ভাষাবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলে অভিধান বিজ্ঞান (ইংরেজি: Lexicography)।[] অভিধান রচনার ধারা যথেষ্টই প্রাচীন। অভিধান রচনার ধারায় পৃথিবীর সব দেশই বিশেষ পরিপুষ্টি লাভ করেছে।

অভিধান বোঝাতে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে জন গারল্যান্ড প্রথম ডিকশনারিয়াস শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে, স্যাড থমাস এলিয়েটের লাতিন ইংরেজি অভিধানে প্রথম ডিকশনারি শব্দটি পাওয়া যায়।

লেক্সিকোগ্রাফিতে নিবেদিত একজন ব্যক্তিকে লেক্সিকোগ্রাফার বলা হয় এবং স্যামুয়েল জনসনের একটি ঠাট্টা অনুসারে, একজন "নিরাপদ শ্রমিক"।[][]

নামের ব্যুৎপত্তি

সম্পাদনা

১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে গ্রিক শব্দ λεξικογράφος (লেক্সিকোগ্রাফোস) থেকে ইংরেজি শব্দ "লেক্সিকোগ্রাফি"র উদ্ভব।[] ও λεξικόν (লেক্সিকন), λεξικός লেক্সিকস, "শব্দের জন্য",[] ইত্যাদি থেকে।

প্রকারভেদ

সম্পাদনা
ব্যবহারিক অভিধান বিজ্ঞান

এটি হল অভিধান সংকলন, লেখা এবং সম্পাদনার শিল্প বা নৈপুণ্য।

তাত্ত্বিক অভিধান বিজ্ঞান

এটি হল একটি ভাষার লেক্সিকোন (শব্দভাণ্ডার) এর লেক্সেমগুলির শব্দার্থগত, অর্থোগ্রাফিক, সিনট্যাগমেটিক এবং প্যারাডিগমেটিক বৈশিষ্ট্যগুলির পাণ্ডিত্যপূর্ণ অধ্যয়ন, অভিধানের উপাদানগুলির বিকাশ তত্ত্ব এবং অভিধানে ডেটা লিঙ্ককারী কাঠামো, নির্দিষ্ট ধরণের ব্যবহারকারীদের তথ্যের প্রয়োজনীয়তা। পরিস্থিতি, এবং কীভাবে ব্যবহারকারীরা মুদ্রিত এবং ইলেকট্রনিক অভিধানে অন্তর্ভুক্ত ডেটা সর্বোত্তমভাবে অ্যাক্সেস করতে পারে। এটি কখনও কখনও "মেটালেক্সিকোগ্রাফি" হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

প্রয়োগ

সম্পাদনা

অভিধান বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে অভিধান রচনা করা এবং ভাষা সম্পর্কে এবং ভাষার শব্দভাণ্ডার সম্পর্কে যাতে প্রত্যক্ষ চেতনা গড়ে ওঠে তার প্রচেষ্টা করা।

আধুনিককালে ভাষাবিজ্ঞানীরা শুধু প্রাচীন ধারায় অভিধান রচনা উত্তরাধিকারকে অনুসরণ না করে নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করে থাকেন। কারণ অভিধানে ভাষার প্রকাশগত দিক এবং বিষয় গত দিক এর মধ্যে একটি সংযোগ বর্তমান। এছাড়াও শব্দের একাধিক প্রতিশব্দ, ব্যুৎপত্তিগত অর্থ উল্লেখ বহু প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। আধুনিক কালে এর সাথে যুক্ত হয়েছে মান্য উচ্চারণ, আঞ্চলিক ও উপভাষাগত পার্থক্য প্রসঙ্গ অনুসারে অর্থের পার্থক্য এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শব্দের পরিবর্তন ইত্যাদি। এইভাবে অভিধান বিজ্ঞানকে অবলম্বন করে অভিধান ক্রমশ নিজের মধ্যে প্রসারিত হয়ে চলেছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Jackson, Howard (২০১৭-১০-০২), "English lexicography in the Internet era", The Routledge Handbook of Lexicography, Routledge, পৃষ্ঠা 540–553, আইএসবিএন 978-1-315-10494-2, ডিওআই:10.4324/9781315104942-34, সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৬ 
  2. "Lexicographer job profile | Prospects.ac.uk"www.prospects.ac.uk (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২৯ 
  3. Johnson, Samuel (১৭৮৫)। A Dictionary of the English Language। London: J.F. and C. Rivington, et al। 
  4. λεξικογράφος ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২১-০৪-১২ তারিখে, Henry George Liddell, Robert Scott, A Greek–English Lexicon, on Perseus Digital Library
  5. λεξικός ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২১-০৫-১৪ তারিখে, Henry George Liddell, Robert Scott, A Greek–English Lexicon, on Perseus Digital Library

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা