অ’ মোর আপোনার দেশ

অসমের রাজ্য সংগীত
(অসমের জাতীয় সংগীত থেকে পুনর্নির্দেশিত)

অ’ মোর আপোনার দেশ (ও আমার নিজের দেশ) অসমের রাজ্য সঙ্গীত। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া রচিত কবিতাগুলোর মধ্যে এটি এক অন্যতম বিখ্যাত কবিতা। তিনি ১৯১০ সালের মে মাসে কৃপাবর বরুয়া ছদ্মনামে বাঁহী (বাঁশী) নামক পত্রিকায় "মোর দেশ" নামে এবং ১৯১৩ সালে কদমকলি বইতে নিজ নামে প্ৰকাশ করেছিলেন।[১] গানটিতে সুরারোপ করেছিলেন কমলা প্ৰসাদ আগরওয়ালা। গানটির সুর এবং কথা সম্পর্কে বিভিন্ন মত রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই গানটি অসমের জাতীয় সঙ্গীতরূপে ১৯২৭ সালে তেজপুরে অনুষ্ঠিত অসম সত্ৰ সম্মেলনে গৃহীত হয়।[২]

অ’ মোর আপোনার দেশ
O mur apunar dex
বাংলা: ও আমার নিজের দেশ

অসম  ভারত-এর রাজ্য সঙ্গীত
কথালক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া
সুরকমলা প্ৰসাদ আগরওয়ালা
গ্রহণের তারিখ১৯২৭
লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া রচিত মূল গানটি

গানটির জন্ম সময় সম্পাদনা

লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া রচিত "মোর দেশ" নামে এই গানটি ১৯১০ সালের মে মাসে বা ১৮৩২ শকাব্দ আশ্বিন মাসে লক্ষ্মীনাথেরই সম্পাদিত মাসিক সাময়িক পত্রিকা "বাঁহী"তে (বাঁশী) প্ৰথম বছর, সপ্তম সংখ্যাতে প্ৰকাশিত হয়েছিল। সেই সংখ্যাতে লক্ষ্মীনাথের দুটি গান প্ৰকাশিত হয়েছিল। 'মোর দেশ' এবং অন্যটি ছিল 'চন্দ্ৰা রাধার দ্বন্দ্ব'। এই দুটি গানের রচয়িতা হিসেবে সে সময়ে তিনি "শ্ৰীকৃপাবর" ছদ্মনামে প্রকাশ করেছিলেন। পরে ১৯১৩ সালে কলকাতা থেকে প্ৰকাশিত লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার কবিতার বই কদমকলিতে এই দুটি গানই সন্নিবিষ্ট হয়ে প্ৰকাশিত হয়। প্ৰথম অবস্থাতে এই 'মোর দেশ' গানটি ইংরাজী সুরে যাতে পরিবেশন করা যায় তার জন্যে চারটা স্তবকে লেখা হয়েছিল যদিও গানটিতে সুর-বিন্যাস করে সাজাতে গিয়ে রচয়িতা লক্ষ্মীনাথের থেকে অণুমতি নিয়ে শেষের চার পঙ্‌ক্তি[৩] জাতীয় সঙ্গীতে অন্তৰ্ভূক্ত করার থেকে বিরত থাকেন সুরকার। গানটির বৈশিষ্ট্য, গভীর জাতীয় প্ৰেম তথা স্বদেশ প্ৰেম এবংজাতীয় পৰ্যায়ে সবার মনোগ্ৰাহী হবার মতো গুণসম্পন্ন যাতে হয়, সেদিকে নানা সময়ে একাধিক সঙ্গীতজ্ঞ সুরকারের দৃষ্টি আকৰ্ষিত হয়। পরবর্তীকালে গানটি তার আগেকার পরিচয় মোর দেশের বদলে অ’ মোর আপোনার দেশ রূপে পরিচিত হয়ে প্রচার এবং প্রসার লাভ করে।[৪]

সুর সম্পাদনা

 
অ' মোর আপোনার দেশ গীতটির স্বরলিপি

'কদমকলিতে' একটি কবিতার রূপে থাকা গানটি কার সুরে বৰ্তমান পৰ্যায়ে এসে পৌঁছুলো সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য মেলে না। সর্বপ্রথম এই গানটি ডিব্ৰুগড়ের জৰ্জ স্কুলের উদ্বোধনী সভাতে ঐ স্কুলের শিক্ষক তারাপ্ৰসাদ চক্ৰবৰ্তীর সুরে গাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে সুরকার প্রফুল্লচন্দ্র বরুয়ার সুরে ডিব্রুগড়ের অসম সাহিত্য সভাতে এই গান গাওয়া হয়। পরবর্তীকালে কমলাপ্ৰসাদ আগওয়ালার সুরে গানটি গাওয়া হয়।[n ১] এছাড়াও এই সঙ্গীতের সুর দেন কবি ও গীতিকার পাৰ্বতী প্ৰসাদ বরুয়া[n ২] ও ইন্দ্ৰেশ্বর বরঠাকুর।[n ৩]

