আন্দামান বালি হাঁস
আন্দামান বালি হাঁস (Anas albogularis) হাঁস প্রজাতিভুক্ত, যা বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে দেখা যায়। একে সুন্দা বালি হাঁসের একটি উপপ্রজাতি হিসাবে ধরা হয়।
আন্দামান বালি হাঁস | |
---|---|
জন জেরার্ড কোলেমন্স দ্বারা অঙ্কিত(১৯০৮) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
শ্রেণী: | Aves |
বর্গ: | Anseriformes |
পরিবার: | Anatidae |
উপপরিবার: | Anatinae |
গণ: | Anas |
প্রজাতি: | A. albogularis |
দ্বিপদী নাম | |
Anas albogularis (Hume, 1873)[২] | |
প্রতিশব্দ[৩] | |
Mareca albogularis Hume, 1873 |
বিবরণ
সম্পাদনাআন্দামান বালি হাঁস হলদে দাগযুক্ত গাঢ় বাদামি বর্ণের একটি প্রজাতি। এদের মুখ ও গলা ধূসর বর্ণের এবং চোখে সাদা রঙের গোলাকার অংশ দেখা যায়। এদের চঞ্চু নীলাভ ধূসর বর্ণের এবং কনীনিকা (আইরিশ) লাল বর্ণের হয়ে থাকে।[৪]
বাসস্থান ও বন্টন
সম্পাদনাআন্দামান বালি হাঁস ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের এবং মায়ানমারের কোকো দ্বীপের একটি স্থানীয় প্রজাতি। এদের সেখানকার ডোবা ও উপহ্রদে দেখা যায়। এছাড়া ম্যানগ্রোভ অরণ্যের কাছেও দেখা যায়।[৫][৬] ১৯৯৫-৯৮ সালের হিসাব অনুযায়ী এদের সংখ্যা ছিল ৫০০-৬০০ টি এবং ২০০৫ সালের হিসাব অনুযায়ী এদের সংখ্যা ৬৭৪ টি।[৭] শেষের কিছু শতকে এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০১৪ সালের সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী এদের সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ১০০০ টিরও অধিক।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ BirdLife International (২০১৪)। "Anas albogularis"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2014.2। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ১২ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ Hume, A. O. (১৮৭৩)। "Novelties: Mareca albogularis, Sp. Nov."। Stray Feathers। 1 (2, 3, &4): 303–304।
- ↑ Richmond Index card
- ↑ Rasmussen, P. C.; Anderton, J. C. (২০০৫)। Birds of South Asia: The Ripley Guide। 2। Smithsonian Institution & Lynx Edicions। পৃষ্ঠা 75।
- ↑ Inglis, C. M. (১৯০৪)। "The Oceanic, or Andaman Teal Nettium alligulare"। J. Bombay Nat. Hist. Soc.। 15 (3): 525।
- ↑ Wilson, N. F. (১৯০৪)। "The Oceanic, or Andaman Teal Nettium albigulare"। J. Bombay Nat. Hist. Soc.। 15 (3): 525–526।
- ↑ Vijayan, L (২০০৬)। "Ecology and conservation of the Andaman Teal"। J. Bombay Nat. Hist. Soc.। 103 (2): 231–238।