আবু আহমদ আবদাল চিশতি
খাজা আবু আহমদ আবদাল চিশতি ১০ শতকের সুফি তরিকার শায়খ। তিনি আবু ইসহাক শামির শিষ্য ও আবু মুহাম্মদ চিশতির পীর। তিনি হাসানী সৈয়দ ছিলেন। তার পিতার নাম সুলতান ফারসানাফাহ, যিনি ফারগানার সুলতান ছিলেন এবং আবু ইসহাক শামির খলিফা ছিলেন। তার উপাধি হল কুতুবুল আবদাল।
আবু আহমদ আবদাল চিশতি[১] | |
---|---|
কুতুব আল-আবদাল | |
জন্ম | ৬ রমজান ২৬০ হিজরী ২৫ জুন ৮৭৪ সাল, চিশত, আফগানিস্তান |
মৃত্যু | ১ জমাদিউস সানি ৩৫৫ হিজরী ১৪ মে ৯৬৭ সাল চিশত, আফগানিস্তান |
যার দ্বারা প্রভাবিত | আবু ইসহাক শামি |
যাদের প্রভাবিত করেন | আবু মুহাম্মদ চিশতি |
ঐতিহ্য বা ধরন | চিশতিয়া তরিকা |
জন্ম
সম্পাদনাআবু আহমদ আবদাল চিশতি ৮৭৪ সালের ২৫ জুন মোতাবেক ২৬০ হিজরীর ৬ রমজান আব্বাসীয় খলিফা মু'তাসিম বিল্লাহের সময়কালে আফগানিস্তানের চিশতে জন্মগ্রহণ করেন।
বংশ তালিকা
সম্পাদনাতার বংশগত তালিকা:
আবু আহমদ আবদাল বিন সুলতান ফারগানা বিন সৈয়দ ইব্রাহিম বিন সৈয়দ ইয়াহিয়া বিন সৈয়দ হাসান বিন সৈয়দ মাজদাল মা'আলী (আবুল মা'আলী হিসেবে সুপরিচিত) বিন সৈয়দ নাসির উদ্দিন বিন সৈয়দ আবদুল সালাম বিন সৈয়দ হাসান মুসান্না বিন সৈয়দ ইমাম হাসান মুজতবা বিন আলী বিন আবী তালিব।
জীবনী ও চরিত্র
সম্পাদনাআবু আহমদ আবদাল চিশতি ৭ বছর বয়স থেকেই খাজা আবু ইসহাকের দিকে যাত্রা শুরু করেন। তিনি খাজা আবু ইসহাকের কাছ থেকে উলূম-ই-জাহিরিয়া এবং বাতিনিয়াহ উভয়ই জ্ঞানই অর্জন করেছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জনের পরে ১৬ বছর বয়সে তিনি খাজা আবু ইসহাক শামির কাছে বায়াত (আনুগত্যের শপথ) হয়ে গেলেন। কিছু বিবরণ অনুসারে তিনি ১৩ বছর বয়সে মুরীদ (শিষ্য) হন। তিনি আবু ইসহাক শামির কাছ থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হন।[২]
মৃত্যু
সম্পাদনাখাজা আবু আহমদ আবদাল চিশতি ৯৬৭ সালের ১৪ মে মোতাবেক ৩৫৫ হিজরীর ১ জমাদিউস সানি আফগানিস্তানের চিশতে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে সেখানে দাফন করা হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "The Mashaikh of Chisht by Shaykh Muhammad Zakariya Kandhlawi | Medina | Abrahamic Religions | Free 30-day Trial"। Scribd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৪।
- ↑ "HAZRAT KHWAJA ABU AHMED ABDAAL CHISTI (RADI ALLAHU ANHU)"। aalequtub.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০২১।