আন্না শ্যারহিনা

ইউক্রেনীয় কর্মী

আন্না শ্যারহিনা (জন্ম:১৯৭৮) একজন ইউক্রেনীয় নারীর সমতা ও নারীর অধিকার বিষয়ক কর্মী ও এলবিজিটি কর্মী। তিনি স্পেয়ার উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন, একটি খারকিভের লেসবিয়ান নারীবাদী সংগঠন এবং এনজিও কিয়েভ প্রাইড, যা কিয়েভ গৌরব পদযাত্রা সাংগঠনিক কমিটি, সহ - প্রতিষ্ঠাতা।[২]

আন্না বরিসিভনা শ্যারহিনা
জন্ম১৯৭৮
জাতীয়তাইউক্রেনীয়
অন্যান্য নামআন্না বরিসিভনা শ্যারহিনা
পেশানারীর অধিকার বিষয়ক কর্মী
প্রতিষ্ঠানস্পেয়ার উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন এবং এনজিও কিয়েভ প্রাইড, সহ - প্রতিষ্ঠাতা।[১]
পরিচিতির কারণখারকিভ নারীবাদী এবং এলজিবিটি ইভেন্টের সদস্য

জীবনী সম্পাদনা

শ্যারহিনা এবং তার সহকর্মী, ভিরা চেমিগিনা এক দশক ধরে ইউক্রেনীয় এলবিজিটি সম্প্রদায় এবং লেসবিয়ান সংস্থার সাথে জড়িত। কিয়েভ ের প্রথম সাম্যতার পদযাত্রা আয়োজন করেছিল। ২০১৫ সালে, কিয়েভে অনুষ্ঠিত সাম্যতার পদযাত্রাতে পুলিশ ছিল এবং এই পদক্ষেপের জনসাধারণের একাধিক ব্যক্তির সমর্থনও ছিল।[২] তবে চরম-ডান পন্থীদের বিরোধিতা ও আক্রমণের কারণে পদযাত্রাচটি কেবল ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। এই ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা সহ দশ জন আহত হয়েছিল।[৩]

শ্যারহিনা তাঁর নারীবাদী এবং এলবিজিটি কার্যকলাপের ফলে ইউক্রেনে ক্রমাগত বিরোধিতাের মুখোমুখি হতে হয়েছে। একবার তিনি যখন খারকিভ বইয়ের দোকানে এলবিজিটি আন্দোলনের উপর ভাষণ দিয়েছিলেন, সভাটি দু'বার স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল। প্রথমে খারকিভের নকিপেলো প্রেস সেন্টারে এবং তারপরে কিয়েভের ইজোলিয়াটসিয়া কেন্দ্রে। [৪] ২০১৮ সালে, জুলাইতে, প্রাইডহাব নামে একটি খারকিভ সম্প্রদায়ের কেন্দ্র, কয়েকজন মুখোশধারী মানুষজন ধোঁয়া গ্রেনেড দিয়ে আক্রমণ করেছিল; গ্রাফিতি এবং পশুর রক্ত দিয়ে পুর ভবনটি নোংরা করা হয় এবং পরে ভবনটিতে ভাঙচুর করা হয়েছিল। যদিও পুলিশের কাছে অভিযোগ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন আভাকভকে এক হাজারেরও বেশি অভিযোগের চিঠি দেওয়া করা সত্ত্বেও, এই অপরাধের জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি।[৫][৬]

২০১৯ সালে,মার্চের প্রথম সপ্তাহে, শ্যারহিনা খারকিভে একটি সাপ্তাহিক মহিলা সংহতিকে ঘিরে একটি অনুষ্ঠান সংগঠিত করছিলেন। প্রধান লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে, মূল সারিতে ফিরে আসা মহিলাদের অধিকারের জন্যে এক্যবদ্ধ হওয়া। মহিলা সংহতি সপ্তাহটি, একটি উচ্চ শিক্ষামূলক প্রকল্প এবং এখানে কোনও কিছুর বিরুদ্ধে এক্যবদ্ধ নয়, তবে নারী, মহিলা সম্প্রদায় এবং সমগ্র ইউক্রেনীয় সমাজের বিকাশের জন্য এক্যবদ্ধ হওয়া।[৭]}}

২০২০ সালের জানুয়ারিতে, ইউক্রেন সফরের আসা মাইক পম্পেওরে, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে সাক্ষাত না করায়, শ্যারহিনা এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।[৫][৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Anna Sharyhina « EuroCentralAsian Lesbian* Community"europeanlesbianconference.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১১ 
  2. Claire Gaillard, Anna Sharyhina – Ukraine, Hope for the Future, Les Spread the Word, 5 October 2015. Translated by Leanne Ross.
  3. Clara Marchaud, Kyiv Pride week events to raise awareness, defend LGBTQ rights, Kyiv Post, June 8, 2018.
  4. Ganna Grytsenko, What are the real barriers to freedom of assembly in Ukraine?, openDemocracy, May 16, 2018.
  5. Anna Nemtsova, Mike Pompeo Snubs Ukraine’s Embattled LGBTQ Community, The Daily Beast, Jan 31, 2020.
  6. Lily Wakefield, US Secretary of State Mike Pompeo refuses to meet with LGBT activists in Ukraine, Pink News, February 1, 2020.
  7. Natalia Ivanova, International Women’s Day: Breaking Stereotypes ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ মার্চ ২০২০ তারিখে, Kharkiv Observer, March 8, 2019.