আরানি সিল্ক
আরানি সিল্ক শাড়ী একপ্রকারের সিল্কজাত হাতে বোনা শাড়ী, যা তামিলনাড়ু রাজ্যের আরানি অঞ্চলে পাওয়া যায়। [১] আরানি সিল্ক শাড়ির বৈশিষ্ট্য হল এই শাড়ির জমির ভিন্নভাবে দুদিকেই আঁচল থাকে যার ফলে শাড়িটিকে দুটো আলাদা শাড়ির মতো ব্যবহার করা যায়। এই হস্তশিল্প ভারতের ভৌগোলিক অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়।[২][৩]
আরানি সিল্ক | |
---|---|
ভৌগোলিক নির্দেশক | |
বর্ণনা | আরানি সিল্ক শাড়ি এক প্রকারের সিল্কজাত হাতে বোনা শাড়ি যার দুটো আঁচল থাকে এবং আঁচল দুটোতে জরির কাজ দেখা যায়। |
ধরন | হস্তশিল্প |
অঞ্চল | আরানি ,তামিলনাড়ু |
দেশ | ভারত |
উপাদান | সিল্ক |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | http://ipindia.nic.in/girindia/ |
অভিনবত্ব
সম্পাদনাআরানি সিল্ক তার ঐতিহ্যপূর্ন, সিল্ক তন্তুর বুননের গণ্য সুবিদিত। আরানি সিল্ক[৪] শাড়ির নক্সা অর্ধেক এক রঙের এবং বাকী অর্ধেক অংশ অন্য রঙের। এই শাড়ির দুদিকে দুটি ভিন্ন ধর্মী আঁচল থাকে। যার ফলে একই আরানি শাড়িকে দুবার এবং দু'ভাবে ব্যবহার করা যায়।
এই শাড়ির পাড়ের সীমানায় ফুলের নক্সা দেখা যায় এবং তা সুন্দর ভাবে সুসজ্জিত থাকে। আরানি সিল্ক শাড়ির আঁচল জরি অথবা বিভিন্ন রঙের সুতো দিয়ে বোনা হয়। আরানি সিল্ক কম ওজন বিশিষ্ট হয়।[৫]
পদ্ধতি
সম্পাদনাআরানি সিল্ক শাড়ির বৈশিষ্টমূলক পদ্ধতি হল, প্রথমে সুতোগুলিকে ভালো করে ধুয়ে প্রয়োজনীয় রঙ্গে চুবিয়ে রাখা হয় এবং ফোটানো হয়। পরবর্তী সময়ে বয়ন শিল্পীরা সুতোগুলিকে মাঝে মধ্যেই নাড়িয়ে দেন যাতে সুতোয় ভালোভাবে রঙ মেশে। এই পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল রঙ মেশানো যা ফেব্রিকের গঠনকে টেকসই করে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ RADHIKA SANTHANAM। "GI can protect handicrafts from abuse"। The Hindu Business Line।
- ↑ "GI shield for state's silk fabrics"। The Times of India। ২০১৩-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-২৯।
- ↑ "GEOGRAPHICAL INDIACTIONS JOURNAL NO. 30" (পিডিএফ)। ৯ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৬। line feed character in
|শিরোনাম=
at position 25 (সাহায্য) - ↑ "Brief Industrial Profile of Thiruvannamalai District 2012-13" (পিডিএফ)। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৬। line feed character in
|শিরোনাম=
at position 46 (সাহায্য) - ↑ "Geographical Indications Journal No 22&23 " (পিডিএফ)। ৯ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৮।