আক্তার সরদার
আক্তার সরদার (মৃত্যু: ২৬ এপ্রিল ২০১৬) একজন বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকার শেষ জীবিত সরদার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে।[১]
আক্তার সরদার | |
---|---|
মৃত্যু | ২৬ এপ্রিল ২০১৬ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
পরিচিতির কারণ | ঢাকার শেষ সরদার |
পুরস্কার | একুশে পদক (২০২০) |
জীবনী
সম্পাদনাআক্তার ঢাকার মগবাজারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি মগবাজারের আদি মগ সম্প্রদায়ের সদস্য। তার পিতার নাম ওসমান গনি সরদার। তার ভাই ছিলেন শাহাবুদ্দিন সরদার। ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের ঢাকা শহরের পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় সরদারি প্রথা চালু হওয়ার পর ঢাকায় ২২টি সরদার কমিটি বা পঞ্চায়েত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধানদের সরদার নামে অবহিত করা হতো। আক্তারের পিতা মগবাজারের সরদারি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উত্তরাধিকারসূত্রে তিনি মগবাজারের সরদার হন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাকে ঢাকার সর্বশেষ জীবিত সরদার হিসেবে বিবেচনা করা হতো।[২]
আক্তার ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন পাকিস্তানবিরোধী সব আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং নেতৃত্ব প্রদান করেন।[২] ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে মুক্ত করতে মগবাজার থেকে তার নেতৃত্বে প্রতিবাদস্বরূপ মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।[২] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।[২] মুক্তিবাহিনী তাদের গোপন আশ্রয়ের জন্য তার মগবাজারের সরদার বাড়িটি ব্যবহার করতো। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর তিনি এর প্রতিবাদ করেন।[২]
চিত্রশালা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "একুশে পদক পাচ্ছেন কিংবদন্তি চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. সায়েবা"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "চলে গেলেন ঢাকার শেষ সরদার"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০।