আর্জুমন্দ আলী (১৮৭০–১৯১৪) ব্রিটিশ ভারতের একজন সাহিতিক ছিলেন। তাঁর রচিত "প্রেমদর্পণ" হলো মুসলমান কর্তৃক বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম সামাজিক উপন্যাস। তিনি বহু কবিতা ও গান রচনা করেছিলেন। হৃদয়-সঙ্গীত তার কাব্যগ্রন্থ।

আর্জুমন্দ আলী
জন্ম১৮৭০
ভাদেশ্বর পূর্বভাগ, গোলাপগঞ্জ, সিলেট
মৃত্যু১৯৪১
সমাধিস্থলরূপসা, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।
পেশাস্কুল পরিদর্শক
ভাষাবাংলা
শিক্ষাপ্রবেশিকা
উল্লেখযোগ্য রচনাপ্রেমদর্পণ, হৃদয়-সঙ্গীত
আত্মীয়বন্দে আলী (বাবা)

জীবনীসম্পাদনা

আর্জুমন্দ আলী ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ ভারতের সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর পূর্বভাগ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বিখ্যাত ফতেহ খানের বংশধর। তার পিতার নাম ছিল বন্দে আলী। তিনি ১৮৯০ সালে প্রবেশিকা পাশ করে শিক্ষাজীবনের ইতি টানেন। প্রবেশিকা পাশ করেই স্কুল ইন্সপেক্টরের চাকরি গ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি ছিলেন ভাবুক এবং সঙ্গীতপ্রিয়। তিনি ৩০ বছর বয়সে অন্ধ হয়ে যান, কিন্তু বাংলা সাহিত্যাঙ্গণে ঔপন্যাসিক হিসাবে যে সকল ঔপন্যাসিক তাদের কর্মের দ্বারা অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন আর্জুমন্দ আলী তাদের মধ্যে একজন। ১৮৯১ সালে ‘প্রেম দর্পণ’ উপন্যাস [১] রচনা করেন, যা মুসলমান রচিত প্রথম সামাজিক উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত। [২] তা’ছাড়া তিনি বহু কবিতা ও গান রচনা করেন। তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ ‘হৃদয় সঙ্গীত’। এটি প্রকাশিত হয় ১৯০৫ সালে। সেই সময়ে হাটে মাঠে তার সঙ্গীত গাওয়া হত। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অমায়িক এবং নিঃসন্তান। বাংলা সাহিত্যের এই কৃতিসন্তান ১৯১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

সাহিত্যকর্মসম্পাদনা

  • প্রেমদর্পণ (সামাজিক উপন্যাস, ১৮৯১)
  • হৃদয়- সঙ্গীত (কাব্যগ্রন্থ, ১৯০৫)

সমাধিসম্পাদনা

 
কবি আর্জুমন্দ আলীর সমাধি

এটি কবির সমাধি যা চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা গ্রামে অবস্থিত। তিনি রূপসা জমিদার পরিবারের সাথে শায়িত আছেন। কারণ তিনি বিয়ে করেছিলেন সম্ভ্রান্ত জমিদার উমেদ রেজা চৌধুরী ও সৈয়দা আফতাবেন্নেছা চৌধুরানীর কন্যা আমিনা খাতুন চৌধুরানীকে। স্বনামধন্য খান বাহাদুর আবিদুর রেজা চৌধুরী ছিলেন আমিনা খাতুনের ভাই।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. IT, Sparkle (২০২১-০২-২৮)। "লেখক, প্রকাশক ও সংগঠক বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল-এর শুভ জন্মদিন আজ"Banglavashi.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৯ 
  2. zubairjcpsc। "আবদুল মালিক চৌধুরীর নূতন ইমাম এবং প্রাসঙ্গিক কথা" (english ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৯