এখন পরিবেশিত গানটি সম্পাদনা

অ’ মোৰ আপোনাৰ দেশ
অ’ মোৰ চিকুণী দেশ
এনেখন সুৱলা,
এনেখন সুফলা
এনেখন মৰমৰ দেশ।

অ’ মোৰ সুৰীয়া মাত
অ’ মোৰ সুৱদী মাত
পৃথিৱীৰ ক'তো বিচাৰি জনমটো
নোপোৱা কৰিলেও পাত।

অ’ মোৰ ওপজা ঠাই
অ’ মোৰ অসমী আই
চাই লওঁ এবাৰ মুখনি তোমাৰ
হেঁপাহ মোৰ পলোৱা নাই।

বাংলা সংস্করণ সম্পাদনা

ওগো আমার স্বদেশ
ওগো শ্রীময়ী দেশ
এমন মধুর শষ্যশালিনী
ওগো স্নেহময়ী দেশ৷

ওগো সুরময়ী
সুধাময়ী মাগো
পৃথিবীর কোথাও পাবেনা খুঁজে
জন্ম হোক অবশেষ৷

ওগো জন্মভূমি
ওগো মা অসমী
দেখি তোমার মুখটি একবার
মেটেনি আমার আশ৷৷

( অনুবাদ: বিভূরঞ্জন চৌধুরী)[৮]

অসম সঙ্গীতের সরকারি স্বীকৃতি সম্পাদনা

২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে এই গান সম্পর্কে এক বিতৰ্ক শুরু। তথ্য জানার অধিকার আইনের অধীনে গোলাঘাটের অরূপ বল্লভ গোস্বামী বলে এক ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে যে, "অ' মোর আপোনার দেশ"কে সরকারিভাবে জাতীয় সঙ্গীতের মৰ্যাদা প্ৰদান করা হয়নি। অবশ্য, এই তথ্য প্ৰকাশের পরে অসম সরকার গানটিকে সরকারিভাবে 'রাজ্যিক জাতীয় সঙ্গীত'-এর মৰ্যাদা দেওয়ার জন্য কাৰ্যব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছেন।[৯][১০][১১][১২]

