আবদুল মজিদ (সুনামগঞ্জের রাজনীতিবিদ)

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

আবদুল মজিদ (অজানা - ২০ এপ্রিল ২০১৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী ও শিক্ষাবিদ। তিনি সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১]

আবদুল মজিদ
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬
পূর্বসূরীকলিম উদ্দিন আহমেদ
উত্তরসূরীকলিম উদ্দিন আহমেদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মসুনামগঞ্জ
মৃত্যু২০ এপ্রিল ২০১৯
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলজাতীয় পার্টি
পেশাশিক্ষকতা

কর্মজীবন সম্পাদনা

আবদুল মজিদ ১৯৮০ সালে দোয়ারাবাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১০ বছর শিক্ষকতা করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি আইন পেশায়ও জড়িত হন। ২০০৯ সাল থেকে ৫ বছর তিনি সুনামগঞ্জ জজকোর্টের কৌঁসুলির (পিপি) দায়িত্ব পালন করেন।[২]

মুক্তিযুদ্ধে অবদান সম্পাদনা

আবদুল মজিদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।[২]

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

আবদুল মজিদ সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিষ্ঠাকালীন জেলা পরিষদ সদস্য ছিলেন।[২]

তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][৪]

তিনি ১৯৯৬ সালে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আন্দোলন দলে যোগ দিয়ে ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৫ আসন থেকে পরাজিত হন।

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন ইসলামী জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে সুনামগঞ্জ-৫ আসন থেকে পরাজিত হন।

২০০৯ সাল থেকে সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এর পূর্বে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[২]

মৃত্যু সম্পাদনা

আবদুল মজিদ শ্বাসকষ্টজনিত আইএলডি রোগের ফলে ২০ এপ্রিল ২০১৯ সালে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "আবদুল মজিদ (সুনামগঞ্জ)"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৮ 
  2. "সাবেক এমপি আবদুল মজিদ আর নেই"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুর্গে হানা দিতে চায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট"archive1.ittefaq.com.bd। ২০১৯-১১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৮