অর্পনা কৌড়

ভারতীয় শিল্পী

অর্পণ কৌড় একজন শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় চিত্রশিল্পী এবং লৈখিক শিল্পী।[১]

অর্পণা কৌর
জাতীয়তাভারতীয়
পরিচিতির কারণরঙ করা
পিতা-মাতা

১৯৪৭ সাকে তিনি ব্রিটিশ ভারত বিভাজন নিয়ে বিভ্রান্তির সময় পাকিস্তানের পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে প্রজাতন্ত্রের ভারতে পালিয়ে যাওয়া এক শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মা হলেন লেখক অজিত কৌর (১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন), তিনি পাঞ্জাবীতে লেখেন। কৌর বা হলো একটি ধর্মীয় উপাধি যা সমস্ত মহিলা শিখ ধর্মের পরিধান করে বা তার এটা ব্যবহারিক করে। জন্মের পর থেকেই তাঁর প্রথম নাম অর্পণা ছিল না। তবে পনের বছর বয়সে তিনি তার ব্যক্তিগত নামের বিকাশের প্রক্রিয়াটির প্রকাশ গ্রহণ করেছিলেন।[২]

শিক্ষা এবং প্রথমিক জীবন সম্পাদনা

১৯৫৪ সালে দিল্লিতে অর্পণা কৌরের জন্ম হয়েছিল।তিনি তার জীবনের প্রথম দিকে সংগীত, শিল্প এবং সাহিত্যের সাথে নিজের জীবনের প্রকাশ ঘটান। তিনি সেতার বাজাতে পারতেন। তিনি একজন চিত্রশিল্প হলেও কবিতা লিখেছেন তবে তিনি চিত্রকর্ম করে অনেক আনন্দ পেতেন। তার বয়স যখন মাত্র নয় বছর তখন তিনি অমৃত শেরগিলের রচনায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি তার তেল রঙ্গে প্রথম চিত্রকর্ম করেন। চিত্রকর্মটি ছিল 'মাদার অ্যান্ড ডটার' অর্পণা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি চিত্রকলার ক্ষেত্রে কখনও আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেননি, এবং মূলত স্ব-শিক্ষিত ছিলেন। তিনি ১৯৮২ সালে নতুন দিল্লির গড়ি স্টুডিওতে নকশাকাটা কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[২][৩]

পেশাজীবন সম্পাদনা

চারপাশের ঘটনা ও পরিস্থিতিকে তিনি তার চিত্রকলার মাধ্যমে প্রকাশ করেন। তাঁর মায়ের দৃঢ় প্রভাব তার কাজগুলিতে প্রসারিত হয়েছে। যেখানে 'নারী' প্রায়শই একটি কেন্দ্রীয় আলোকপাত তার কাছে যায়গা করে নেয়। তাঁর রচনাগুলি হলো পাহাড়ি চিত্রাঙ্কন (পাহাড়-চিত্র), পাঞ্জাবি সাহিত্য এবং তিনি ভারতীয় লোকশিপ্লের মাধ্যমেও অনুপ্রাণিত।[৪]

'আধ্যাত্মিকতা' এবং 'সময়' তাঁর রচনার বিষয়বস্তুগুলিতে বার বার এসেছে।

১৯৯০-এর দশকে, অর্পণা কৌড় ভারতের বিহার রাজ্যের মধুবানি অঞ্চলে বসবাসকারী ওয়ারলি এবং গডেনের আদিবাসী জাতিগত গোষ্ঠী থেকে ভারতীয় লোক শিল্পীদের সাথে সহযোগিতার একটি ধারাবাহিকতা তৈরি করে।[৫] তিনি লোক কারিগরদের সহযোগিতা করার জন্য প্রথম সমসাময়িক শিল্পীদের মধ্যে একজন হন।

১৯৯৪ সালে ৫০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি বোমা বিস্ফোরণ করার জন্য একটি মুরাল তৈরি করেন। যা তার আধুনিক শিল্পের হিরোশিমা মিউজিয়ামের একটি বড় অবদান ছিল।[৪]

সামাজিক চেতনা সম্পাদনা

আর্পনা কৌড় একাডেমী অফ ফাইন আর্টস অ্যান্ড লিটারচারের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন যা দক্ষিণ এশীয় সাহিত্য উৎসব নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা করেন। উপমহাদেশ থেকে লেখকের মধ্যে বন্ধন শক্তিশালীকরণ করেন।[৬]

২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের গ্রামের খাদ্যের জন্য আদালত / রেস্টুরেন্ট নির্মাণের সময় তিনি নতুন দিল্লীর সিরি বনভূমিতে গাছের পতন ঘটানোর জন্য এর বিরুদ্ধে কথা বলে সফলভাবে সমাবেশ করেছেন।[৭]

তিনি গাজিয়াবাদে একটি কুষ্ঠরোগী বাড়ি সমর্থন করেন। তিনি বাড়িতে তরুণ মেয়েদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "India Art Festival is now bigger and better"Millennium Post। ২০১৭-১১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-২৫ 
  2. "Arpana Caur - SikhiWiki, free Sikh encyclopedia."www.sikhiwiki.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-২৬ 
  3. KG Saur। General Artist's Encyclopedia। ১৯৯৭। পৃষ্ঠা 342। 
  4. Mehrotra, Rajiv (২০১১)। The Spirit of the Muse: Conversations on the Journeys of Artists। Hay House, Inc। আইএসবিএন 9789381398173 
  5. Jhaveri, Amrita (২০০৫)। A Guide to 101 Modern & Contemporary Indian Artists। Mumbai: India Book House। পৃষ্ঠা 101। আইএসবিএন 81-7508-423-5 
  6. "Ties That Bind"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-৩০ 
  7. Chowdhury, Kavita (২০১৫-১০-২৩)। "Lunch with BS: Arpana Caur"Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-৩০ 
  8. Madhukar, Jayanthi (২০১৬-১১-১২)। "Artist Arpana Caur talks about her canvasses and what inspired them"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-৩০