ইসলামভীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস

ইসলামভীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস হলো একটি আন্তর্জাতিক উদযাপন যা জাতিসংঘ কর্তৃক ২০২২ সালে মনোনীত হয়।[][] যা প্রতি বছর ১৫ মার্চ বিশ্বব্যাপী ১৪০টি দেশে উদযাপন করা হয়। এই দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হলো ইসলাম বিদ্বেষীদের কাছে ইসলামের প্রকৃত পরিচয় তুলে ধরা।[] ১৫ মার্চ তারিখটিকে, ক্রাইস্টচার্চ মসজিদের গোলাগুলির বার্ষিকী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল, যাতে ৫১ জন নিহত হয়।

ইসলামভীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস
পালনকারীবিশ্বব্যাপী
ধরনজাতিসংঘ ঘোষণা
পালনআন্তর্জাতিক
তারিখ১৫ মার্চ
সংঘটনবার্ষিক
সম্পর্কিতইসলাম

পটভূমি

সম্পাদনা

খ্রিস্টধর্মের পরে ইসলাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম, যারা ২ বিলিয়নেরও বেশি অনুসারী বিশ্বের ২৪.৯ শতাংশ জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে।[] ইসলামভীতি হলো ইসলাম বা এর অনুসারীদের (যাদের মুসলিম বলা হয়) প্রতি ভয়, ঘৃণা বা কুসংস্কার।[]

ইতিহাস জুড়ে, মুসলিমদের জাতিগত নির্মূলের অনেক ঘটনা বিশ্বজুড়ে ঘটেছে, বিশেষ করে রুয়ান্ডার গণহত্যা, স্রেব্রেনিকা গণহত্যা, সাবরা এবং শাতিলা গণহত্যা এবং চলমান রোহিঙ্গা ও উইঘুর গণহত্যা।[] অনেক দেশে মসজিদ ভেঙে ফেলা হচ্ছে এবং হিজাবের মতো ইসলামী পোশাক নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পর ইসলামভীতি বাড়তে থাকে, যা ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের জন্য ব্যাপক যন্ত্রণার কারণ হয়।[]

২০২০ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পঁচাত্তরতম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দিতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ইমরান খান প্রথমবারের মতো ইসলামভীতি মোকাবেলায় একটি আন্তর্জাতিক দিবসের পরামর্শ দেন।[]

আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি

সম্পাদনা

২০২২-এর ১৫ মার্চ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় যা ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার পক্ষ থেকে পাকিস্তান দ্বারা প্রবর্তিত হয়। প্রস্তাবটিতে ১৫ মার্চকে 'ইসলামভীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[][১০]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা