আটলান্টিক ডাহুক

মাছের প্রজাতি

আটলান্টিক ডাহুক (বৈজ্ঞানিক নাম: Periophthalmus barbarus) (ইংরেজি: Atlantic mudskipper) হচ্ছে Gobiidae পরিবারের Periophthalmus গণের একটি স্বাদুপানির মাছ

আটলান্টিক ডাহুক
Atlantic mudskipper
Periophthalmus barbatus from Gambia
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
মহাশ্রেণী: Osteichthyes
শ্রেণী: Actinopterygii
মহাবর্গ: Acanthopterygii
বর্গ: Perciformes
উপবর্গ: Gobioidei
পরিবার: Gobiidae
উপপরিবার: Oxudercinae
গণ: Periophthalmus
প্রজাতি: P. barbarus
দ্বিপদী নাম
Periophthalmus barbarus
(Linnaeus, 1766)
প্রতিশব্দ
  • Gobius barbarus Linnaeus, 1766
  • Gobius koelreuteri Pallas, 1770
  • Periophtalmus koelreuteri (Pallas, 1770)
  • Periophthalmus koelreuteri (Pallas, 1770)
  • Periophthalmus papilio Bloch & Schneider, 1801
  • Periophthalmus koelreuteri papilio Bloch & Schneider, 1801
  • Periophthalmus gabonicus Duméril, 1861
  • Periophthalmus erythronemus Guichenot, 1858

বর্ণনা সম্পাদনা

আটলান্টিক ডাহুক মাছের দেহ লম্বা ও চাপা। মাছটির পুচ্ছপাখনা গোলাকার। দেহ জলপাই-বাদামী বর্ণের। প্রথম পৃষ্ঠপাখনার প্রান্তের দিকে কালাে এবং শীর্ষভাগ সাদা আবার দ্বিতীয় পৃষ্ঠপাখনার কিনারাও কালাে ও সাদা বর্ণের হয়।[২]

বিস্তৃতি সম্পাদনা

এই মাছ ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত।[২]

আবাসস্থল সম্পাদনা

মাছটি বঙ্গোপসাগর এবং মােহনায় পাওয়া যায়। এরা উভচর প্রাণী, বায়ু থেকে শ্বাস নেয়; সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ জলাধারের জোয়ার-ভাটা প্রভাবিত অংশে বালি বা কাদায় খাদ্যের সন্ধানে হাঁটতে থাকে বা হামাগুড়ি দিতে দেখা যায়। প্রায়ই খাদ্য, নিরাপত্তা বা আশ্রয়ের জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যায়। সাধারণত ভাটার সময় এদেরকে খাদ্যের সন্ধানে কাদাযুক্ত সৈকত দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। তবে এরা সুযােগ সন্ধানি মাংসাশী স্বভাবের। ছােট ছােট কীটপতঙ্গ, কাকড়া ও অন্যান্য প্রাণীও শিকার করে খায়। এরা দেহটাকে মাটিতে আঘাত করে কাদা বা পানির মধ্য দিয়ে চলে যার ফলে শত্রুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা সহজতর হয়। পুরুষ মাছ তাদের বর্ণিল বক্ষপাখনা উপরে রেখে পানির উপরে শূন্যে লাফ দেওয়ার মাধ্যমে স্ত্রী মাছকে আকর্ষণ করে।

বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ সম্পাদনা

এই মাছ সচরাচর পাওয়া যায়। আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে এই মাছের জন্য কোন নির্দিষ্ট আহােরণ পদ্ধতি না থাকায় মােটামুটি টিকে থাকে।[২]

অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পাদনা

বাংলাদেশে এই মাছ খাদ্য হিসেবে খাওয়া হয়। তবে এশিয়ার চীনকোরিয়াত দেশের রেস্টুরেনে সুপ তৈরিতে মাছটি ব্যবহৃত হয়। এমনকি জাপানেও খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই প্রজাতির মাছের ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট আহােরণ পদ্ধতি নেই এবং মৎস্য সম্পদেও গুরুত্বপূর্ণ নয়। সাধারণত এটি অ্যাকুরিয়াম মাছ হিসেবেই বেশি পরিচিত।[২]

মন্তব্য সম্পাদনা

এই প্রজাতিটি তার অদ্ভুত আবাসস্থল যা মাছের থাকার জন্য স্বাভাবিক না, আশ্চর্যজনক দারাবাজি খেলার কৌশল, চোখ দুটিকে উপরে তুলে রাখা এবং কাদায় লাফালাফি করার জন্য সুপরিচিত।[২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Bousso, T., Lalèyè, P. & Moelants, T. 2010. Periophthalmus barbarus. In: IUCN 2013. IUCN Red List of Threatened Species. Version 2013.1. <www.iucnredlist.org ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ জুন ২০১৪ তারিখে>. Downloaded on 16 September 2013.
  2. এ কে আতাউর রহমান, গাউছিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৬৫–২৬৬। আইএসবিএন 984-30000-0286-0 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)