিবেদন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসার আর্থিক প্রতিবেদন থেকে অনেক আলাদা হয়ে থাকে। সরকারি প্রতিবেদন সচরাচর হিসাব বিজ্ঞাম পদ্ধতি কিংবা বকেয়া ভিত্তিক হিসাব বিজ্ঞান পদ্ধতিতে তৈরী হয়ে পারে। সরকারি হিসাবে সাধারণত দ্বৈত ফলাফল ধারণা কিংবা চলতি ব্যবসায় ধারণা অনুপস্থিত থাকে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা