অ্যাঞ্জেলা আকুনা ব্রাউন

অ্যাঞ্জেলা আকুনা ব্রাউন (স্পেনীয়: Ángela Acuña Braun; জন্ম: ২ অক্টোবর, ১৮৮৮ - মৃত্যু: ১০ অক্টোবর, ১৯৮৩) কার্তাগো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা কোস্টারিকীয় প্রমিলা অ্যাটর্নি, লেখক ও কূটনীতিবিদ ছিলেন। মধ্য আমেরিকার প্রথম প্রমিলা অ্যাটর্নি হবার গৌরব অর্জন করেন তিনি। এছাড়াও তিনি নারীবাদী ও মহিলাদের ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলন করে গেছেন। তিনি অনেকগুলো বছর মহিলাদের দাসত্ব থেকে মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করেছেন ও শিশুদের রক্ষার্থে সিভিল কোডের ধারা সংশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। আন্তঃ-আমেরিকান মহিলা কমিশনে তেরো বছর কোস্টারিকার প্রতিনিধিত্ব করেন। লিগা ফেমেনিস্তা কোস্তারিসেন্স ও ইউনিয়ন ডে মুজেরেস আমেরিকানাসের কোস্টারিকা অধ্যায়ের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং মহিলা ও শিশুদের রক্ষার কাজেই পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি। আইন বিষয়ে তিনি অগণিত নিবন্ধ রচনা করেছেন ও মহিলা এবং শিশুদের অধিকার রক্ষার্থে সফল প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। আন্তঃ-আমেরিকান মানবাধিকার কমিশনে বারো বছর প্রতিনিধিত্ব করেন। তার অধিকাংশ লেখনিই আইনসংক্রান্ত। তবে দুই দশককাল কোস্টারিকীয় মহিলাদের বিশ্বকোষেও কাজ করেছেন তিনি।

অ্যাঞ্জেলা আকুনা ব্রাউন
জন্ম
অ্যাঞ্জেলা আকুনা ব্রাউন

(১৮৮৮-১০-০২)২ অক্টোবর ১৮৮৮
মৃত্যু১০ অক্টোবর ১৯৮৩(1983-10-10) (বয়স ৯৫)
জাতীয়তাকোস্টারিকীয়
অন্যান্য নামঅ্যাঞ্জেলা আকুনা ডে চাকোন
পেশাআইনজীবী, লেখক ও কূটনীতিবিদ
কর্মজীবন১৯১৭-১৯৫৪

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

২ অক্টোবর, ১৮৮৮ তারিখে কোস্টারিকার কার্তাগো এলাকায় অ্যাঞ্জেলা আকুনা ব্রাউনের জন্ম।[১] ২নং গার্লস স্কুল ছিল তার গ্রামার স্কুল যা বর্তমানে ইস্কুলা জুলিয়া ল্যাং নামে পরিচিত। এরপর ১৯০১ থেকে ১৯০৫ সময়কালে সুপারিওর গার্লস স্কুলে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপন ঘটান। ১৯০৬ সালে ফ্রান্সইংল্যান্ডে অধ্যয়ন করেন। এ সময়েই ইউরোপে ভোটাধিকার আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ততা ঘটান।[২] ১৯১২ সালে কোস্টারিকায় প্রত্যাবর্তন করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনে পূর্ণাঙ্গতা আনয়ণ করতে পারেননি মূলতঃ পড়াশোনায় অনুমতি না থাকায়। লিসিও ডে কোস্টারিকায় তিনিই একমাত্র ছাত্রী ছিলেন।[২] সেখান থেকে মানবিকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। সাময়িকী ও সংবাদপত্রে নিবন্ধ প্রকাশ করতে শুরু করেন তিনি। কখনোবা তিনি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন ও মহিলাদের সমতায়ণে অগ্রসর হন।[৩] এক বছর পড়াশোনার পর তিনি আইন বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের অনুমতিপ্রাপ্ত হন।[২] এর তিন বছর পর আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন তিনি।[৩] ১৯১৫ সালে তিনি ফিগারো সাময়িকী প্রতিষ্ঠা করেন ও আমেরিকা থেকে লেখার জন্য লেখকদের আমন্ত্রণ জানান। ১৯১৬ সালে সিভিল কোড সংশোধনের বিষয়ে কোস্টারিকান কংগ্রেসে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।[৪]

