অস্টিনস সুইফট/কোলন সুইফট (বৈজ্ঞানিক নাম: Caltoris cahira austeni (Moore)) 'হেসপারিডি' (Hespaeriidae) বা স্কিপারস (Skippers) গোত্র ও 'হেসপারিনি' (Hesperiinae) উপ-গোত্রের অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি।[২]

অস্টিনস সুইফট/কোলন সুইফট
Austen's swift
ডানা বন্ধ অবস্থায়
ডানা খোলা অবস্থায়
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: সন্ধিপদী
শ্রেণী: পতঙ্গ
বর্গ: লেপিডোপ্টেরা
পরিবার: Hesperiidae
গণ: Caltoris
প্রজাতি: C. cahira austeni
দ্বিপদী নাম
Caltoris cahira austeni
(Moore, 1883)[১]
প্রতিশব্দ

Parnara austeni
Baoris austeni

আকার সম্পাদনা

অস্টিনস সুইফট এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৪৫-৫৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।[২]

বিস্তার সম্পাদনা

ভারত (সিকিম, অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়) নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড এর বিভিন্ন অঞ্চলে এদের পাওয়া যায়।[২]

বর্ণনা সম্পাদনা

প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-

স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই ডানার উপরিতল কালচে-বাদামি। পুরুষ প্রকারে সামনের ডানায় সেল-এর প্রান্তে দুটি ছোট ছোপ, ডিসকাল অংশে তুলনায় বড় ও তির্যকভাবে অবস্থিত তিনটি ছোপ এবং শীর্ষভাগে (apex) কোস্টার নিচে দুটি বা তিনটি ক্ষুদ্র ছোপ বর্তমান। উক্ত ছোপগুলি সব সাদা ও অর্ধ-স্বচ্ছ। স্ত্রী-প্রকারে সামনের ডানার সাদা ও অর্ধ-স্বচ্ছ ছোপবিন্যাস অনুরূপ, তবে ছোপগুলি আকারে সামান্য বড় এবং পিছনের ডানার টার্মিনাল প্রান্তরেখার উপরে একটি ছোট হলদে ছোপ দেখা যায়। পিছনের ডানা উভয় প্রকারেই দাগ-ছোপ হীন।

ডানার নিম্নতল উপরিতলেরই অনুরূপ। উভয় প্রকারেই পিছনের ডানার টার্মিনাল প্রান্তরেখার উপরে একটি হলদেটে ছোপ লক্ষ্য করা যায়। সিলিয়া (cellia) ছাইরঙা-সাদা।

শুঙ্গ কালো ও অগ্রভাগে ঈষদ হলদেটে, তবে শীর্ষবিন্দু কালো। মাথা, বক্ষদেশ (thorax) ও উদর উপরিতলে কালচে-বাদামি ও নিম্নতলে ফ্যাকাশে বাদামি।[৩]

আচরণ সম্পাদনা

কম দেখতে পাওয়া এই প্রজাতি অন্যান্য সুইফট প্রজাতির ন্যায় দ্রুত উড়ান বিশিষ্ট ও ভূমির অনেক উপর দিয়ে ওড়ে। পাতায় বসে রসপান করতে ও রোদ পোহাতে এদের প্রায়ই দেখা যায়। এরা ডানা মেলা ও বন্ধ দুই অবস্থানেই রোদ পোহায় (busking) ও মাঝেমধ্যে ফুলে বসে মধুপান করে।

উন্মুক্ত বনাঞ্চলে জঙ্গলের পথে গাছপালায় ও ঝোপঝাড়ে এবং নদী বা ঝর্ণার কিনারে সাধারণত সকালের প্রথম ভাগে এই প্রজাতিকে সক্রিয় দেখা যায় ও দুপুরের আগেই এদের বিচরণ বন্ধ হয়ে যায় এবং আবার পড়ন্ত বিকেলে বিচরণ চোখে পরে।কম উচ্চতা বিশিষ্ট পাহাড়ি জঙ্গলে এদর দর্শন মেলে, তবে সমতলভূমি ও অধিক উচ্চতায় এদের কখনোই দেখা যায় না।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Moore, P. Z. S., 1883, p. 533.
  2. Isaac, Kehimkar (২০১৬)। BHNS Field Guides Butterflies of India। Mumbai: Bombay Natural History Society। পৃষ্ঠা 126। আইএসবিএন 9789384678012 
  3. Watson, E. Y. 1891. Hesperiidae Indicae: being a reprint of descriptions of the Hesperiidae of India, Burma, and Ceylon. Vest and co. Madras