আবদুল্লাহিল আমান আযমী

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল

আবদুল্লাহিল আমান আযমী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (সাবেক) ছিলেন। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেঝো ছেলে।[১] তিনি ২০১৬ সালে গুমের স্বীকার হোন।[২][৩]

আবদুল্লাহিল আমান আযমী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মবড় মগবাজার, ঢাকা,  বাংলাদেশ
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য বাংলাদেশ
শাখা সেনাবাহিনী
পদব্রিগেডিয়ার জেনারেল

প্রথম জীবন সম্পাদনা

আবদুল্লাহিল আমান আযমী অগ্রণী স্কুল থেকে এসএসসি সম্পন্ন করেন। এইচএসসি থেকে স্নাতক ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজে। তারপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৮১ সালের ডিসেম্বরে তিনি ৫ম বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে ২য় লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

পেশা সম্পাদনা

সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি বরখাস্ত হন।[৪][৫] ১২ নভেম্বর ২০১২ সালে আবদুল্লাহিল আমান আযমী তার বাবা গোলাম আজমের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারে প্রতিরক্ষা সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। তিনিই বিচারের একমাত্র প্রতিরক্ষা সাক্ষী ছিলেন। [৬] তার পিতা গোলাম আজমের বিচারের বিষয়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উপর হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। [৭] তিনি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তার বাবার জানাযার ইমামতি করেন। [৮]

সমালোচনা সম্পাদনা

মুক্তিযুদ্ধে চার হাজার ভারতীয় সেনা শহীদের তথ্য দিয়ে গত ২৮ মে ২০১৫ তারিখে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সাংবাদিক অঞ্জন রায়।[৯] ফেইসবুকে অঞ্জন রায়ের লেখার প্রতিক্রিয়ায় একটি পোস্টে তাকে ‘দালাল’ বলে ইঙ্গিত করেন আমান আযমী। মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের তথ্যকে ‘কাল্পনিক’ আখ্যায়িত করেন তিনি। অঞ্জন রায় থানায় ডায়েরি করেন। [১০][১১]

অন্তর্ধান সম্পাদনা

আবদুল্লাহিল আমান আযমী ২৪ আগস্ট ২০১৬ তারিখে ঢাকার বড় মগবাজার কাজী অফিস লেনের বাসা থেকে সাদা পোশাকে আইন শৃংখলা বাহিনী পরিচয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। [১২] প্রায় একই সময়ে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেম ও একই অপরাধে ফাঁসি হওয়া সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ[১৩] ২০১৪ সালে আজমীর বাবা যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কারাগারে মারা যান। [১৪][১৫] ২০১৭ সালের মার্চ মাসে হুমাম কাদের চৌধুরীকে মুক্তি দেওয়া হয়। [১৩][১৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Ex-Jamaat leader's son abducted in Dhaka"Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  2. Rowlatt, Justin (১৩ অক্টোবর ২০১৬)। "Fears over Bangladesh's 'disappeared'"। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  3. "How Enforced Disappearances Get Suppressed in Bangladeshi Media"The Diplomat। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  4. "গোলাম আযমের ছেলেরা কে কোথায় | বাংলাদেশ প্রতিদিন"Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৯ 
  5. "Brig Gen Azmi dismissed"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  6. "Defended only by his son"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  7. "Ghulam Azam family upset with BNP"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  8. "A tricky last wish that could not be fulfilled"thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  9. "গোলাম আযমের ছেলের বিরুদ্ধে থানায় জিডি | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৯ 
  10. ডটকম, নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "আযমীর 'হুমকিতে' অঞ্জন রায়ের জিডি"bangla.bdnews24.com। ২০২১-০৯-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৯ 
  11. "Ghulam Azam's son Abdullahil Amaan Azmi triggers a new controversy"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  12. Bergman, David। "Bangladesh's many 'disappeared' often return dead – if at all"Scroll.in। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  13. "এত দিন কোথায় ছিলেন জানেন না হুম্মাম কাদের"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৯ 
  14. "Bangladesh police accused of abducting ex-JI chief's son"dawn.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  15. "Concern over missing sons of Bangladeshi politicians"www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  16. "Hummam Quader cannot remember anything about abduction"Dhaka Tribune। ৩ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