আইএনএস কলকাতা (ডি৬৩)

(আইএনএস কলকাতা থেকে পুনর্নির্দেশিত)

আইএনএস কলকাতা হল কলকাতা শ্রেনির নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত ডেস্ট্রয়ার শ্রেনির স্টেলথ যুদ্ধজাহাজ। ২০০৩ সালে এই যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের কথা থাকলেও লাল ফিতার ফাঁষে পড়ে নির্মাণ বিলম্ব হয় এবং ২০০৬ সালে জাহাজটির নির্মাণ শুরু হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১০ই জুলাই জাহাজটির পরিক্ষা মূলক যাত্রা শুরু হয় এবং ১৬ই আগস্ট ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী আইএনএস কলকাত যুদ্ধ জাহাজটি ভারতীয় নৌ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করেন।[১][২]

ইতিহাস
ভারত
নাম: আইএনএস কলকাতা
নামকরণ: কলকাতা
স্বত্তাধিকারী: ভারতীয় নৌ বাহিনী
নির্মাতা: মাজাগাঁয় ডক লিমিটেট
ইয়ার্ড নম্বর: ৭০১
পথ নম্বর: ডি৬৩
নির্মাণের সময়: সেপ্টম্বর ২০০৩
অভিষেক: ৩০শে মার্চ ২০০৬
অর্জন: ১০ই জুলাই ২০১৪
কমিশন লাভ: ১৬ই আগস্ট ২০১৪[১]
মাতৃ বন্দর: মুম্বাই
নীতিবাক্য: list error: <br /> list (help)
"Yudhay Sarvasannadh"(Sanskrit)
"সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত"[২]
ব্যাজ: INS Kolkata crest
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
ওজন: ৭,৫০০ টন[৩][৪]
দৈর্ঘ্য: ১৬৩ মি (৫৩৫ ফু)[৫]
প্রস্থ: ১৭.৪ মি (৫৭ ফু)[৫]
গতিবেগ: ৩০ নট (৫৬ কিমি/ঘ; ৩৫ মা/ঘ) বেশি
সীমা: ৮,০০০ নটিক্যাল মাইল (১৫,০০০ কিমি; ৯,২০০ মা)+
নাবিক: ২৫০ (estd)
বিমানচালানর সুবিধাসমূহ:

প্রযুক্তি ও নির্মাণ সম্পাদনা

জাহাজটি নির্মাণ করেছে মাজাগাঁয় ডক লিমিটেট এবং ডিজাইন করেছে নেভি ডিজাইন ব্যুরো। জাহাজটির নির্মাণ কৌশল এতই উন্নত যে দূরে অন্য জাহাজ থেকে মনে হবে এটি মাছ ধরা টলার। জাহাজটি ১৬৩ মিটার লম্বা ও ১৭ মিটার চওড়া। এটি একটি ডুবজাহাজ প্রতিরোধী ও ১৬টি মিসাইল ছুড়তে সক্ষম যুদ্ধ জাহাজ। জাহাজটিতে ইউক্রেন থেকে আনা ২টি ডিজেল ইঞ্জিন, ২টি গ্যাস টার্বাইন ও ২টি জেনেরেটর রয়েছে। জাহাজটির গতি ৩০ নটিকাল কিমি (৫৬ কিমি/ঘণ্টা) এবং এর রেঞ্জ ৮০০ নটিকাল কিমি বা ১৫০০ কিমি।

সেন্সর ও রাডার সম্পাদনা

এই যুদ্ধ জাহাজটিতে ব্যবহৃত রাডারটি (MF-STAR-AESA) ইসরায়েলে তৈরি। রাডারটির চারদিকে চারটি প্যনেল বর্তমান; ফলে এটি ৩৬০ ডিগ্রি নজর রাখতে সক্ষম। রাডারটি এস ব্যনড সংকেত বিশ্লেষনে সক্ষম যা প্রধানত কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যবহৃত হয়। রাডারটির রেঞ্জ ২৫০ কিমি। প্রযুক্তিটি এক সঙ্গে ২৪টি সংকেত বুঝতে ও ১৬টি মিসাইল ছুড়তে সক্ষম।

ডুবজাহাজ সনাক্তকরণ প্রযুক্তি সম্পাদনা

জাহাজটিতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ডুবজাহাজ ধ্বংসকারী ব্যবস্থা রয়েছে। এটি জলের নিচে এক সঙ্গে ৮টি লক্ষ্য শনাক্ত করতে সক্ষম ও ৪টি টর্পেড ছুড়তে সক্ষম।

ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সম্পাদনা

জাহাজটি থেকে ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ও বারাক ৮ ছুড়তে সক্ষম।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "PM-Modi-inducts-Indias-largest-indigenously-built-warship-INS-Kolkata"। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে এপ্রিল, ২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Prime Minister Commissions INS Kolkata"pib.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে এপ্রিল, ২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "Navy gets its largest destroyer"। The Hindu। ১৩ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৪ 
  4. "Largest destroyer project of Navy hit by delay"। Defence Express। 6 Jun 2013। ১০ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে এপ্রিল, ২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  5. Rasquinha, Reagan Gavin (২৮শে এপ্রিল, ২০১৬), "Queen of the high seas", Times of India  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা