আফ্রিকান রিভার মার্টিন

পাখির প্রজাতি

আফ্রিকান রিভার মার্টিন (বৈজ্ঞানিক নামঃ Pseudochelidon eurystomina)হচ্ছে প্যাসারিন জাতের পাখি। তবে কোন কোন রিভার মার্টিন শ্যালো পরিবার এর উপ পরিবারের সদস্য। প্রথম যখন আফ্রিকান রিভার মার্টিন আবিষ্কার করা হয় তখন এদেরকে শ্যালো পাখি হিসেবে শনাক্ত করা হয়। আফ্রিকান রিভার মার্টিন বড় আকারের শ্যালো পাখি যারা প্রধানত কালো রঙের হয়, মাথার দিকে নীলচে-সবুজ আভা থাকে।

আফ্রিকান রিভার মার্টিন
Perched large black swallow with red eyes and bill
Illustration from 1861 Ibis article.
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: কর্ডাটা
গোষ্ঠী: ডাইনোসরিয়া (Dinosauria)
গোষ্ঠী: সরিস্কিয়া (Saurischia)
গোষ্ঠী: থেরোপোডা (Theropoda)
গোষ্ঠী: Maniraptora
গোষ্ঠী: আভিয়ালে (Avialae)
শ্রেণি: এভিস (Aves)
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস (Passeriformes)
পরিবার: Hirundinidae
গণ: Pseudochelidon
Hartlaub, 1861[২]
Holotype from Gabon
প্রজাতি: P. eurystomina
দ্বিপদী নাম
Pseudochelidon eurystomina
Hartlaub, 1861[২]
Holotype from Gabon
       Breeding range in DRC
       Present all year in Gabon and Republic of the Congo
(ranges are very approximate)

শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা

জার্মান জীববিজ্ঞানী গুস্তাব হার্টলাউব ১৮৬১ সালে সর্বপ্রথম আফ্রিকান রিভার মার্টিন সম্পর্কে বর্ণনা করেন, প্রথম দিকে তিনি একে শ্যালো ও মার্টিন পরিবারের সদস্য মনে করেন নি, তিনি একে রোলার[২] দের সাথে স্থান দেন। ১৯৩৮ সালে পারসি লোয়ে প্রমাণ করেন এরা শ্যালো এবং মার্টিনের নিকটাত্মীয় কিন্তু তাদের থেকে বেশ আলাদা হওয়ায় তিনি এদেরকে শ্যুডোচেলিডোনিডি উপপরিবারে স্থান দেন।[৩][৪]

বর্ণনা সম্পাদনা

প্রাপ্তবয়স্ক আফ্রিকার নদী মার্টিন লম্বায় ১৪ সেমি। এরা প্রধানত কালো বর্ণের পালকে মোড়া থাকে, মাথার দিকে সিল্কি নীলচে-সবুজ আভা। এদের ওড়ার পাখা কালো। এদের লেজ ৪.৮ সেমি লম্বা। এদের পায়ের রঙ বাদামী, চোখ লাল, ঠোঁট কমলা লাল। পাখার দৈর্ঘ্য ১৪ সেমি। সাধারণভাবে পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে একই রকম।

আফ্রিকার নদী মার্টিন খুব ভালো এবং দ্রুত উড়তে পারে। প্রজাতি ভেদে এদের ডাকার ধরন ভিন্ন। কিইই-র-র, চিই-চিই এরকম ছোট ছোট শব্দে এরা ডাকাডাকি করি। দলবেধে চির-চির-চির করে ডাকে, অভিবাসনের সময়ে এরা খুবই ডাকাডাকি করে।

বাসস্থান সম্পাদনা

আফ্রিকান রিভার মার্টিন কঙ্গোর কঙ্গো নদী এবং এর শাখা উবাংগি নদীর আশেপাশে বাস করে। আফ্রিকার এই এলাকা সম্পর্কে খুবই কম জানা যায়। ধারণা করা হয় এরা কাসাই নদী সহ আশপাশের অন্যান্য নদীতে বাস করে। গ্যাবনের দক্ষিণাংশেও এদের দেখতে পাওয়া যায়। তবে এরা এখানে স্থায়ীভাবে বাস করে নাকি শীতে অভিবাসী হয়ে আসে সেটা সুনিশ্চিত নয়।

স্বভাব সম্পাদনা

আফ্রিকান রিভার মার্টিন দল বেঁধে থাকে। ওড়ার সময়ে এরা জোড়া অথবা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ডাকাডাকি করে এবং একে অন্যকে তাড়ায়। এরা কলোনি আকারে জঙ্গল ঘেষা নদীর বালু তীরে বাসা বাধে। একটি কলোনিতে ৮০০ মত পাখি থাকতে পারে। প্রতি জোড়া পাখি বালিতে ১-২ মিটার লম্বা টানেলাকৃতির গর্ত খোঁড়ে। টানেলে শেষ প্রান্তে অল্প কিছু খড়, পাতা জমিয়ে সেখানে দুই থেকে চারটি ডিম পাড়ে। এদের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার সময় অজানা, তবে ধারণা করা হয় পিতা-মাতা উভয়েই বাচ্চার যত্ন নেয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. BirdLife International (২০১২)। "Pseudochelidon eurystomina"IUCN Red List of Threatened SpeciesIUCN2012: e.T22712036A38536798। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2012-1.RLTS.T22712036A38536798.en। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৬ 
  2. Hartlaub, Gustav (১৮৬১)। "Ueber einige neue Vögel Westafrica's"Journal für Ornithologie (German ভাষায়)। 9 (1): 12। ডিওআই:10.1007/BF02002444 
  3. Turner & Rose (1989) pp. 85–86.
  4. Lowe, P R (১৯৩৮)। "Some anatomical notes on the genus Pseudochelidon (Hartlaub) with reference to its taxonomic position"। Ibis2 (3): 429–437। ডিওআই:10.1111/j.1474-919x.1938.tb00576.x 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  • Videos on the Internet Bird Collection
  • Calls at Xeno-canto