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯১৯ সালে প্রথম মহিলা হিসেবে আকুনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন।[৪] তিনি তার লেখনি চালিয়ে যান ও রাষ্ট্রপতি ফেদেরিকো তিনোকো গ্রানাদোস সরকারের বিরুদ্ধে শ্রম আইন ভঙ্গের অপরাধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ অবরোধে মাতিল্দে কারাঞ্জা, আনা রোজা চাকন, লিলিয়া গঞ্জালেজ, কারম্যান লিরা, ভিক্টোরিয়া মাদ্রিগাল, ভিতালিয়া মাদ্রিগাল, ইস্তার ডে মেজেরভিল, মারিয়া অর্তিজ, তিওদোরা অর্তিজ, ইস্টার সিলভা ও আন্দ্রিয়া ভেনেগাসের ন্যায় তার কিছু শিক্ষকও পরবর্তীকালে ভোটাধিকার আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯২৩ সালে নিউইয়র্কে অবস্থানকারী মেক্সিকীয় নারীবাদী এলেনা আরিজমেন্দি মেজিয়া ‘ফেমিনিজমো ইন্তারন্যাশিওনাল’ সাময়িকী প্রকাশ করেন। এতে তিনি বিশ্বের সকল মহিলাকে ঐ বছরের ১২ অক্টোবর আইবেরীয় ও লাতিন আমেরিকান মহিলা আন্তর্জাতিক লীগের সদস্যতা লাভের আমন্ত্রণ জানান। ফলশ্রুতিতে আকুনা ও অন্যান্যরা লিগা ফেমিনিস্তা কোস্তারিসেন্স (এলএফসি) প্রতিষ্ঠা করেন, যা কোস্টারিকার প্রথম নারীবাদী সংগঠনরূপে পরিচিতি পায়।[৩] ১৯২৪ সালে সম অর্থের বেতন প্রদানের লক্ষ্যে শিক্ষকদের আন্দোলনে অংশ নেন। তাস্বত্ত্বেও লিঙ্গ বৈষম্য নিরূপণার্থে পিতৃত্ব অনুসন্ধানের বিষয়ে জড়িত হন। ১৯২৫ সালে ‘লস দেরেচোস ডেল নিনো দেন্ত্রো ডে লা লে মদোরনাস’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য মধ্য আমেরিকার প্রথম প্রমিলা আইনজীবী হন।[৪] এর পরপরই তাকে ঘিরে নোতারিয়াদো অর্গ্যানিক লয়ে আইনপেশায় মহিলাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে।[৫]

১৯২৬ সালে পড়াশোনা চালানোর স্বার্থে ইউরোপ গমন করেন। ব্রাসেলসে তিন বছর অধ্যয়ন করেন ও পক্ষীবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা লাভ করেন তিনি। ১৯২৯ সালে কোস্টারিকায় ফিরে আসেন তিনি। কোস্টারিকীয় কংগ্রেসে প্রথমবারের মতো মহিলাদের ভোটাধিকারের বিষয়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।[৪] বিদ্যালয়ের দ্বাররক্ষক হিসেবে পরিচিত শিক্ষকদেরকে সমান বেতন প্রদানের জন্যও অনুরোধ জানান তিনি। ১৯৩২ সালে কোস্টারিকা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্থা প্রতিষ্ঠাসহ খসড়া সনদ তৈরী করেন। মহিলাদের শান্তি ও মুক্তির আন্তর্জাতিক সংস্থায় কোস্টারিকার অংশগ্রহণ ঘটান।[৬] ‘ডায়রিও ডে কোস্টা রিকা’, ‘লা হোরা’, ‘লা ন্যাশিওন’ ও ‘লা রিপাবলিকা’র ন্যায় সংবাদপত্রসমূহে তিনি ভোটবিষয়ক নিবন্ধের প্রচারণাকর্ম চালিয়ে যেতে থাকেন।[২] ১৯৩৪ সালে এলএফসি সংসদীয় প্রতিনিধিদের সাথে যৌথভাবে একটি কমিশন গঠন করে। ঐ কমিশনে আইন, সমাজবিজ্ঞান, শিক্ষা, ফাইন আর্টস ও স্বাস্থ্যখানে পেশাদার শিক্ষিত মহিলাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাস্বত্ত্বেও প্রতিনিধিরা আশাবাদী যে, এরফলে সচেতনতা তৈরী হয়েছে ও তারা সাধারণভাবে নীতিবোধ তুলে ধরতে একমত হয় ও কোন প্রতিবাদী কার্যক্রম গ্রহণ করেনি।[৭] ১৯৪০ সালে প্যান আমেরিকান রাউন্ড টেবিলের কোস্টারিকীয় শাখা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ১৯৩৮ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে লিদিয়া ফার্নান্দেজের পরিবর্তে আন্তঃ-আমেরিকান মহিলা কমিশনে (সিআইএম) কোস্টারিকার প্রতিনিধিত্ব করেন ও প্রথম মধ্য আমেরিকান শিক্ষাবিষয়ক মহিলা কংগ্রেস গঠনে সহায়তা করেন।[৮]

