সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার, রেশন-বেতন বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু দাবিতে ১৯৯৪ সালে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। যা ওই বছরের ৩০শে নভেম্বর বিদ্রোহে রুপ নেয়। ওই দিন আনসার সদস্যরা ৪০ জন সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারকে জিম্মি করে এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করতে চান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ওই বছরের ৪ঠা ডিসেম্বর সেনাবাহিনী, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশ বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করে। যৌথ অভিযানে ৪ জন বিদ্রোহী মারা যায় ও ১৫০ জন আহত হয়। ব্যর্থ হয় আনসারদের বিদ্রোহ। ঘটনার পরে শাস্তি হিসেবে দুই হাজার ৪৯৬ জন আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার ও চাকরিচ্যুত করা হয়।[১][২][৩][৪]

আনসার বিদ্রোহ
তারিখ৩০ নভেম্বর – ৪ ডিসেম্বর ১৯৯৫
অবস্থান
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী একাডেমি, সফিপুর। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদরদপ্তর, খিঁলগাও।
অবস্থা আনসার সদস্যদের আত্মসমর্পণ ও বিদ্রোহ ব্যর্থ
বিবাদমান পক্ষ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড
শক্তি
অজানা ২৪৯৬ বিদ্রোহী
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
৪ নিহত, আহত ১৫০ জন

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. রুখসানা, শায়লা (২০১৭-০৭-১০)। "আনসার বিদ্রোহ: ১৪৪৭ সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ আদালতের - কী ঘটেছিল সে সময়ে?"BBC বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১০ 
  2. "আনসার বিদ্রোহ: খালাস ১৪৪৭ জনকে চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ"। bdnews24.com। ২০১৭-০৭-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১০ 
  3. "আনসার বিদ্রোহ : চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের নির্দেশ"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০১৭-০৫-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১০ 
  4. "আনসার বিদ্রোহ: ১৪৪৭ জনের মধ্যে সক্ষমদের পুনর্বহালের নির্দেশ"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১০