আকবর হোসেন (সাহিত্যিক)

বাঙালি কথাশিল্পী, ঔপন্যাসিক

আকবর হোসেন (১ অক্টোবর ১৯১৭- ২ জুন ১৯৮১) ছিলেন জনপ্রিয় বাঙালি কথাশিল্পী, ঔপন্যাসিক। তিনি ছিলেন একাধারে একজন কবি, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার।

আকবর হোসেন
জন্ম
আকবর হোসেন

১ অক্টোবর ১৯১৭
মৃত্যু২ জুন ১৯৮১(1981-06-02) (বয়স ৬৩)
পেশালেখক, সাহিত্যিক
পরিচিতির কারণগল্পকার, ঔপন্যাসিক

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

আকবর হোসেনের জন্ম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় গড়াই তীরবর্তী কয়া গ্রামে। নদীর সৌন্দর্য, খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশ, গ্রামীণ জীবনযাপন তার বালক-মনে দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছিল, যা তার লেখক সত্তার উন্মেষে সাহায্য করে। তিনি সাহিত্য জীবনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছাত্রাবস্থায়ই আকবর হোসেন লেখালেখি শুরু করেন। তার সাহিত্যচর্চা শুরু হয়েছিল কবিতার মাধ্যমে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কথাশিল্পী হিসেবেই তিনি পরিচিত হন। সন্ধানী, শিক্ষা, দৈনিক আজাদ ও নবযুগসহ বিভিন্ন পত্র- পত্রিকায় লেখা প্রকাশের ভেতর দিয়ে তার সাহিত্য প্রতিভার উন্মেষ ঘটে। তার প্রথম উপন্যাস 'অবাঞ্ছিত' প্রকাশ হয় ১৯৫০ সালে, যা অল্প সময়ে পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে।

শিক্ষা ও কর্মজীবন সম্পাদনা

আকবর হোসেন কুমিল্লা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরবর্তীতে কলকাতা রিপন কলেজ থেকে বি.এ. ডিগ্রি নিয়ে চাকরি জীবনের সূচনা করেন। দীর্ঘদিন তিনি সরকারি চাকুরিতে কর্মরত ছিলেন। ছাত্রাবস্থায়ই তার লেখালেখির শুরু। "সন্ধানী" "শিক্ষা" "দৈনিক আজাদ" ও "নবযুগ" ইত্যাদি পত্র-পত্রিকায় লেখা প্রকাশের ভেতর দিয়ে তার সাহিত্য প্রতিভার উন্মেষ ঘটে। আকবর হোসেন-এর প্রথম উপন্যাস অবাঞ্চিত বিপুল পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে। তার বহুল জনপ্রিয় আরও কয়েকটি গ্রন্থ হলোঃ কী পাইনি, ঢেউ জাগে, দু'দিনের খেলাঘরে, মোহমুক্তি ইত্যাদি।

প্রকাশিত গ্রন্থ সম্পাদনা

উপন্যাস সম্পাদনা

  • অবাঞ্ছিত (১৯৫০)
  • কি পাইনি (১৯৫২)
  • নীলাঞ্জনা
  • প্রাণবসন্ত
  • উপল উপকূলে
  • হৃদয় উপবনে
  • মোহমুক্তি (১৯৫৩)
  • ঢেউ জাগে (১৯৬১)
  • আলোছায়া (১৯৬৪)
  • দু'দিনের খেলাঘরে (১৯৬৫)
  • মেঘ বিজলী বাদল (১৯৬৮)
  • নতুন পৃথিবী (১৯৭৪)
  • দুষ্টক্ষত
  • আভা ও তার প্রথম পুরুষ[১]

মৃত্যু সম্পাদনা

আকবর হোসেন তার সমসাময়িক জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ছিলেন। তিনি ২রা জুন, ১৯৮১ সালে মারা যান।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ১৫।