১৯৪০ সালে প্যান আমেরিকান রাউন্ড টেবিলের কোস্টারিকা শাখা প্রতিষ্ঠা করেন ও ১৯৪১ সালে সিআইএমে কোস্টারিকার প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হন।[৪] এ পদে তিনি পরবর্তী তেরো বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।[১] তিনি কোস্টারিকীয় আইনের ধারা গভীরভাবে লক্ষ্য করেন ও আইনের ধারা পরিবর্তন আনয়ণে সক্ষমতা দেখান। এরফলে মহিলাদের বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিযুক্ত হবার পথ সুগম হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জুভেনিল বিচার ব্যবস্থা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ডালাস, ডেনভার, নিউইয়র্ক, সল্ট লেক সিটি ও ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে শুনানি ও বিচার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি জুভেনিল জবানবন্দী ও সংশোধন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান এবং পুণর্বাসন কেন্দ্রে শিশুদের আচরণীয় সমস্যা পর্যবেক্ষণ করেন।[৪] তার পড়াশোনায় মানবাধিকার জন্য লড়াই ও শিশু এবং নারীদেরকে প্রতিরক্ষা বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এগুলোকে সমস্যা আকারে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মনোযোগ আকর্ষণ ও সমাধানের বিষয়ে অগ্রসর হন।[২] ১৯৪৩ সালে পানামানীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধক্রমে শিক্ষার পুণর্গঠন সম্পর্কীয় সভায় উপস্থিত হন।[৪] মহিলাদের ভোটাধিকারের বিষয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে কোস্টারিকায় প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৭ সময়কালে তিনি প্রতিটি কংগ্রেসেই ভোটের অধিকারের লক্ষ্যে দাবী উপস্থাপন করতেন। অবশেষে কোস্টারিকার গৃহযুদ্ধ শেষ হবার পর নতুন সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন করা হয় ও ১৯৪৮ সালে মহিলাদের দাবীকে প্রাধান্য দেয়া হয়।[৯]

রচনাসমগ্র সম্পাদনা

১৯৫০ সালে বিশ্বের একমাত্র মহিলা বিশ্বকোষের রচয়িতা ড. ব্লাঙ্কে ক্রিস্টিন ওল্সচাকের সাথে কাজ করতে শুরু করেন।[১০] আকুনা ড. অসচাকের মহিলা বিশ্বকোষের অন্তর্ভুক্ত ‘চার শতাব্দীকালের কোস্টারিকীয় মহিলাদের’ ঐতিহাসিক সামাজিক বিষয় অন্তর্ভুক্তিকরণটি শেষ করতে চাইলেন।[৪] দীর্ঘ দুই দশক পর কোস্টারিকীয় মহিলাদেরকে নিয়ে গড়া রচনা সঙ্কলনটি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ সময়কালে দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছিল।[২]