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. বাঁহীতে প্ৰকাশিত, সাহিত্যরথী লক্ষ্মীনাথ বেজবয়ার বন্ধুপ্ৰতিম, 'বনফুলে'র কবি যতীন্দ্ৰনাথ দুঅরার থেকে পাওয়া তথ্যে উপর ভিত্তি করে শিবপ্ৰসাদ বরুয়ার যোগানো বক্তব্যের কিছু অংশ উল্লেখ করা হলো। এই তথ্যটি লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার ভাইপো মাধবা বেজবরুয়া সম্পাদিত 'বাঁহী'র ২৭শ বছর, পঞ্চম সংখ্যা, ৪৯২ শঙ্করাব্দর কার্তিক মাসে প্ৰকাশিত হয়েছিল। অসমের জাতীয় সঙ্গীত: বেজবরুয়ার অমর সঙ্গীত "অ' মোর আপোনার দেশ"কে আমরা অসমীয়া জাতির জাতীয় সঙ্গীত বলছি। যেভাবে "বন্দেমাতরম্‍" ভারতের জাতীয় সঙ্গীত, Rule Britannia" ইংরাজদের , সেভাবে অসমে বেজবরুয়ার অমর সঙ্গীত "অ মোর আপোনার দেশ’-এর মতো অসমীয়ার শিরায় শিরায় অণুভব করা এই গানটির বাইরে,অন্য কোন গান আমরা মেনে নিয়ে বেগ পাই । ---"দুঅরা মহাশয়ের (যতীন্দ্ৰনাথ দুঅরা) মুখে আকস্মিক ভাবে "অ' মোর আপোনার দেশ"-এর বিষয়ে দুবছর আগে (১৯৩০ সন) এমনটা শুনেছিলাম। "অ' মোর আপোনার দেশ" প্ৰথম বছর, ৭ম সংখ্যা বাঁহীর ২১২ পৃষ্ঠাতে ছাপা হয়েছিল। প্ৰথমে এই গানটি ডিব্ৰুগড়ের জৰ্জ স্কুলের উদ্বোধনী সভাতে গাওয়া হয়েছিল। সুর দিয়েছিলেন সেই স্কুলের শিক্ষক শ্ৰীযুক্ত তারাপ্ৰসাদ চক্ৰবৰ্তী । তিনি এখন বাংলাদেশের খুলনা হাইস্কুলের শিক্ষক। পরে সেই সুরেই গানটি গায় ডিব্ৰুগড়ের "বেরি হোয়াইট মেডিকেল স্কুলে’র ছাত্ররা তাদের বাৰ্ষিক উৎসবে । ডিব্ৰুগড়ে অনুষ্ঠিত অসম সাহিত্য সভাতেইএ ই গানটি গাওয়া হয়েছিল । এবারে কিন্তু সুরটি অন্য। সুর-শিল্পী প্ৰফুল্লচন্দ্ৰ বরুয়া সুর দেন । এই সুরটি চলেছইল বহুদিন । ...... পরে কমলাপ্ৰসাদ আগওয়ালা, বি.এল.-এর দেয়া সুরে গান করেই মানুষ স্বস্তি লাভ করেছেন। এই সুরই "রেকৰ্ড"-এও দেয়া হলো। এর থেকে জোর দিয়েই বলতে পারি, "অ' মোর আপোনার দেশ"র উৎপত্তি বা সাজসজ্জার রূপ ডিব্ৰুগড়েই। এটাই হচ্ছে লক্ষ্মীনাথের চিরবাঞ্ছিত অমর সঙ্গীত "অ' মোর আপোনার দেশ"-এর উৎপত্তি। প্ৰথমে ডিবরুতেই এই গানের ধ্বনি উঠে লুইতের ঢেউতে কলরোল তুলে অসমের এমাথার থেকে ওমাথা ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে সেই মেদিণীমন্ত্রের প্ৰথম উচ্চারণ এবং যে মন্ত্র পুরো আকাশ মণ্ডলে তোলপাড় লাগিয়েছিল-- সেই "অ' মোর আপোনার দেশ"এর জন্মদাতা সব্যসাচী লক্ষ্মীনাথ অসমের এমাথার ডিবুরুতেই শেষ নি:শ্বাস ফেললেন! বোধকরি লক্ষ্মীনাথ বেজবৰুয়ার চিরবাঞ্ছিত "অ' মোর" ধ্বনিই সেদিন শেষ নি:শ্বাসকে পবিত্ৰ করেছিল, গরিমাময়ী করে তুলেছিল।[৫]
  2. আমি বন্ধে যখন বাড়িতে ছিলাম তখন লক্ষ্মীনাথের "অ' মোর আপোনার দেশ" গানটিতে আমাকে সুর দিতে বলেন আমার বাবা। আমি সে গানে সুর দিয়ে গাইলে বাবা বেশ খুশি হন এবং প্রায়ই গান করতে আর ভাই-বোনদের শেখাতে বললেন।সাহিত্য সভার সভাপতি হয়ে যখন এলেন, তাঁকে পুরোনো কাৰ্জন হ'লে ( এখনকার কটন কলেজ লাইব্ৰেরী) সম্বৰ্ধনা জানানো হয়েছিল। লক্ষ্মীনাথের সুরটি শুনে বেশ ভাল লাগল এবং তাঁর কন্যা শ্ৰীযুতা রত্নাবলী সুরটি শিখতে আগ্ৰহ দেখালেন। এই গানটি পিছত তেজপুরে দেশভক্ত তরুণরাম ফুকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অসম সত্ৰ সন্মিলনের অধিবেশনে অসমীয়া জাতীয় সঙ্গীতরূপে প্ৰথমবারের মতো গাওয়া হয় । অবশ্য, সেই সুর আমার আগে দেয়া সুর থেকে আলাদা ছিল । আমার গান রচনা এবং সুরসৃষ্টি গুয়াহাটি এবং কলকাতাতেও জোরকদমে চলতে থাকে এর পরেও কৰ্মক্ষেত্রে মোটামুটি চলছিল।[৬]
