বেথনাল গ্রিন ত্রয়ী

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারীতে আইএস এ যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে পালানো তরুনী

আমীরা অ্যাবেজ, শামীমা বেগম এবং খাদিজা সুলতানা, এই তিন ব্রিটিশ স্কুলছাত্রী ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমি থেকে পালিয়েছিলো ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এবং লেভান্ত (আইএসআইএল) (বর্তমানে আইএস বা ইসলামিক স্টেট) এ যোগদান করার জন্য। ইনস্টিটিউট ফর স্ট্রাটেজিক ডায়ালগ-এর তথ্য অনুসারে ২০১৫ সালে আনুমানিক ৫৫০ জন নারী ও মেয়ে পশ্চিমা দেশ থেকে আইএস বা ইসলামিক স্টেটে যোগদানের উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়েছে।[১][২] বলা হয় যে, "একজন জিহাদি, নারীর ক্ষমতার উপ-সংস্কৃতি।"[৩]

প্রেক্ষাপট সম্পাদনা

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে অন্য এক মেয়ে একই স্কুল থেকে পালিয়ে সিরিয়া চলে গেলে এই তিন মেয়েকে পুলিশ বিভিন্ন প্রশ্ন করেছিলো ছিল। প্রশ্নোত্তরে তাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়নি।[৪] কিন্তু কিছুদিন পরে তারাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলো। তারা ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে ইস্তাম্বুল পৌঁছায় তুর্কি এয়ারলাইনস এর মাধ্যমে।[৪] তাদের পরিবার মার্চ মাসে তুরস্ক গিয়েছিলো তদন্ত করতে।কিন্তু তদন্ত ছিলো অপর্যাপ্ত.[৫]

তাদের অন্তর্ধানের জন্য দায়ী করা হয়েছে আকসা মাহমু নামের এক মহিলাকে। তিনি একজন গ্লাসগো নারী, যিনি ২০১৩ সালে IS এ যোগদান করেন। এই তিন মেয়ের সাথে তার ইলেকট্রনিক যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে।[৪] মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।[৬] মাহমুদ তা অস্বীকার করেন। [৭]

এই তিন মেয়েরা বাড়ির গয়না চুরি করে। তারা তা বিক্রি করে বিমানের টিকিট কিনে। তারা যদি এখনো  যুক্তরাজ্যে ফিরে আসে তবে তাদের কোন শাস্তি দেওয়া হবে না বলে ঘোষোনা দেওয়া হয়।[৮]

পরিণাম সম্পাদনা

অন্তর্ধানের ফলে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে মেট্রোপলিটন পুলিশকে House of Commons এর Home Affairs Select Committee এর কাছে প্রমাণ পেশ করতে হয়েছে।[৮] মেয়েদের পরিবারের  কাছে একটি কৈফিয়তনামা পাঠায় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।[৯]

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন যে, মানুষ IS এ যোগদান করবে এর জন্য পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয় নি।[১০][১১]

২০১৫ সালের মার্চ মাসে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিদেশ ভ্রমণের ওপর কড়া নজরদারি বাড়ানো হয়। অনেকে বলেছে স্কুলের মেয়েদের নাম প্রকাশ করা ঠিক হয়নি। কেউ বলেছে এটা জনস্বার্থ।[১২]

খাদিজার পরিবার ফোন সাক্ষাৎকারে ITV তে বলেন যে তারা বিশ্বাস করেন তার মেয়ে মারা গেছে যখন সে বিমানে পালাচ্ছিলো,সেই বিমান আকাশে ধ্বংস হয়ে যায়।[১৩][১৪] পরিবারের আইনজীবী  ITV তে বলেন যে, খাদিজা অন্য একজন মেয়ের মাধ্যমে পালানোর চেষ্টা করেছিলো যার নাম সামারা কেসিনোভিক, যাকে পালানোর সময় পিটিয়ে হত্যা করা হয়।[১৫]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Saltman, Erin Marie; Smith, Melanie (২০১৫)। ‘Till Martyrdom Do Us Part’ Gender and the ISIS Phenomenon (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। Institute for Strategic Dialogue। পৃষ্ঠা 4। ৩০ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  2. Thomas Hegghammer, an expert on Islamist militancy affiliated with the Norwegian Defence Research Establishment (source: GILSINAN, KATHY (২৫ জুলাই ২০১৪)। "The ISIS Crackdown on Women, by Women"Atlantic (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  3. GILSINAN, KATHY (জুলাই ২৫, ২০১৪)। "The ISIS Crackdown on Women, by Women"Atlantic (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  4. "Syria girls: Families 'cannot stop crying'"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  5. "Isil defector girls' families go to Turkey to probe disappearance"The Daily Telegraph (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  6. "Scots jihadi will be prosecuted if she comes home, say police"STV (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ মার্চ ২০১৫। ১ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  7. Cook, James (১৬ মার্চ ২০১৫)। "Glasgow 'jihadist' Aqsa Mahmood denies recruiting London girls"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  8. Barrett, David (১০ মার্চ ২০১৫)। "Three 'Jihadi brides' from London who travelled to Syria will not face terrorism charges if they return"The Daily Telegraph (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  9. Morris, Nigel (১২ মার্চ ২০১৫)। "Police sorry for failure to warn families of Isis girls about schoolfriend's flight"New Zealand Herald (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  10. "Leaders: Vigilance crucial or more will be lost to IS"The Scotsman (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  11. Beake, Nick (৩১ মার্চ ২০১৫)। "David Cameron concerned over Syria-bound London girls"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  12. Bowcott, Owen (২৭ মার্চ ২০১৫)। "Travel ban for five east London girls over fears they will join Isis in Syria"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  13. Henley, Jon; Dodd, Vikram (১২ আগস্ট ২০১৬)। "Kadiza Sultana: London schoolgirl who joined Isis believed killed in Syria airstrike"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৬ 
  14. Veselinovic, Milena; McKenzie, Sheena (১৪ আগস্ট ২০১৬)। "Family fears British girl who went to Syria is dead"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৬ 
  15. Dearden, Lizzie (১৪ আগস্ট ২০১৬)। "Isis jihadi bride Kadiza Sultana 'abandoned efforts to escape Syria after Austrian girl beaten to death'"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৬