সম্মাননা সম্পাদনা

আকুনা’র কর্মজীবনের শেষের দিনগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত। এ সময়ে তিনি প্রতিনিধিরূপে কূটনৈতিক পদে অবস্থান করতেন। ১৯৫৩ সালে প্যান আমেরিকান ইউনিয়নে মহিলাদের আইন নিয়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। কারাকাসে অনুষ্ঠিত আন্তঃ-আমেরিকান মহিলা কমিশনের সম্মেলনে তা উপস্থাপন করেন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সময়কালে তিনি ইউনিয়ন ডে মুজেরেস আমেরিকানাস সংগঠিত করেন ও এরজন্য কোস্টারিকা অধ্যায়ের সরকারী দলিলপত্রাদি তৈরী করেন। ১৯৫৭ সালে আমেরিকান স্টেটস অর্গ্যানাইজেশনে কোস্টারিকার দূত মনোনীত হন ও ‘আমেরিকার মহিলা’ পদবীতে ভূষিত হন।[৪] ১৯৬০ থেকে ১৯৭২ সময়কালে তিনি কোস্টারিকার প্রতিনিধিরূপে আন্তঃ-আমেরিকান মানবাধিকার কমিশনে (আইএসিএইচআর) যোগ দেন।[১১] ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২ তারিখে কোস্টারিকা থেকে ‘বেনেমেরিতা ডে লা পাত্রিয়া’ পুরস্কারে ভূষিত হন যা মাতৃভূমিকে অসামান্য সেবাদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়ে থাকে।[২]

১০ অক্টোবর, ১৯৮৩ তারিখে কোস্টারিকার সান জোসে আকুনা’র দেহাবসান ঘটে।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Ángela Acuña Braun (1888–1983)"Organización de Estados Iberoamericanos (Spanish ভাষায়)। Organización de Estados Iberoamericanos। ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৫ 
  2. "Ángela Acuña Braun" (পিডিএফ)Comunidad Educativa de Centroamérica y República Dominicana (Spanish ভাষায়)। San José, Costa Rica: Ministerio de Educación Pública। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৫ 
  3. Solano Arias, Marta E. (জানুয়ারি–জুন ২০১৪)। "A 90 años de la fundación de la Liga Feminista Costarricense: los derechos políticos" (পিডিএফ)Revista Derecho Electoral (Spanish ভাষায়)। San José, Costa Rica: Tribunal Supremo de Elecciones República de Costa Rica (17): 357–375। আইএসএসএন 1659-2069। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৫ 
  4. Santana, Robert (৮ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Beneméritos de la Patria: Ángela Acuña Brawn"Asamblea Legislativa de a República de Costa Rica (Spanish ভাষায়)। San José, Costa Rica: Asamblea Legislativa de a República de Costa Rica। ২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৫ 
  5. "Historia del Colegio"El Colegio de Abogados y Abogadas de Costa Rica (Spanish ভাষায়)। San José, Costa Rica: El Colegio de Abogados y Abogadas de Costa Rica। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৫ 
  6. "Acuña Braun, Ángela"Sinabi (Spanish ভাষায়)। San José, Costa Rica: Sistema Nacional de Bibliotecas Costa Rica। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৫ 
  7. Riera, Macarena Barahona (১৯৯৪)। Las sufragistas de Costa Rica (Spanish ভাষায়) (1 সংস্করণ)। San José, C.R.: Ed. de la Univ. de Costa Rica। পৃষ্ঠা 115–118। আইএসবিএন 978-9977-67-257-1 
  8. "Stevens, Doris, 1888–1963. Papers of Doris Stevens, 1884–1983 (inclusive), 1920–1960"Harvard University Library। Harvard University Library। ৪ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৫ 
  9. Barahona, Macarena (২৭ জুলাই ২০১৪)। "La batalla de las sufragistas ticas"La Nación (Spanish ভাষায়)। San José, Costa Rica। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৫ 
  10. Grant, Jane; Hellman, Geoffrey T. (১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬)। "Oly's Opus"The New Yorker। New York City। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৫ 
  11. "Former IACHR Commissioners"OAS। Organization of American States। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা