আনিস নাবিলাহ বিনতে ওমরউদ্দিন (জন্ম: ১৮ নভেম্বর, ১৯৮৬) একজন মালয়েশীয় খ্যাতিমান রন্ধনশিল্পী, আইনজীবী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।[১][২] রন্ধনমূলক টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য তিনি বিখ্যাত।[৩] তিনি অভিনেত্রী ও গায়িকা আয়শা হাসনার বোন। [৪]

আনিস নাবিলাহ
জন্ম
আনিস নাবিলাহ বিনতে ওমরউদ্দিন

(1986-11-18) ১৮ নভেম্বর ১৯৮৬ (বয়স ৩৭)
পেশারন্ধনশিল্পী, আইনজীবী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব
কর্মজীবন২০০৬-বর্তমান
আত্মীয়আয়শা হাসনা (বোন)

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

আনিস নাবিলাহ ১৯৮৬ সালের ১৮ নভেম্বর কুয়ালালামপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা-মায়ের একজন ছিলেন মালয় ও অন্যজন পাকিস্তানি[৫] তিনি বাবা মায়ের চতুর্থ সন্তান এবং তাঁর আরো ছয়টি বোন এবং একটি ভাই রয়েছে। তাঁর বোন আয়শা হাসনা একজন অভিনেত্রী ও গায়িকা। তিনি মালয়েশিয়ার ফুড ইনস্টিটিউটে (এফআইএম) পড়াশোনা করেছেন এবং ২০০৭ সালে রন্ধনশিল্পে ডিপ্লোমা নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর বড় ভাই আদম আমির ২০১৬ সালে মারা গেছেন। [৬]

কর্মজীবন সম্পাদনা

দশ বছর বয়স থেকেই রান্না শিখছেন আনিস নাবিলা। তিনি রন্ধনশিল্প নিয়ে আরও অভিজ্ঞতা অর্জনে আগ্রহী।[৭] তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন নিজেই রান্না করতে শিখেছিলেন। তাঁর ভাষ্যমতে তিনি সবসময় রান্নাঘরে মাকে দেখে একাজে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।[৮]

২১ বছর বয়সে, আনিস নাবিলাহ একটি অডিশনে অংশ নিয়েছিলেন এবং টিভি থ্রিতে প্রচারিত নিজের রান্নার অনুষ্ঠান ইসিপ ইসিপ চালানোর কাজ নিয়েছিলেন। সিঙ্গল প্যান অনুষ্ঠানে তিনি তরকাদের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিদের জন্য রান্না করেন এবং কীভাবে সহজেই দুর্দান্ত রান্না করতে হয় তা তাদের শেখান।[৯][১০]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

আনিস নাবিলাহ এখনও অবিবাহিত এবং টেলিভিশনে রান্নার অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। [১১]

১০ বছর ধরে রন্ধনসম্পর্কিত কাজের সাথে থাকা সত্ত্বেও,[১২] আনিস স্বীকার করেছেন যে তিনি তাঁর পরিবারকে হরি রায়ের সাথে পুনর্নির্মাণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে রাজি করেননি। [১১] দ্য মালয় মেলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন: "আমার মা রেন্দাং রান্না করেন। আমি কখনও উৎসবের জন্য বাড়িতে রেন্দাং রান্না করি না। আমি অন্য সময় রেন্দাং রান্না করি তবে উৎসবের সময় নয়। উৎসব আমার মায়ের কাজ"।

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

আনিস নাবিলাহ ২০০৭ সালে পুলিনায়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতেছিলেন। ২০১৫ সালে সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত এশিয়ার সেরা ৫০ রেস্তোঁরা প্রচারণায় অংশ নিতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি ট্যুরিজম অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত 'রেস্টুরেন্ট অস্ট্রেলিয়া' প্রচারণায় ৮০ জন প্রভাবশালী খ্যাতিমান রন্ধনশিল্পীদের মধ্যেও নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১২][১৩]

২০১৩ সালে তিনি দৈনিক সংবাদ পপুলার স্টার অ্যাওয়ার্ডসেও সর্বাধিক জনপ্রিয় যশস্বী রন্ধনশিল্পী বিভাগে মনোনীত হয়েছিলেন।

টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্পাদনা

  • ইসিপ ইসিপ (টিভি থ্রি)
  • সেলেরা (টিভি থ্রি)
  • এনাক ত্রদিসি (টিভি ওয়ান)
  • সেসেদপ রস (টিভি টু)
  • চেরিতা রস আনিস নাবিলাহ (টিভি টু)
  • ১, ২, বকর (টিভি থ্রি)
  • মাই টেস্ট অফ হংকং (টিএলসি এশিয়া)
  • ইটিং ওয়াইল্ড (এশিয়ান ফুড চ্যানেল)
  • ইট ক্লিন উইথ আনিস (অ্যাস্ট্রো রিয়া)
  • মেনচরি রেসেপি তুরুন তেমেরুন (টিভি নাইন)
  • দ্য ড্রিম সিস্টার্স (টিভি নাইন)
  • কুয়ালি বুজাং (হাইপ টিভি)
  • রমুয়ান রহিসিয়া (টিভি ওয়ান)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Norhasliza Mohd Shafi (২৯ অক্টোবর ২০১৭)। "Anis Nabilah didik masyarakat gemar memasak"। Sinar Harian। ১২ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. Bintu Rasyada A. Rahman (২৭ মার্চ ২০১৭)। "Anis chef jelita"। Utusan Malaysia। ১২ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. "Definisi cef selebriti Anis Nabilah"। Kosmo!। ৮ আগস্ট ২০১৬। ১৭ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৮ 
  4. "Si kakak Anis memasak, si adik Aisya menyanyi"। Berita KL। ৩১ জানুয়ারি ২০১৪। ২৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  5. "Anis Nabilah"। 1000 Cookbooks। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৮ 
  6. "A taste of Asia: New chefs on the block"। Asian Correspondent। ১৬ জানুয়ারি ২০১২। ১২ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৮ 
  7. Syafil Syazwan Jefri (২৫ জানুয়ারি ২০১৮)। "Anis ke pentas dunia"MSN। Harian Metro। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৮ 
  8. Kevin Tan (৯ নভেম্বর ২০১২)। "Get Personal: Anis Nabilah"। R.AGE। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৮ 
  9. "Petite chef Anis proves that size doesn't matter"। Daily Express। ৬ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫ 
  10. Rabiatul Adawiyah Koh Abdullah (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Anis tak jemu ke dapur"। Utusan Malaysia। ১২ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫ 
  11. Hasbullah Awang Chik (৬ জুলাই ২০১৬)। "Sedekad jadi cef, Anis Nabilah masih tak berani masak rendang Raya"। The Malay Mail। ১৫ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৮ 
  12. Syafil Syazwan Jefri (২৬ জুলাই ২০১৬)। "Kebanggaan selepas 10 tahun"। Harian Metro। ১৫ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৮ 
  13. Amirul Haswendy Ashari (৩ জুলাই ২০১৬)। "Anis pegang cakap ibu"Harian Metro। ১৫ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা