অগ্রপুরী বিহার
অগ্রপুরী বিহার বা আগ্রাদ্বিগুন ঢিবি (ইংরেজি: Agrapuri Vihara) বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপনা। এটি মূলত নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন সদর আগ্রাদ্বিগুন বাজারের পাশেই অবস্থিত[১] ও বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর-এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।[১]
অবস্থান | আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন, ধামইরহাট উপজেলা, নওগাঁ জেলা |
---|---|
অঞ্চল | রাজশাহী |
স্থানাঙ্ক | ২৫°১০′৪০.৯″ উত্তর ৮৮°৪২′১৪.২″ পূর্ব / ২৫.১৭৮০২৮° উত্তর ৮৮.৭০৩৯৪৪° পূর্ব |
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন |
এলাকা | ৪ একর (১৬,০০০ মি২) |
স্থান নোটসমূহ | |
অবস্থা | ধ্বংসের পথে |
মালিকানা | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
ব্যবস্থাপনা | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | উঁচু ঢিবি |
অবস্থান
সম্পাদনাধামুইরহাট উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে কাশিপুর নামক মৌজায় স্থানীয় আগ্রাদ্বিগুন বাজারের পশ্চিম পাশে বিহারটি অবস্থিত।[২][৩] পূর্বে এই প্রাচীন স্থান অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৪]
ইতিহাস
সম্পাদনাঅগ্রপুরী বিহারের বিস্তারিত ইতিহাস জনা যায় নাই। বৌদ্ধধর্মাবলম্বী পাল রাজাদের রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছিল।[২] তিব্বতীয় সাহিত্য অনুসারে অগ্রপুরী বিহার বলা যায়। বিহার বলতে মূলত বিদ্যালয় এবং উপাসনালয় দুইটির মিলিত স্থাপনা। একসময় বিহারটি বৌদ্ধ শিক্ষার বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ছিল।[৫] তবে বর্তমানে স্থাপনাটি ধ্বংসের পথে।[৩]
বিবরণ
সম্পাদনাবিহারটি চার বর্গমাইল এলাকাজুড়ে অবস্থিত। বিহার এলাকায় অনেক প্রাচীন জলাশয়ের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়। বিহারটি দেখতে পাহাড়ের মতো উঁচু ঢিবি আকৃতির। ঢিবি আকৃতির উপরের অংশ প্রায় সমতল।[২] আগ্রাদ্বিগুন ঢিবি নামে দুটি প্রাচীন গ্রামের মধ্যে অনেক দিঘি ছিল। প্রত্যেকটি প্রায় ১৫ থেকে ২০ একর আয়তনের। বর্তমানে এর চারপাশে অনেক পুরানো পাথর, শিলা পড়ে রয়েছে।[৪]
আরো পড়ুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "প্রত্নস্হলের তালিকা"। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। www.archaeology.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ গ আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ (২০১৯-০৬-০৪)। "ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন প্রাচীন বাংলায়"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪।
- ↑ ক খ "প্রাচীন বিহার- হলুদ জগদ্দল অগ্রপুরী, ইতিহাস অনুদ্ঘাটিত"। দৈনিক জনকন্ঠ। ১৮ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪।
- ↑ ক খ আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া; প্রশ্নোত্তরে বাঙলাদেশের প্রত্নকীর্তি (প্রথম খন্ড); ঝিনুক প্রকাশনী; তৃতীয় মুদ্রণঃ মার্চ ২০১৩; পৃষ্ঠা- ২২৯-৩০, ISBN 984- 70112-0112-0
- ↑ "আগ্রাদ্বিগুণ ঢিবি/ অগ্রপুরী বিহার"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২০২০-০৬-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪।