আডিয়ার, বা অড়াইয়ার, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার দক্ষিণাংশের একটি বৃৃহত্তর অঞ্চল৷ লোকালয়টি আদিয়ার নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত৷ এর পশ্চিম দিকে রয়েছে তারামণি, দক্ষিণ দিকে রয়েছে তিরুবান্মিয়ুর, পূর্ব দিকে রয়েছে বেসান্তনগর, উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে কোট্টুরপুরম এবং উত্তর দিকে আদিয়ার নদী অতিক্রম করে রয়েছে রাজা আন্নামালাইপুরম৷ আদিয়ার চেন্নাইয়ের অন্যতম ব্যয়বহুল এলাকা, যা উত্তর চেন্নাইয়ের চেয়ে প্রায় চতুর্গুণ অধিক৷[১] আদিয়ারের গান্ধীনগর চেন্নাইয়ের সর্বোৎকৃষ্ট স্থানগুলির একটি৷

আডিয়ার
அடையாறு
চেন্নাইয়ের অঞ্চল
আডিয়ার ও আডিয়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দৃৃশ্য
আডিয়ার ও আডিয়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দৃৃশ্য
আডিয়ার লোকালয়ের মানচিত্র
আডিয়ার লোকালয়ের মানচিত্র
আডিয়ার চেন্নাই-এ অবস্থিত
আডিয়ার
আডিয়ার
আডিয়ার লোকালয়ের মানচিত্র
স্থানাঙ্ক: ১৩°০০′২৩″ উত্তর ৮০°১৫′২৭″ পূর্ব / ১৩.০০৬৩° উত্তর ৮০.২৫৭৪° পূর্ব / 13.0063; 80.2574
রাষ্ট্র ভারত
রাজ্যতামিলনাড়ু
জেলাচেন্নাই
মহানগরচেন্নাই
সরকার
 • শাসকসিএমডিএ
ভাষা
 • দাপ্তরিকতামিল
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন৬০০০২০
যানবাহন নিবন্ধনTN-07 (টিএন-০৭)
লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্রচেন্নাই দক্ষিণ
বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রময়িলাপুর
নগর পরিকল্পনাসিএমডিএ
আডিয়ার নদীর তীরে উপকূলীয় সমতলে অবস্থিত আডিয়ার লোকালয়

ইতিহাস সম্পাদনা

 
১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের আদিয়ার নদী

লোকালয়টির উত্তরাংশ দিয়ে প্রবাহিত আদিয়ার নদীর নামানুসারে এর নামকরণ৷ ফোর্ট সেন্ট জর্জে অবস্থানরত ব্রিটিশ আধিকারিকরা আদিয়ার ও গিণ্ডিকে শিকারক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহার করত৷ ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দ প্রথম উল্লেখ ও তৎপরবর্তীকালীন মানচিত্রে আদিয়ারের অবস্থান ছিলো চেন্নাই শহরের উপকণ্ঠে, ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা এই অঞ্চলে শাসন ক্ষমতায় এলে তারা এটিকে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত করেন৷[২]

ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর ভাগ থেকে আদিয়ারে জনবসতি বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয় ও ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে হেলেনা ব্লাভাৎস্কির তৎপরতায় এখানে থিওসফিকাল সোসাইটির দপ্তর প্রতিষ্ঠা হয়৷ নিকটবর্তী বেসান্তনগরে রয়েছে শাস্ত্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান কলাক্ষেত্র ফাউন্ডেশন ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত করেন রুক্মিণী দেবী অরুণ্ডেল৷ ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে আদিয়ার ছিলো কাঞ্চীপুরম জেলার একটি জমিদারী গ্রাম৷ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে আদিয়ারকে চেন্নাই পৌরনিগমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷

ভূগোল সম্পাদনা

২০১৮ খ্রিস্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আদিয়ারের ৩০.১ শতাংশ মরুভূমি, যেখানে সমগ্র চেন্নাইয়ের ১৪.৯ শতাংশ বনাঞ্চল৷ ভারতের শহরগুলির পুর অঞ্চলগূলির মধ্যে এই বনভূমির শতকরা পরিমান সর্বাধিক৷[৩] আদিয়ার নদী রাজা আন্নামালাইপুরম থেকে ও বাকিংহাম খাল তারামণি ও কোট্টুরপুরমকে ভৌগোলিকভাবে আদিয়ার থেকে পৃথক করেছে৷

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পাদনা

  • আদিয়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে রয়েছে প্রায় এক শত প্রজাতি পাখি,[৪] যদি নগরায়নের ফলে তার আজ অধিকাংশই বিপন্ন৷[৫] এই ভগ্নপ্রাপ্ত নাগরিক বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে তামিলনাড়ু রাজ্য সরকার তোলকাব্য উদ্যান বা আদিয়ার প্রকৃতি উদ্যান উদ্বোধন করেন।[৬]
 
মালাই হাসপাতালের সামনে আদিয়ার সিগনাল

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Property values in an unequal city"The Hindu। ২০০৭-০৬-০২। ২০০৭-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৩ 
  2. Julie Mariappan; Devparna Acharya (২২ এপ্রিল ২০১০)। "Rebirth of Adyar creek"The Times of India। ৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২১  অজানা প্যারামিটার |name-list-style= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  3. Lopez, Aloysius Xavier (৩১ আগস্ট ২০১৮)। "A Rs. 228-cr. project to take city's green cover to 20%"The Hindu। Chennai: Kasturi & Sons। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  4. "How urbanisation watered down the natural wealth"The Hindu। ২০০৭-০৫-২৯। ২০০৭-১২-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৩ 
  5. "Death of an estuary"The Hindu। ২০০৩-০১-১২। ২০১১-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৩ 
  6. "Eco-park may cover all of Adyar Creek"The Hindu। ২০০৭-০৩-৩১। ২০০৭-১২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৩