অনুরাধা টি কে
অনুরাধা টি কে একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) যোগাযোগের কাজে ব্যবহৃত কৃত্রিম উপগ্রহ সংক্রান্ত প্রজেক্ট পরিচালক। তিনি জিস্যাট-১০ এবং জিস্যাট-১২ এর মতো কৃত্রিম উপগ্রহ নিক্ষেপনের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অন্যতম জ্যেষ্ঠ নারী কর্মী অনুরাধা টি কে ১৯৮২ সালে সংস্থাটিতে যোগ দেন।[১][২] এছাড়াও সংস্থাটিতে প্রথম কোনো নারী হিসেবে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রজেক্টের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।[৩]
অনুরাধা টি কে | |
---|---|
জন্ম | বেঙ্গালুরু, ভারত | ৩০ এপ্রিল ১৯৬০
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | ভিসভেসভারাইয়া প্রকৌশলী কলেজ |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) |
জীবনী
সম্পাদনাঅনুরাধা টি কে ১৯৬১ সালে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] শহরটির ভিসভেসভারাইয়া প্রকৌশলী কলেজ থেকে তড়িৎ বিদ্যা বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে [৫] নিজের দেশ ভারতেই ক্যারিয়ার গঠনে মনোনিবেশ করেন। [৪]
কর্ম
সম্পাদনাভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কৃত্রিম উপগ্রহ সেন্টারের জিওস্যাট প্রোগ্রাম পরিচালক হিসেবে অনুরাধা টি কে দায়িত্বপ্রাপ্ত। টেলিকম ও তথ্য যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এরকম কৃত্রিম উপগ্রহগুলো নিয়ে তার কাজ।[৬] ভারতের বিভিন্ন মহাকাশ সংক্রান্ত প্রজেক্টের তিনি নেতৃত্বদানের মতো গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসিছেন।[৭]
সতীশ ধবন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে ২০১১ সালের ১৫ই জুলাই নিক্ষেপিত যোগাযোগ স্থাপনকারী কৃত্রিম উপগ্রহ জিস্যাট-১২ নিক্ষেপনে অনুরাধা টি কে অবদান রাখেন।[৮][৯][১০] এই প্রজেক্টে তিনি উপগ্রহটির কারিগরিভাবে উন্নয়ন সাধন ও মহাকাশে উপগ্রহ নিক্ষেপণে সরাসরি অবদান রাখেন।। তার নেতৃত্বে মোট ২০ জন প্রকৌশলী এই প্রজেক্টে কর্মযজ্ঞে অংশ নেন।[৭] সম্পূর্ণ নারী-দ্বারা পরিচালিত এই গবেষক দলের অংশ হিসেবে তিনি প্রমোদা হেজ এবং অনুরাধার প্রকাশের সাথে মিলে জিস্যাট-১২ কে সর্বশেষ কক্ষপথে প্রেরণে ভূমিকা রাখেন। [১][২][৯][১০]
জিস্যাট-১২ এর কাজ শেষ করে তিনি ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে আরো বৃহদাকারের যোগাযোগ সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত কৃত্রিম উপগ্রহ জিস্যাট-১০ নিক্ষেপনে নেতৃত্ব দেন। [৪][১০]
পদক
সম্পাদনা- মহাকাশ গবেষণায় বিভিন্ন অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৩ সালে ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা হতে প্রদত্ত স্বর্ণ পদক।
- ২০১১ সালে জাতীয় নকশা ও গবেষণআ ফোরাম থেকে প্রদত্ত সুমন শর্মা পদক।
- ২০১২ সালে এ এস আই- আইএসআরও প্রতিভা পদক।
- ২০১২ সালে জিস্যাট-১২ নিক্ষেপনের নেতৃত্বদানে স্বীকৃতিস্বরূপ আইএসআরও দলীয় পদক।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "The women scientists who took India into space"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১২-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৪।
- ↑ ক খ "Meet ISRO's 'Space Girls'"। Deccan Herald। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৪।
- ↑ info@biharprabha.com, Bihar Reporter :। "Meet the lady behind success of RISAT I"। The Biharprabha News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৪।
- ↑ ক খ গ ISS। "Reaching out to the skies"। indianspacestation.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৪।
- ↑ "T K ANURADHA"। ২০১৪-০২-২১। ২০১৪-০২-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৪।
- ↑ "India's rocket women"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৪।
- ↑ ক খ গ "Smt T K Anuradha – IEEE WIE Global Summit 2016"। wiesummit.ieeer10.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৪।
- ↑ "ISRO successfully launches latest communication satellite GSAT-12"। The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৪।
- ↑ ক খ Martin, Max (২৩ জুলাই ২০১১)। "ISRO banks on womanpower for GSAT-12"। India Today। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "Only the sky is the limit"। www.mea.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৪।