আন্ড্রেয়া গেজ
আন্ড্রেয়া মিয়া গেজ (জন্ম: ১৬ ই জুন ১৯৬৫) একজন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং ইউসিএলএ-তে পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।[২] ডিসকভার ম্যাগাজিন ২০০৪ সালে নিজ নিজ ক্ষেত্রে উচ্চতর দক্ষতা প্রদর্শনকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ২০ জন বিজ্ঞানী হিসাবে আন্ড্রেয়া মিয়াকে তালিকাভুক্ত করে।[২] "আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্রে একটি অতিবৃহদায়তনের আঁটসাঁট বস্তু আবিষ্কারের জন্য" ২০২০ সালে তিনি রেইনহার্ড গেনজেলের সাথে পুরস্কারের অর্ধেক অংশ ভাগাভাগি করে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।[৩][৪][৫] বাকি অর্ধেক রজার পেনরোজকে দেওয়া হয়।[৪] আন্ড্রেয়া মিয়া হলেন পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী চতুর্থ মহিলা।[৪]
আন্ড্রেয়া মিয়া গেজ | |
---|---|
জন্ম | নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | জুন ১৬, ১৯৬৫
জাতীয়তা | মার্কিনী |
মাতৃশিক্ষায়তন | ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি(বি.এস. পদার্থবিজ্ঞান, ১৯৮৭) ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (পি.এইচডি., ১৯৯২) |
পরিচিতির কারণ | গ্যালাক্টিক সেন্টার-এর গবেষণায় অভিযোজিত আলোকবিদ্যার ব্যবহার।[১] |
পুরস্কার | পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (২০২০) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | জ্যোতির্বিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লস অ্যাঞ্জেলেস |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাসুজ্যান (গেইটন) ও গিলবার্ট গেজের কন্যা আন্ড্রেয়া নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন।[৬][৭] তার বাবা ইতালির রোমে তিউনিসিয়া ও জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের বংশভূত এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৮][৯] তার মা ম্যাসাচুসেট্সের উত্তর অ্যাটলবোরোর আইরিশ ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১০]
আন্ড্রেয়া শিকাগোতে বেড়ে ওঠেন এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব স্কুলে পড়াশোনা করেন।[১১] অ্যাপোলো প্রোগ্রামের মুন অবতরণগুলি তাঁকে প্রথম মহিলা নভোচারী হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে এবং তার মা তার লক্ষ্যকে সমর্থন করেন।[১২] তার সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলা আদর্শ বাক্তি হলেন তাঁর উচ্চ বিদ্যালয়ের রসায়ন শিক্ষকা।[১৩] তিনি গণিত বিষয়ে কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন, তবে পরবর্তীতে পদার্থবিজ্ঞানে শিক্ষাগ্রহণ শুরু করেন।[১৪] তিনি ১৯৮৭ সালে ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে পদার্থবিজ্ঞানে বি.এস এবং ১৯৯২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে জেরি নিউজবাউরের নির্দেশনায় পিএইচডি অর্জন করেন।[১৫]
কর্মজীবন
সম্পাদনাতার বর্তমান গবেষণার ভিতরে আছে কেক টেলিস্কোপের মত উচ্চ রেজুলেশনের ছবি তোলার জন্য যন্ত্র আবিষ্কার করা। [১৬] তার এই গবেষণার ফলাফল থেকে একটি গ্যলাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত অতি দানবীয় বস্তুর গঠন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়। তার এই গবেষণার ফলাফল্গুলোর মধ্যে একটি হলো আমাদের মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্রে যে ব্ল্যাকহোল আছে যা স্যাজাটেরিয়াস এ* এর আবিষ্কার। [১৭] ছায়াপথের কেন্দ্রের এই অতিদানবীয় বস্তুকে তদন্ত করতে তিনি এর আশেপাশে থাকা তারাগুলোর গতি পর্যবেক্ষণ করেন ও গতিবিদ্যার সাহায্য নেন। [১৮]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাতিনি টম লাশরেটের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন যিনি একজন ভূতত্ত্ববিদ। তাদের দুই সন্তান আছে। মাস্টার্স সুইম ক্লাবে তিনি একজন সাতারু হিসেবে আছেন। [১৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "High-res images of galactic center"। W. M. Keck Observatory। সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২০, ২০০৯।
- ↑ ক খ "20 Young Scientists to Watch"। Discover Magazine। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-০৬।
- ↑ "Press release: The Nobel Prize in Physics 2020"। Nobel Foundation। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ ক খ গ "আইনস্টাইনের তত্ত্বকে এগিয়ে নিয়েই পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল রজার পেনরোজের, সঙ্গে আরও দুই"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ৬ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "নোবেল পুরস্কার ২০২০: 'ব্ল্যাক হোল' নিয়ে দিগন্তকারী আবিষ্কার, পদার্থবিজ্ঞানে সম্মানিত ৩ কৃতী"। এই সময়। ৬ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Yasuda, Anita (আগস্ট ১৭, ২০১৫)। "Astronomy: Cool Women in Space"। Nomad Press – Google Books-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Who's who in the West"। Marquis-Who's Who.। অক্টোবর ৬, ২০০৪ – Google Books-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Gilbert Ghez (1938 - 2015) - Obituary"। www.legacy.com।
- ↑ http://www.mevakshederekh.info/Portals/0/Il_tempo_e_idea/HAZMAN%20VEHARAION%20-%20IL%20TEMPO%20E%20L_IDEA%20Vol%20XXV%202019%20(web).pdf
- ↑ "Oral history interview with Susanne Ghez, 2011 Jan. 25-26"। www.aaa.si.edu।
- ↑ "Alumni Award Winners Announced"। University of Chicago। ২০১৩-০৫-১৬। ২০২১-০২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৬।
- ↑ Jennifer Lauren Lee। "Science Hero:Andrea Mia Ghez"। The My Hero Project। ২০১০-০১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৩।
- ↑ Susan Lewis (২০০৬-১০-৩১)। "Galactic Explorer Andrea Ghez"। NOVA।
- ↑ Linda Copman। "Zeroing in on Black Holes"। W. M. Keck Observatory। ২০১১-০৭-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৩।
- ↑ "Changing Faces of Astronomy"। Science। মার্চ ১৬, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২০, ২০০৮।
- ↑ "Supermassive Black Holes"। BBC। মার্চ ২০, ২০০৮।
- ↑ "Milky Way Monster Stars in Cosmic Reality Show"। Harvard-Smithsonian Center for Astrophysics. Archived। মার্চ ২০, ২০০৮।
- ↑ "CELT Science Working Group Meeting"। celt.ucolick.org। মার্চ ২০, ২০০৮। Archived from the original on আগস্ট ২০, ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৭, ২০২০।
- ↑ "Poster Project, Biographies"। www.math.sunysb.edu.।