আজিজি মসজিদ, উত্তর সুমাত্রা

ইন্দোনেশিয়ার মসজিদ
(আজীজি মসজিদ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

আজিজি মসজিদ, উত্তর সুমাত্রা ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানদের একটি উপাসনালয়। যা তেনজাং পুরা, উত্তর সুমাত্রায় অবস্থিত। এটি ছিল লাংকাট সালতানাতের রাজকীয় মসজিদ[২]

আজীজি মসজিদ
Masjid Azizi
১৯২০ সালে আজীজি মসজিদ।
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
প্রদেশউত্তর সুমাত্রা
অবস্থাসক্রিয়
অবস্থান
অবস্থানতেনজাং পুরা,উত্তর সুমাত্রা ইন্দোনেশিয়া
স্থানাঙ্ক৩°৫৩′২৯″ উত্তর ৯৮°২৫′২৬″ পূর্ব / ৩.৮৯১৫২৬° উত্তর ৯৮.৪২৩৯৭৩° পূর্ব / 3.891526; 98.423973
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীমুঘল স্থাপত্য
ভূমি খনন১৮৯৯
সম্পূর্ণ হয়১৩ জুন, ১৯০২
নির্মাণ ব্যয়২০০,০০০ রিংগিত
বিনির্দেশ
সম্মুখভাগের দিকপশ্চিম
ধারণক্ষমতা২,০০০
দৈর্ঘ্য২৫ মিটার (৮২ ফু)
প্রস্থ২৫ মিটার (৮২ ফু)
উচ্চতা (সর্বোচ্চ)৩০ মিটার (৯৮ ফু)
গম্বুজসমূহসর্বমোট ২১, ৪ প্রথান গম্বুজ
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে)২০ মিটার (৬৬ ফু)[১]
মিনার
মিনারের উচ্চতা৬০ মিটার (২০০ ফু)

ইতিহাস সম্পাদনা

লাংকাট সালতানাতের উনিশ শতকের শেষের শাসক এবং টেংকু সুলতানের হাজী মুসা আল-খালিদী আল-মুয়াজজম সিয়াহর পুত্র টেংকু সুলতান আবদুল আজিজের নির্দেশে ১৮৮৯ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। [৩] মসজিদটির নকশা করেছিলেন এক জার্মান স্থপতি। বেশিরভাগ নির্মাণ শ্রমিক লাংকাট রিজেন্সি-র চীনা বাসিন্দা ছিলেন। পেনাং এবং সিঙ্গাপুর থেকে বাতাং সেরানগান নদীর মাধ্যমে নির্মাণ সামগ্রী প্রেরণ করা হয়েছিল এবং ৮০ টি গরুর গাড়ি দিয়ে তা স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। [৩] মসজিদটির নির্মান কাজ শেষ হওয়ার আগে আবদুল আজিজ মারা গিয়েছিলেন। সুতরাং নির্মাণকাজটি তাঁর ছেলে টেংকু সুলতান মাহমুদ রহমত সায়াহ হাতে নিয়েছিলেন। [৩] মসজিদটির নির্মান কাজ ১৩ই জুন, ১৯০২ সালে শেষ হয়েছিল। ১৯২৬ সালে মসজিদটিতে একটি মিনার যুক্ত করা হয়।[৪]

১৯৭৮-১৯৭৯, ১৯৮০-১৯৮১ এবং ১৯৯০-১৯৯১ সালে মসজিদটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছিল।[৪]

মসজিদ সম্পাদনা

 
ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রায় অবস্থিত মসজিস, নাম আজিজি মসজিদ।

মসজিদ কমপ্লেক্সটি প্রায় ৩ হেক্টর (৭.৪ একর) জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রধান প্রার্থনা হলটি প্রায় ২৫x২৫ মিটার। প্রধান প্রার্থনা হলের উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে তিনটি মুঘল স্টাইলের প্রবেশদ্বার রয়েছে। মসজিদটির রয়েছে মুঘল-স্টাইলের গম্বুজ রয়েছে যা তামা দিয়ে সজ্জিত। সবচেয়ে ভারী গম্বুজটির ওজন প্রায় ৪০ টন। [৩] অভ্যন্তর প্রধানত মার্বেল পাথর ও ইতালিয়ান স্ফটিক ঝাড়বাতি দিয়ে সজ্জিত। [৩] মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিতরে ল্যাংকাট সালতানাতের অন্তর্ভুক্ত রাজ পরিবারের বেশ কয়েকটি সমাধি রয়েছে। [৪]

মালয়েশিয়ার কেদাহ শহরের জহির মসজিদের নির্মাণশৈলী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আজিজি মসজিদের স্থাপত্য নির্মান করা হয়। [৪]

আরো দেখুন সম্পাদনা

  • ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম
  • ইন্দোনেশিয়ার মসজিদগুলির তালিকা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

কাজ উদ্ধৃত সম্পাদনা