আমঝুপি নীলকুঠি

মেহেরপুরে অবস্থিত ইংরেজ আমলে প্রতিষ্ঠিত নীলকুঠি

আমঝুপি নীলকুঠি মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত তৎকালীন ইংরেজ নীলকুঠি ও বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন[১] এটি মেহেরপুর জেলা থেকে ৬ কিলোমিটার পূর্বে আমঝুপি নামক গ্রামে অবস্থিত। এর পাশেই রয়েছে কাজলা নদী

আমঝুপি নীলকুঠি
আমঝুপি নীলকুঠি
ধরনপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
অবস্থানআমঝুপি ইউনিয়ন, মেহেরপুর সদর উপজেলা, মেহেরপুর
অঞ্চল৭৭ একর (০.৩১ কিমি)
পরিচালকবর্গবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
মালিকবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
সূত্র নংBD-D-39-81

ইতিহাস সম্পাদনা

উপমহাদেশে নীলচাষের অবসানের পর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৭২ সালে এটি প্রথম সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি তৈরির শুরুর দিকে নীলকুঠি হিসেবে ব্যবহার করলেও ক্রমেই এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ইতিহাসবিদদের মতে, এই নীলকুঠিটি খুব সম্ভবত ১৮০০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[২]

কুঠিটিতে কেনি, সিম্পসন, জেমস হিল, ফারগুন ক্রফোর্ড, ওয়ার্টস, হ্যামিল্টন এবং আরও অনেক ইংরেজ শাসকদের অত্যাচার ও শোষণের সাক্ষ্য রয়েছে।

অবকাঠামো সম্পাদনা

আমঝুপি নীলকুঠিটির দুটি প্রবেশপথ রয়েছে। পুরো নীলকুঠি কমপ্লেক্সটি ৭৭ একরের বেশি জায়গাজুড়ে অবস্থিত। কমপ্লেক্সের মাঝখানে কুঠির মূল ভবনটি অবস্থিত ও এর দুপাশে রয়েছে ফুল বাগান। মাঝখানের প্রধান ভবনটির ভিতর রয়েছে ১৫টি কক্ষ। এছাড়াও ভবনটিতে রয়েছে বড় হল রুম, খাবার কক্ষ, নাচঘর ও অতিথিদের থাকার কক্ষ।

চিত্রসমূহ সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. লাবলু, আবু লায়েছ (২৫ অক্টোবর ২০১৩)। "মেহেরপুরের ঐতিহাসিক আমঝুপি নীলকুঠি আজ ধ্বংসের পথে"দৈনিক ইত্তেফাক 
  2. Express, The Financial। "Amjhupi Nilkuthi bearing a false accusation of Plassey conspiracy"The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০২