  3. ইন্দ্ৰেস্বর বরঠাকুর ভারতীয় শাস্ত্ৰীয় সঙ্গীতের 'ধাতু' ভালো করে জেনে ১৯১৮ সন থেকে যোরহাটের ব্যাপটিষ্ট মিশন স্কুলের Rev. Bogg সাহেবের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন। সেই সময় পাশ্চাত্য সঙ্গীত চৰ্চা করতে শুরু করেন । ১৯২৬ সন থেকে তেজপুরের স্কুলে শিক্ষা বিভাগে কাজ করবার সময় বেশ ক’জন সঙ্গীতানুরাগীকে তিনি পাশে পেয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে পাশ্চাত্য সঙ্গীতের প্ৰায়গুলো বাদ্যযন্ত্ৰ সংগ্রহ করে নিয়ে নিয়মিত পাশ্চাত্য সঙ্গীত অধ্যয়ন করতে থাকেন। এই প্ৰসঙ্গে ১৯২৭ সালে তেজপুরে আয়োজিত 'স্কাউট জাম্বুরি' (Scout Jamboree) অৰ্থাৎ স্কাউট শিক্ষার প্ৰশিক্ষণালয় এবং অসম ছাত্ৰ সন্মিলনের একটি বার্ষিক অধিবেশনর কথা উল্লেখ করা উচিত বলে মনে হচ্ছে। সাহিত্যরথী লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া তাঁকে 'ডেকা ল'ৰা'( বেটাছেলে) বলে ডাকতেন । জাম্বুরীতে ‘মোর দেশ’ বলে লক্ষ্মীনাথের লেখা গানট সুন্দর ইংরাজী সুরে গাওয়াবার জন্যে তেজপুরের সঙ্গীতানুরাগীরা ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। তখন সেই 'ডেকা ল'ৰা' তাঁর অণুমতি চেয়ে একটা চিঠি দিলেন। যথা সময়ে গানটির শেষের 'রা-তা-তা তা-রা-রা' পদটি বাদ দিয়ে গাওয়াবার অণুমতিও পেলেন। সবাই তারপরে আলাপ আলোচনা করে গানটি সুন্দর ইংরাজী সুরে জাম্বুরীতে এবং পরে ছাত্ৰ সম্মেলনে গাওয়ালো । এই গানটি এইভাবে গাইবার পেছনে প্ৰফুল্ল চন্দ্ৰ বরুয়া, বিষ্ণুপ্ৰসাদ রাভা, কমলাপ্ৰসাদ আগরওয়ালা এবং কুমুদ শৰ্ম্মা প্রমুখ শিল্পীরাও জড়িত ছিলেন। ইন্দ্ৰেস্বর বরঠাকুর আমাদের যেভাবে বলেছিলেন, সে অনুযায়ী, তখনকার স্কুল ইনস্পেক্টর Mr Small ও বুঝি ইংরাজী সুর দেবার আলোচনাতে অংশ নিয়েছিলেন এবং গানের শেষের সুরটি কীভাবে Low Pitch এ শেষ করলে শ্ৰুতি মধুর হবে তারও পরামৰ্শ দিয়েছিলেন। গানটি শুনে শ্ৰোতারা বিস্ময় এবং আনন্দে বিভোর হলো। তার পরেই অসম সাহিত্য সভা অ' মোর আপোনার দেশ নামে এই গানটিকে অসমের জাতীয় সঙ্গীত বলে গ্ৰহণ করে।[৭]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. আমার অসম, ডঃ দিলীপ কুমার দত্ত
  2. "Encyclopedia of Indian Literature ভলিউম ১, ১৯৮৯, পৃষ্ঠা ৪১৬-৪১৮।
  3. লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া (১৮৩৫ শক, ১লা ভাদ)। কদম-কলি। লরল্‌চ, হাওড়া: সাহিত্য প্ৰকাশ।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. অসমের জাতীয় সঙ্গীত 'অ' মোর আপোনার দেশ' গীতের শতবৰ্ষ উপলক্ষে অসম সাহিত্য সভার একসপ্ততিতম দেরগাঁও অধিবেশনের প্ৰথম দিনের বিশেষ সাংস্কৃতিক সমারহের উদ্বোধনী ভাষণ, সূৰ্য্য হাজরিকা ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সাল
  5. বাঁহী', সম্পাদনা মাধবা বেজবরুয়া, ৪৯২ শঙ্করাব্দের কার্তিক মাস, ২৭শ বছর, পঞ্চম সংখ্যা, শিবপ্ৰসাদ বরুয়া
  6. অতুল চন্দ্র গাজারিকা, মঞ্চলেখা, পৃষ্ঠা নং ১৯০-১৯১
  7. ইন্দ্ৰেস্বর বরঠাকুরর রচনাবলী, ভূমিকা- ডা: অনিল রঞ্জন বরঠাকুর, পৃষ্ঠা নং ২৬
  8. নরহ, জীৱন (২০১২)। "অ' মোর আপোনার দেশ"। সাতসরী। অষ্টম বছর৷ দ্বিতীয় সংখ্যা।  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  9. "আমার অসম ই পেপার"। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. "Bezbaroa's song is anthem of Assam (The Hindu)"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৩ 
  11. "Assam to adopt 'O Mur Apunar Dex'as state anthem"। The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৩ 
  12. "দ্য আসাম ট্ৰিবিউন"। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]