অনিতা লন্সব্রো
অনিতা লন্সব্রো, (জন্ম ১০ই আগস্ট ১৯৪১ ইয়র্ক[১]) হলেন গ্রেট ব্রিটেনের একজন প্রাক্তন সাঁতারু, যিনি ১৯৬০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। বিবাহের পরে তিনি পরিচিত হয়েছিলেন অনিতা পোর্টার নামে।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | ১০ আগস্ট ১৯৪১ ইয়র্ক | (বয়স ৮৩)||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | সাঁতার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পদকের তথ্য
|
সাঁতারের ক্যারিয়ার
সম্পাদনাকার্ডিফে ১৯৫৮ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং কমনওয়েলথ গেমসে তিনি ২২০ গজের ব্রেস্টস্ট্রোকে এবং মেডলি (চারটি ভিন্ন সাঁতারের শৈলীর সংমিশ্রণ; ব্যাকস্ট্রোক, ব্রেস্টস্ট্রোক, বাটারফ্লাই এবং ফ্রিস্টাইল) রিলেতে সোনা জিতেছিলেন।
রোমে ১৯৬০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে, ১৯৬০ সালের ২৭শে আগস্ট, ১৯ বছর বয়সে, তিনি ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে ২:৪৯.৫ সময় করে সোনা জিতেছিলেন, তিনি পশ্চিম জার্মানির উইলট্রুড উরসেলম্যান (২:৫০.০) কে পরাজিত করে একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করে ছিলেন।[২] সেই বছরের মাত্র দুজন গ্রেট ব্রিটেন স্বর্ণপদক বিজয়ীদের মধ্যে তিনি একজন ছিলেন। অন্যজন ছিলেন ৫০ কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ডন থম্পসন।[৩]
দীর্ঘ ৪৮ বছর পর ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে রেবেকা অ্যাডলিংটন স্বর্ণপদক জয় করে অলিম্পিক সাঁতারে গ্রেট ব্রিটেনের সোনার খরা কাটিয়েছিলেন।[৪]
১৯৬২ সালে পার্থে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং কমনওয়েলথ গেমসে তিনি তিনটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন: ১১০ গজ ব্রেস্টস্ট্রোক; ২২০ গজ ব্রেস্টস্ট্রোক; এবং ৪৪০ গজ ব্যক্তিগত মেডলিতে।
তিনি ১৯৬৩ সালে এএসএ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ ২২০ গজ ফ্রিস্টাইল শিরোপা জিতেছিলেন। তিনি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ২২০ গজ ব্রেস্টস্ট্রোক শিরোপার পাঁচবার বিজয়ী ছিলেন, এছাড়াও ১৯৬২ সালের ফাইনালে তিনি একটি বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন।[৫][৬][৭][৮] তিনি ১৯৬৩ এবং ১৯৬৪ সালে দুবার ৪৪০ গজ মেডলি শিরোপা জিতেছিলেন।[৯][১০]
১৯৬৪ সালে তিনি টোকিও অলিম্পিক গেমসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতে তিনি ৭ম স্থান অধিকার করেন। তিনি ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর নামেননি।[১১]
জীবনী
সম্পাদনালন্সব্রো ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা ও মায়ের নাম ছিল যথাক্রমে স্ট্যানলি এবং মড। তিনি তাঁর শৈশব ভারতে কাটিয়েছেন যেখানে তাঁর বাবা, কোল্ডস্ট্রিম গার্ডসে একজন সার্জেন্ট মেজর ছিলেন।[২] পরিবারটি ইয়র্কশায়ারে ফিরে আসার পর, তিনি ব্র্যাডফোর্ডে সেন্ট জোসেফ ক্যাথলিক কলেজে শিক্ষিত হন। এটি ছিল মেয়েদের বিশেষ সরাসরি অনুদান প্রাপ্ত স্কুল।[১২] তিনি হাডার্সফিল্ড টাউন হলে নিযুক্ত একজন ট্রেজারারের কার্যালয় ক্লার্ক হয়েছিলেন।[১][২] তিনি ১৯৫৮ সালে কার্ডিফে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং কমনওয়েলথ গেমসে সাঁতারের জন্য তাঁর প্রথম স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।[২] ১৯৬৪ সালে তাঁর অবসর নেওয়া পর্যন্ত তিনি পাঁচটি বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন এবং সাতটি স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। এক সময়ে অলিম্পিক, সাম্রাজ্য এবং ইউরোপীয় শিরোপা সবই একসাথে তাঁর দখলে ছিল।
তিনি সাইক্লিং ধারাভাষ্যকার ও প্রাক্তন শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ পেশাদার ট্র্যাক সাইক্লিস্ট হিউ পোর্টারকে বিয়ে করেছেন; ১৯৬৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য টোকিও ভ্রমণের সময় তাঁদের দেখা হয়েছিল এবং ১৯৬৫ সালের ১৭ই জুন বৃহস্পতিবার হাডার্সফিল্ডের সেন্ট পিটার্স চার্চে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল।[১৩][১৪][১৫] এই দম্পতি টেটেনহল, উলভারহ্যাম্পটনে বসবাস করেন।[১৬] আউন্সডেল হাই স্কুলে শরীর শিক্ষা বিভাগে কিছুদিন সাঁতার শেখানোর পরে, তিনি বর্তমানে অনিতা লন্সব্রো-পোর্টার নামে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের একজন ক্রীড়া ভাষ্যকার এবং সাংবাদিক।
সম্মান
সম্পাদনাতিনি ১৯৬২ সালে বিবিসি স্পোর্টস পার্সোনালিটি অফ দ্য ইয়ার[২] পুরস্কারের প্রথম মহিলা বিজয়ী ছিলেন। তিনিই শেষ ব্যক্তি যিনি ১৯৬২ সালে 'স্পোর্টস আউটলুক' ট্রফি নর্দার্ন স্পোর্টস স্টার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন
সাঁতারের সেবার জন্য তিনি ১৯৬৩ সালে এমবিই উপাধি লাভ করেন।
