আন্তর্জাতিক ইসলামি ফিকহ একাডেমি

সংস্থা

আন্তর্জাতিক ইসলামি ফিকহ একাডেমি (আরবি: مجمع الفقه الإسلامي الدولي) সৌদি আরবের জেদ্দা নগরীতে অবস্থিত কুরআন-হাদীসভিত্তিক ওআইসি’র একটি আন্ত:মুসলিম অভিন্ন ইসলামি শরয়ী (আইনী) অঙ্গ সংস্থা। এটি ২৫–২৯ জানুয়ারি ১৯৮১ সালে মক্কা মুয়াজ্জেমায় অনুষ্ঠিত ওআইসির তৃতীয় ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনের ঐতিহাসিক মক্কা ঘোষণায় বর্ণিত “ইসলামি ফিকহ একাডেমি” প্রতিষ্ঠার আহ্বান সংক্রান্ত রেজুলেশন অনুসরণ করে ১৯৮৩ সালের জুন মাসে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার একটি অঙ্গ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ফিকহ একাডেমি ওআইসিভূক্ত ৫৭টি মুসলিম সদস্য রাষ্ট্র এবং প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত।

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা
আন্তর্জাতিক ইসলামি ফিকহ একাডেমি
مجمع الفقه الإسلامي الدولي
নীতিবাক্যহে প্রভু, আমার জ্ঞানবৃদ্ধি করো।
গঠিত১৯৮১
ধরনওআইসির সহায়ক প্রতিষ্ঠান
আইনি অবস্থাঅ-লাভজনক
সদরদপ্তরজেদ্দা, সৌদি আরব
যে অঞ্চলে কাজ করে
ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র এবং মুসলিম সম্প্রদায়
সদস্যপদ
৫৭টি সদস্য রাষ্ট্র
দাপ্তরিক ভাষা
আরবি, ইংরেজি, ফরাসি
প্রেসিডেন্ট
শেখ সালেহ বিন আব্দুল্লাহ আল হুমায়েদ
মহাসচিব
দাতো প্রফেসর কৌতৌব মুস্তাফা সানো
পূর্ববর্তী
অধ্যাপক আব্দুসসালাম আল আব্বাদি
মূল ব্যক্তিত্ব
শেখ বকর আবু জায়েদ - শেখ সালেহ বিন আব্দুল্লাহ আল হুমায়েদ
প্রধান প্রতিষ্ঠান
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা
ওয়েবসাইটhttp://www.iifa-aifi.org/

ফিকহ একাডেমি বিশ্বের অপরাপর অ-ইসলামি সংগঠন এবং ফিকহ পরিষদের সাথে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে। আইফা প্রতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে বিশিষ্ট ইসলামি বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করে। ফিকহ একাডেমি বর্তমান নির্বাহী প্রধান হলেন মক্কার বড় মসজিদের ইমাম শেখ ডক্টর সালিহ বিন আবদুল্লাহ আল হুমাইদ। এর মহাসচিব হলেন প্রফেসর কাউতুব মোস্তফা সানো, গিনি প্রজাতন্ত্রের ধর্ম বিষয়ক প্রাক্তন মন্ত্রী, একজন স্বীকৃত ইসলামিক পণ্ডিত এবং চিন্তাবিদ।

আইফা-এর মূল উদ্দেশ্য হল শরিয়া ও ইসলামিক নৈতিকতা অনুসারে মানবতার সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলির সমাধান করা। বিশেষ করে ইসলামি ফিকহ একাডেমি ঐতিহ্যগত ইসলামি জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের সাথে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়পূর্বক বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, কৃষ্টি-সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বকে এগিয়ে নিতে চায়। এলক্ষ্যে ইসলামি মেডিকেল বিজ্ঞান সংস্থা, ইসলামি ফিকহ পরিষদ, দার-আলিফতা আল-মিসরিয়াহ এবং উত্তর আমেরিকার ইসলামিক মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আইফার সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।

ইতিহাস সম্পাদনা

পটভূমি সম্পাদনা

মক্কায় তৃতীয় ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনের সময় ওআইসির প্রস্তাব অনুসারে ১৯৮৩ সালের জুন মাসে আন্তর্জাতিক ইসলামি ফিকহ একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।[১]

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পাদনা

ইসলামি ফিকহ একাডেমি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী ফিকহ পরিষদ। এটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পোলিওভাইরাস নির্মূলের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং মুসলিম সরকারী সংস্থা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইসলামি উপদেষ্টা গ্রুপের মাধ্যমে এটি পোলিওভাইরাস নির্মূলে কাজ করেছে।

অন্যান্য অংশীদারিত্বের মধ্যে রয়েছে আইফা এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক। সমঝোতা স্মারকমতে আইফা ২০২০ সালে এ মর্মে একটি ফতোয়া জারি করে যে, মুসলিম দাতাদের কাছ থেকে জাকাত এবং দাতব্য তহবিল সংগ্রহ করে বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান উদ্বাস্তু এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করাতে শরীয়তে ইসলামে কোনরূপ প্রতিবন্ধকতা নেই।[২]

কোভিড-১৯ মহামারী সম্পাদনা

আইফা বর্তমান চলমান করোনা কোভিড-১৯ মহামারীতে শরাহ-শরীয়াহমতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিষেধকমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত বিশেষ নির্দেশনাবলী মুসলিম উম্মাহকে মেনে চলার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "3rd OIC Islamic Summit resolution no. 8/3-C(I.S.)"oic-oci.org 
  2. "UNHCR Zakat Fund Fatwah by the International Islamic Fiqh Academy"zakat.unhcr.org