গ্রীষ্মকালীন গেমসে গ্রেট ব্রিটেনের প্রথম মহিলা পতাকা বহনকারী ছিলেন অনিতা লন্সব্রো, যখন তিনি ১৯৬৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পতাকা বহন করেছিলেন। পূর্বে তিনি ১৯৬০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে এই ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।[১৬][১৭]
১৯৮৩ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সুইমিং হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "50 years ago today, Huddersfield swimmer Anita Lonsbrough received her Olympic gold medal"। Huddersfield Examiner। ২৭ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Richmond, Tom (২৪ আগস্ট ২০২০)। "Special anniversary looms for swimming's 1960 Olympic Games heroine Anita Lonsbrough"। Yorkshire Post। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Burnton, Simon (১২ জুন ২০১২)। "50 stunning Olympic moments No38: Don Thompson takes walking gold"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Adlington snatches swimming gold"। BBC Sport। ১১ আগস্ট ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ ""Swimming Victory For Black." Times, 23 Aug. 1958, p. 3"। The Times। ২৩ আগস্ট ১৯৫৮। পৃষ্ঠা 3।
- ↑ ""Swimmers Protest At Blackpool." Times, 5 Sept. 1959, p. 3"। The Times। ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯। পৃষ্ঠা 3।
- ↑ "FROM OUR SWIMMING CORRESPONDENT. "Medal Winners In Action." Times, 24 Sept. 1960, p. 3"। The Times। ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬০। পৃষ্ঠা 3।
- ↑ ""World Records At Blackpool." Times, 15 Sept. 1962, p. 3"। The Times। ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬২। পৃষ্ঠা 3।
- ↑ "FROM OUR SWIMMING CORRESPONDENT. "Miss Lonsbrough Recovers." Times, 29 Aug. 1963, p. 4"। The Times। ২৯ আগস্ট ১৯৬৩। পৃষ্ঠা 4।
- ↑ "From Our Swimming Correspondent. "Meagre Swimming Team For Tokyo." Times, 24 Aug. 1964, p. 3"। The Times। ২৪ আগস্ট ১৯৬৪। পৃষ্ঠা 3।
- ↑ "Anita Lonsbrough Results"। Olympic Channel। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২১।
- ↑ "Flats named"। The Catholic Herald। ৩০ জুন ১৯৬১। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Fifty years for Wolverhampton's golden couple"। www.expressandstar.com।
- ↑ Jones, Andy (৬ মার্চ ২০০৮)। "STAFFORDSHIRE AND SHROPSHIRE WITH HUGH PORTER"। Cycling Weekly। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ Ringland, Nigel (১২ আগস্ট ২০০৮)। "No chance to relax in the Water Cube. The Beijing Olympics"। Irish News। Belfast। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ ক খ "No medal for Hugh, but he got the girl instead!"। Shropshire Star। ২ আগস্ট ২০২১। পৃষ্ঠা 8–9। Report by Mark Andrews, on the couple's memories of the 1964 Olympics and their life since.
- ↑ Report by Mark Andrews, on the couple's memories of the 1964 Olympics and their life since.
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- BBC Sport - "Rider's legends: Anita Lonsbrough"
- British Olympic Association - Rome 1960 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ জুন ২০০৮ তারিখে
- টেমপ্লেট:DatabaseOlympics
- ওয়েব্যাক মেশিনে International Swimming Hall of Fame profile (২০০৭-১১-০৭ তারিখে আর্কাইভকৃত)
- International Olympic Committee results database ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ আগস্ট ২০১১ তারিখে
- My Yorkshire - Anita talks about the 1960 Olympics victory আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ১৫ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে
- অলিম্পিক.কমে অনিতা লন্সব্রো (ইংরেজি) অলিম্পিক.ওআরজিতে
- অনিতা লন্সব্রো (ইংরেজি) (আর্কাইভ)
- কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনে - অনিতা লন্সব্রো
পুরস্কার | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী স্টার্লিং মস |
বিবিসি বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ১৯৬২ |
উত্তরসূরী ডরোথি হাইম্যান |
টেমপ্লেট:ফুটার অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক মহিলা টেমপ্লেট:ফুটার কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক মহিলা টেমপ্লেট:ফুটার কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক মহিলা টেমপ্লেট:ফুটার কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন ৪০০ মিটার মেডলে মহিলা টেমপ্লেট:ফুটার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক মহিলা